লেখকঃ- জুবায়ের শেখ
জাহানপুর, চরফ্যাশন, ভোলা
মনটা কেমন যেনো আপন চিলেকোঠায় আর আবদ্ধ থাকতে চায়না! যেতে চায় দূরের দূরাশায়, "গভীর জঙ্গলের নিরালায়, নিঝুম দ্বীপে"! যেখানে নেই কোন মানুষ, শুধু আমি আর আমার প্রিয় মানুষটা ছাড়া! পার্কের ভিতরে চায়ের টং এর উপর বসে গুটি মেরে আলাপ করবো সেই মানুষটিকে নিয়ে। অনেকদিন ধরে বুকের ভেতর জমানো অনেক কথা, "কাউকে বলিনি; শুধু তাকেই বলার ইচ্ছায়"! মনের কথাগুলো একমাত্র মনের মানুষকে ছাড়া আর কাউকে বলা যায়না। বলতে হলেও ইচ্ছা হয়না! তাঁর চঞ্চল হরিণীর মনটাই যেন আমার একমাত্র জীবন! যেন তাকে না দেখলে আর কিছুই চোখে দেখা যায়না, দুনিয়টাই অন্ধকার! তার ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে আমার জীবনটা হয়তোবা প্রকাশ পাবে কামিনীর ঝার হয়ে! তাকে এক নজর না দেখলে মনে হয় চেহারাটা ধূসর কালছে বর্ণ ধারণ করে! সে ছাড়া যদি অন্য কেউ বলে তোমাকে ভালোবাসি, তাহলে এটা মনে হয় যেন একটা ঝাঁঝালো গন্ধ নাকে এসে ধাক্কা দেয়! অন্ধকারে মনে হয় সে একটা দিয়াশলাই, যে ক্ষণিকেই মনের মাঝে আলো জ্বালিয়ে আলোর ব্যবস্থা দিতে পারে! সে আনোয়াসেই বুনতে পারে দগ্ধময় ভালোবাসার সহস্র ইতিহাস। তাই ভালো লাগে আমার তাকে নিয়েই হারিয়ে যেতে দূরের দূরাশায়! কিন্তু; আমি বুঝতে পারিনি তার মৌলিক রহস্য, চিনতে পারিনি তার চন্দন মাখানো মুখোশের পরিচয়। সে আমাকে যেমন সবসময় পাশে থাকার ওয়াদা দেয় অন্যকে ও দেয়! যাকে দেখে তাকেই বলে তোমাকে কখনো ছেড়ে যাবোনা! তাই তাকে নিয়ে ক্ষনিকের ঝিলিকের চাইতে অন্ধকারের গহীন কারাগারে, একা থাকা আমি। জলে ছাওয়া নীল আকাশের মত করে তার মুখোশ হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যায়! ভালো মনে করি এটাই যে কাটুক আমার জীবনটা শোকে মুহ্যমান হয়ে। আজকের দিনটা কষ্টের হলেও একদিন অবশ্যই শান্তি ফিরে আসবে। আমি বুঝতে পেরেছি সমস্ত স্বর্গ লোকের স্বপ্ন হলো ফাঁকি। এই সমস্ত জাদুর ছোঁয়া থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা দরকার, "অন্যথায় সারা জীবনটা হতাশা ও দুর্দশায় হাবুডুবু খাবে"! তাই মিথ্যা মায়ার মিথ্যে যতন হতে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে একা থাকাই ভালো। তাহলেই দেখা যাবে আগমন ঘটবে নতুন আরেক ভোরের, যাতে ফিরে পাওয়া যাবে নতুন জীবনের স্বাদ।