শেখ আবু আসলাম বাবু, নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশাল এক বট বৃক্ষ, যার সুশীতল ছায়ায় খুলনা তথা খুলনা বিভাগের কবি সাহিত্যিক গবেষকদের প্রাণ স্পন্দন হতো বারবার , তিনি ছিলেন সবাকার সহজ সরল সাদামাটা এক জাত সাহিত্যসেবী ।
১ লা ডিসেম্বর ১৯৫১ সালে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার সিন্দাইন গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং দীর্ঘ বছর এখান থেকেই তার সাহিত্য সাধনা গবেষণা, সাংবাদিকতা , খুলনা বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার, কথক, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক লোকসংস্কৃতির গবেষক,,,,, গবেষণাধর্মী লেখা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখেছি এবং পড়েছি, তার লেখা ছিল তথ্য ও উপাত্ত সমৃদ্ধ, নাড়ির টানে জন্মস্থান সিন্দাইন গ্রামকে কি ভুলা যায়!! তাই নিজের নামের শেষে সিন্দাইনি লেখা শুরু করলেন। দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সাহিত্য ও মফস্বল সম্পাদক থাকাকালীন তিনি গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য খুলনার ইতিহাস ঐতিহ্য , আঞ্চলিক গান , আঞ্চলিক ভাষার জীবন গাঁথা সহ অনেক গবেষণাধর্মী লেখা আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন।
আমার প্রথম বই আর বিলম্ব নয় প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে , অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী ভাই আমার বইয়ের লেখক পরিচিতি দিয়ে আমাকে করেছিলেন উৎসাহ , জাগিয়েছিলেন উদ্দীপনা,।
আমার দাদা মরহুম সাহিত্যিক সাংবাদিক ডাক্তার আবুল কাশেম এর সাথে তার ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক , বন্ধুর মত চলাফেরা করতেন,,,, আমাদের খুলনার দৌলতপুরের বাড়িতে তিনি এসেছেন একাধিকবার , খেয়েছেন অনেক সময় সুমিষ্ট হাসি মুখে গল্প করেছেন আমাদের সাথে। আমার দাদা ডাক্তার আবুল কাশেম ১৯৮৭ সালের ৭ জুলাই ইন্তেকাল করলে দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক মরহুম আলহাজ্ব লিয়াকত আলী ভাই সিন্দাইনী ভাইকে বলেছিলেন সাহিত্যিক আবুল কাসেম স্মরণে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করতে , তিনি সানুগ্রহ চিত্তে সেই কাজটি করেছিলেন , এজন্য আমাদের পরিবার তথা খুলনাবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আজিকার এই ব্যাথতুর দিনে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় অশ্রু সিক্ত নয়নে বলবো, ঘুমাও শান্তিতে সিন্দাইনী ভাই ,,,,,,,হে আল্লাহ পাক আমাদের প্রিয় সিন্দাইনী ভাইকে বেহেস্ত নসিব করুন,,,,,, আমিন,,,,,,