রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মোরেলগঞ্জে ইংরেজ নীলকুঠি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ইতিহাস-ঐতিহ্যের বেদনাবহ ধ্বংসস্মৃতি কবিতাঃ গাঁয়ের জীবনকথা জগন্নাথপুরে এডভোকেট ইয়াসীন খানের সমর্থনে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতের উঠান বৈঠক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাব এর অফিস উদ্বোধন মাটি – মা প্রফেসর ডক্টর সন্দীপক মল্লিক সাহিত্য রসগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুনতারা’র প্রতিষ্ঠাতা সংবর্ধিত সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দ্বীপশিখা পদক পেলেন জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান শাহিনুর রহমান কারো কাছে নিজের সমস্যা বলার আগেই ভাবুন গঙ্গা–পদ্মার ন্যায্য হিস্যা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশাল গণসমাবেশ হাওরাঞ্চলের উন্নয়নে ধানের শীষে ভোট চান আনিসুল হক

অবেলার ডাক সাহিত্য পরিবারের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন সিলেটের মেয়ে শামীমা

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৭২ Time View

 

আলো প্রতিবেদক:

অবেলার ডাক সাহিত্য পরিবারের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিলেটের মেয়ে শামীমা। আজ (শুক্রবার, ১৮.০৪.২০২৫) ইং তারিখ অবেলার ডাক সাহিত্য পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
অবেলার ডাক সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিন ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে সারাদেশে অত্যন্ত সুনামের সাথে সাহিত্য সেবা দিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে দেশ বিদেশের অসংখ্য লেখক, কবি ও সাহিত্যিক তাদের লেখা অবেলার ডাক এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফরমেটে প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ই-পেপার, মাসিক ই-পেপার, ওয়েবসাইট ও প্রিন্ট সংখ্যায়।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে শামীমা বেগম অবেলার ডাক সবার জন্য সাহিত্য পরিবারের হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে সাহিত্য সেবা শুরু করেন। এরপর আস্তে আস্তে তিনি অবেলার ডাক সাহিত্য পরিষদ গ্রুপ পরিচালনায় দক্ষ হয়ে ওঠেন। পরর্বতীতে তাকে অবেলার ডাকের সিলেট বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিজেকে অবেলার ডাকে তুলে ধরেন।
কবি শামীমা বেগম বাংলা সাহিত্যের পাঠকপ্রিয় এক পরিচিত মুখ। তিনি সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ থানার মানিক কোনা গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে ২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম সালেহা বেগম এবং পিতার নাম আতাউর রহমান। পরিবারের সাত ভাই- বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। অনলাইন সহ বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ ও ম্যাগাজিনে তার লেখালেখির ছড়াছড়ি। তার সাহিত্য রচনা ব্যতীক্রমধর্মী তাই অন্য কবিদের চেয়ে আলাদা এক স্থান দখল করে আছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা শিক্ষকতায় নিয়োজিত।
তার কবিতায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিদ্রোহ, সমাজের বাস্তব চিত্র ও কুসংস্কার, স্বাধীনতার চেতনা, ভালোবাসার কথা ফুটে উঠে। তিনি একজন অস্প্রদায়িক ও প্রতিবাদী লেখক হিসেবেও পরিচিত। বর্তমানে তিনি মাস্টার্স স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত (এমসি কলেজ, সিলেট)। তিনি (সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ) থেকে স্নাতক পাশ করেন। ইন্টারমিডিয়েট (মানিক কোনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ)। উচ্চ মাধ্যমিক (মানিক কোনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ)পাড়াকালেই সাহিত্যের প্রতি বেশ মনযোগী হন। বিশেষ করে তার স্কুলের পাঠাগারটি ছিল তার সাহিত্য চর্চা অন্যতম একটি জায়গা। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কিছু যৌথ কাব্যগ্রন্থ:- কবির কবিত্য, হাজার কবির হাজার কাব্য, সুনন্দ প্রহেলিকা, শতকাব্য-১, কবিতার মেলা আমরাই সেরা, হাজার কবির হাজার কবিতা, তুমি রবে নীরবে, প্রথম দেখায় ভালোবাসা, বিশ্ব বাংলায় শ্রেষ্ঠ কাব্য। এছাড়া অবেলার ডাক থেকে প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ “হৃদয় আকাশে মেঘ” এ অপেক্ষা নামে তার একটি কবিতা রয়েছে। একক কাব্যগ্রন্থ ‘তবুও বেঁচে আছি‘ অপেক্ষমাণ উপন্যাস “খেলাঘর” প্রভৃতি। তিনি লেখালেখি করে “মৃত্যুপুরী ফিলিস্তিন” কবিতার জন্য ২০২৩ সালে কবি সুকুমার রায় সাহিত্য পুরস্কার, সম্মাননা ও খ্যাতি অর্জন করেছেন।
অবেলার ডাকের স্থায়ী প্রতিনিধি হওয়ার বিষয়ে শামীমা বলেন, অবেলার ডাক একটি সৃজনশীল সাহিত্য চর্চার মাধ্যম। খুবই ভালো লাগছে অবেলার ডাক পরিবারের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে। অবেলার ডাক মানুষের কথা বলে, দেশের কথা বলে। আমাকে অবেলার ডাকের স্থায়ী প্রতিনিধি করায় আমি খুবই আনন্দিত। লেখালেখির মাঝেই আমি বেঁচে থাকতে চাই অন্ততকাল। সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই।
এ বিষয়ে অবেলার ডাক সম্পাদক মোঃ রিসালাত মীরবহর জানান, শামীমা বেগম যথেষ্ট আন্তরিক, মার্জিত ও সাহিত্যমনা একজন মানুষ। তার প্রতি সবসময়ের জন্য শুভকামনা থাকবে। আশাকরি তিনি তার দায়িত্ব সফল ভাবে সম্পন্ন করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102