অথই নূরুল আমিন
বাংলাদেশে সদ্য বিশাল বিনিয়োগ সম্মেলন হয়ে গেল। বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার বিনিয়োগ কারীগণকে অংশ নিতে দেখা গেছে । এখানে বেশকিছু বিনিয়োগদাতা রাজী ও হয়েছেন বিনিয়োগ করতে। হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তাগণ বিভিন্ন বিনিয়োগ করবেন বলে বতর্মান সরকারের আশা । এই যে বিনিয়োগকারীর বতর্মান পর্বটা আছে এখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব আশিক চৌধুরী। যদিও এই ধরনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার। (সবচেয়ে বড় কথা হলো ২০১১ সালে ইউনূস স্যারকে নিয়ে আমি একটি কলাম লিখেছিলাম। কলামটিতে বলেছিলাম। দেশ স্বাধীনের পর থেকে বাংলাদেশে একমাত্র ইউনূস স্যার একমাত্র দ্বিতীয় দামি একজন মানুষ। কলামটি দৈনিক ভোরের চেতনার প্রকাশনা বিজনেস এন্ড স্টাইল ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল। যা এখনো আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। )
এই মর্মে জনাব আশিক চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে খোলা চিঠি লিখছি যে, বাংলাদেশে গত চুয়ান্ন বছরে এই জাতি যেসকল কারণে সবচেয়ে ভূক্তভোগী। সেই ভূক্তভোগীর একান্ত সুবিধা নিয়ে, জাতির জাতীয় সমস্যা লাগবেও সেই সমস্যা গুলো দূর করার জন্য বিদেশী কোনো বিনিয়োগকারী এখানে কখনও বিনিয়োগ করবে না। কারণ বিনিয়োগকারী মানে লিল্লায় অর্থ বরাদ্দকারী নয়।
একজন বিনিয়োগকারী যেখানেই বিনিয়োগ করুন না কেন। আগে তার বা তাদের লাভ দেখবে। তারপর তারা বিনিয়োগ করবে। বিশেষ করে বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টর ছাড়া, কিছু ফাইভ স্টার হোটেল ছাড়া এখানে চোখে পড়ার মতো আজও তেমন বড় কোনো বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ করতে দেখা যায়নি।
বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো চায়নি বাংলাদেশে বড় কোনো বিনিয়োগকারীরা আসুক। তার বড় প্রমান স্যামসং এর বিলিয়ন ডলার ঢাকা থেকে ফেরত যাওয়া। এরকম ভাবে আমরা দেশ স্বাধীনের চুয়ান্নটি বসন্ত নষ্ট করেছি। কিন্তু জাতি হিসাবে বিশ্ব দরবারে এখনো তেমন কোনো বৈশিষ্ট্য আমাদের নেই।
জনাব আশিক চৌধুরী। সত্যি যদি আমার এই খোলা চিঠি আপনার নজরে পরে কখনও । আর যদি কখনও আপনার সাথে আমার সরাসরি দশ মিনিট কথা বলার সুযোগ তৈরি হয়। তাহলে এই দেশের জন্য বিদেশী কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই। দেশের সর্ববৃহৎ কয়েকটি কাজ আপনাকে নিয়ে করতে চাই। যার মূল্য হবে কয়েক কোটি বিলিয়ন ডলার। এবং আমার করা প্রকল্প থেকে সরকারের বাৎসরিক আয় আসবে তিন বিলিয়ন টাকার সমমান প্রায়।
১. যেমন ঢাকা শহরের যানজট। এটা আজকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। যা এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ৫০% কমিয়ে আনা সম্ভব হবে আমার পরামর্শ মতে সরকারের বিশেষ আর্থিক ছাড়া।( শর্ত সাপেক্ষে)
২. সারা দেশের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি অথবা মাষ্টার্স পর্যন্ত লেখাপড়া করতে শিক্ষার্থীদের কোনো খরচ লাগবে না। আমার দেয়া পরামর্শ যদি সরকার গ্রহণ করে। তখন সারা দেশের সবদিকেই সৌন্দর্য বিরাজ করবে। শিক্ষা খাতে এমন প্লান সৃষ্টি করব। যা বিশ্বে কোনো দেশেই নেই। তখন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ সকলের আরো বেশি প্রশংসা আসবে। দেশ বিদেশ থেকে।
৩. প্রায় তিন লাখ গৃহহীন ভূমিহীন পরিবারের পূনর্বাসন প্রকল্প চালু করন। তাদের জীবনমান উন্নয়ন করন।
৪. বিশ লাখ যুবকের চাকরি বা আত্ম কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করন এক মহা প্রকল্প। আমি করে দিতে সক্ষম।
৫. প্রায় এক লাখ ভাসমান ব্যবসায়ী (হকার ) তাদের স্থায়ী ব্যবসা করন। যার ফলে ঢাকা শহরের ফুটপাত মুক্ত হবে। এখানে আসবে সমগ্র শহরের সৌন্দর্য। যা কখনও কেউ ভাবেনি।
আমি আবার বলছি। উপরে উল্লেখিত প্রকল্প গূলো চালূ করে বাস্তবায়ন করতে সরকারের যেহেতু অর্থ লাগবে না। তাহলে এগুলোর বিনিয়োগকারী আমি এবং আমার উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মেধা। আর সাহস যোগাবেন আপনি। বেশকিছু কাজের পদক্ষেপ নিবেন আপনি এবং সরকার।
বতর্মান সরকারের সকলেই ভালো থাকুন। সাক্ষাৎ এ বিস্তারিত আলোচনা করব এ আশা রেখে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম আমার খোলা চিঠি। শুভ হোক দেশের। শুভ হোক দেশ নিয়ে যারা ভাবছেন শ্রম দিচ্ছেন কর্মে আছেন তারা সকলের।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্রচিন্তক
জুলাই বিপ্লবের পক্ষের লেখক।
“আমার যুদ্ধ কলমে ” বইয়ের লেখক।