রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কবিতাঃ গাঁয়ের জীবনকথা জগন্নাথপুরে এডভোকেট ইয়াসীন খানের সমর্থনে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতের উঠান বৈঠক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাব এর অফিস উদ্বোধন মাটি – মা প্রফেসর ডক্টর সন্দীপক মল্লিক সাহিত্য রসগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুনতারা’র প্রতিষ্ঠাতা সংবর্ধিত সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দ্বীপশিখা পদক পেলেন জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান শাহিনুর রহমান কারো কাছে নিজের সমস্যা বলার আগেই ভাবুন গঙ্গা–পদ্মার ন্যায্য হিস্যা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশাল গণসমাবেশ হাওরাঞ্চলের উন্নয়নে ধানের শীষে ভোট চান আনিসুল হক ট্রাভেল এজেন্সির প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি, আটাব, বায়রা ও হাবের

গ্রাম বাংলার কৃষকদের এ দৃশ্যটি আজ আর দেখা যায় না

Coder Boss
  • Update Time : বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১৩ Time View

 

মিজানুর রহমান মিজান

এক সময় গ্রামে এ জাতীয় দৃশ্য দৃষ্টিগোচরীভুত হতো আষাঢ়-শ্রাবন-ভাদ্র মাসে এবং বোরো আবাদের সময় আমাদের গ্রামের মাঠগুলিতে বা ক্ষেতের আইলে প্রায়শই।আজ আর সে দৃশ্যের দেখা মেলা অকল্পনীয়।অথবা অন্যার্থে বললে দেখা সম্ভব নয়,দেখা যায় না মোটেই।দিন পাল্টেছে,রীতি-নীতি হয়েছে পরিবর্তিত,লেগেছে সর্বত্র পরিবর্তনের ছোঁয়া আধুনিকতার স্পর্শে ।হেরে গেছে সুচনীয় ভাবে।আমি বলছিলাম উনিশ শতকের ষাটের, সত্তরের ও আশির দশকের কথা।সে সময় গ্রামের প্রকৃত জমির মালিকরা নিজে গরু দিয়ে হালচাষ করে ক্ষেতে ধান বা অন্যান্য ফসল উৎপাদন করতেন।একেকটি কৃষক পরিবারে সামর্থ অনুযায়ী মজুর রেখে কাজের সমাপ্তি টানতেন।চাহিদা ও সামর্থের মধ্য মিয়ে শ্রমিক(মজুরের)সংখ্যা নির্ধারণ করে নিতেন।সে অনুসারে দেখা যেত গ্রামের কোন কোন পরিবারে বাৎসরিক এক বা দুইজন শ্রমিক থাকতেন।তাছাড়া ভাদ্র-আশ্বিন মাসে কোন কোন পরিবারে আট দশজন শ্রমিক কাজ করতেন নিয়মিত ভাবে প্রতিবৎসর।অনেক পরিবারের জমির পরিমাণ বেশি হলে ততোধিক শ্রমিক নিয়োগ করতেন নিয়মমাফিক।এ শ্রমিকদের মধ্য থেকে একজনকে নিয়োগ করা হতো অথবা দুইজনকে নির্ধারিত ভাবে রাখা হত অন্যান্য শ্রমিকদের নাস্তা খাবার দাবার,হালচাষের সরঞ্জামাদি আনা-নেয়ায় ব্যস্ত সময় পার করতেন।আবার কোন কোন পরিবারেমুল মালিক ও এ জাতীয় কাজে নিয়োজিত থাকতে দেখা যেত। ক্ষেতের আইলে বসে শ্রমিকরা এ ভাবে খাবার গ্রহণ করতেন সকাল ও দুপুরের খাবার।রাতের খাবার কিন্তু গৃহস্থ বাড়িতেই খেতে হত।তখন আরেকটি রেওয়াজ প্রচলিত ছিল গ্রামের মানুষ সাধারণত তিন বেলা আহার করতেন। আর আজ সেখানে পরিবর্তিত পরিবেশে সকলেই অভ্যস্থ হয়ে পড়েছেন দুবেলা আহার গ্রহণে।আজ আর কোন পরিবারেই তিন বেলা আহার গ্রহণের দৃশ্য বা রেওয়াজ নেই।প্রচলিত আছে দুবেলা আহার গ্রহণের।এতেই শ্রমিক মালিক তৃপ্ত।আজকে কৃষি কাজে এসেছে যান্ত্রিকতা।আবার শ্রমিকের অভাব প্রকট আকার করেছে ধারণ।শ্রমিকের অভাবে অনেক বনেদি কৃষক কৃষিকাজে অনিহা প্রকাশে তা থেকে সরে পড়েছেন।কতই না পরিবর্তন এসেছে আমাদের কৃষিকাজে।নেই গরুর হাল,লাঙ্গল,জোয়াল,মই ইত্যাদি হয়েছে নির্বাসিত জীবনের অধিকারি।পরিবর্তিত পরিবেশে আমাদের কৃষিকাজে সফলতা ও অগ্রযাত্রা থাকুক সমৃদ্ধির যাত্রায় অগ্রসরমান এ প্রত্যয় ও প্রত্যাশার হৃদয়জ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102