মোঃ জুয়েল খাঁন, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান:
গত ১৩ মার্চ, ২০২৫ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন উত্তর গোবিন্দকাঠি এলাকার ভদ্রা নদীর পার্শ্ববর্তী একটি বাগান থেকে ভ্যান চালক মোঃ মহিদুল শেখ ( মিলন) (৩৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খুলনা জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব টি, এম, মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। পুলিশ সুপার খুলনা মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ খায়রুল আনাম, বিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যের রহস্য উন্মোচনে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮/০৪/২০২৫ ডুমুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আক্তারুজ্জামান লিটন ও এসআই (নিঃ)/ সমরেশ কুমার দাস এর নেতৃত্বে ২টি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম, খুলনা ও যশোরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। শরীফুল শেখ (৪৫), পিতা-মৃত খবির উদ্দিন শেখ, ২। মোঃ রাফসান (২৪), পিতা-শওকত শেখ, ৩। মোঃ এনাম (এনামুল) (২৩), পিতা-নুরুল ইসলাম, ৪। মোঃ গফুর ফকির (৪৩), পিতা-মৃত কাজেম ফকির ও ৫। মঞ্জুরুল সরদার (৪২), পিতা-মৃত খোদা বক্স সরদার। গত ১৯/০৪/২০২৫ সিএমপি’র সদরঘাট থানা এলাকা হতে মোঃ রাফসান ( রফসান ) ও মোঃ এনাম (এনামুলকে), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন গোবিন্দকাঠি এলাকা হতে শরীফুল শেখকে এবং যশোর জেলার কেশবপুর থানা এলাকা হতে মোঃ গফুর ফকির ও মঞ্জুরুল সরদারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের হেফাজত হতে ভিকটিমের ছিনতাইকৃত ভ্যান গাড়ীটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১৩/০৩/২০২৫ সন্ধ্যার পর গ্রেফতারকৃত মোঃ রাফসান (রফসান) ও মোঃ এনাম (এনামুল) ডুমুরিয়া থানাধীন আঠার মাইল কাঁচা বাজার এলাকা হতে ভিকটিম মোঃ মইদুল শেখ ( মিলন) এর ইঞ্জিন চালিত ভ্যান ভাড়া করে উত্তর গোবিন্দকাঠি ঈদ গা মাঠে নিয়ে আসে। সেখানে পূর্ব থেকে গ্রেফতারকৃত শরীফুল শেখ ও মঞ্জুরুল সরদার অবস্থান করছিলো। পরবর্তীতে তারা ৪ জন মিলে ভিকটিম মোঃ মইদুল শেখ (মিলনকে) ঈদ গা মাঠ হতে ডুমুরিয়া থানাধীন উত্তর গোবিন্দকাঠি গ্রাম ভদ্রা নদীর পাশে একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে হাত পা বেঁধে মারধর করতঃ শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ইঞ্জিন চালিত ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায় এবং গ্রেফতারকৃত মোঃ গফুর ফকির এর নিকট ভ্যান গাড়ীটি বিক্রি করে।
গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
একটি ক্লুলেস লোমহর্ষক হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর পুলিশ সুপার খুলনা মহোদয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ খায়রুল আনাম, বিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হওয়ায় নিহতের পরিবার ও সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেন।