নয়ন আহম্মেদ, ভেড়ামারা উপজেলা প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ঘোড়েশাহ্ বাবার মাজারে গাঁজাসেবীদের আঁখড়ায় অভিযানে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে লাঞ্চিত হয়েছেন, ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও ১ম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট আনোয়ার হোসেন। রবিবার দুপুর ২টার দিকে ভেড়ামারার কাঠেরপুল বিত্তিপাড়া এলাকায় অবস্থিত মাজারে অভিযানে গিয়ে তিনি তোপের মুখে পড়ে লাঞ্চিত হন। এঘটনায় মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রশাসনিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ভেড়ামারার সোলাইমান শাহ’র মাজার এবং ঘোড়েশাহ্ বাবার মাজারে দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের হাট বসে। গাঁজাসেবীদের আঁখড়ায় পরিনত হয় পুরো মাজার এলাকা। এবছর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় ২টি মাজারেই মাদক নিয়ন্ত্রন এবং গাঁজার আঁখড়া উচ্ছেদ করা হবে। চলতি মাসের প্রথম দিকে গোলাপনগরে অবস্থিত সোলাইমান শাহ্ মাজারে মাদক ও গাজার আঁখড়া নিয়ন্ত্রন হলেও ঘোড়েশাহ্ বাবার মাজারে শুরু হয় মাদক ও গাঁজার আঁখড়া। গত ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ঘোড়ে শাহ বাবার মাজার। পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে চলবে। সপ্তাহে ২ দিন শুক্র ও সোমবার চলে এই আঁখড়া। মাজার শুরুর আগেই প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল গাঁজার আঁখড়া না বসাতে। তথাপিও প্রশাসনের সেই নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাজারে মাদক কারবারী ও গাঁজা সেবীরা মাজারের পবিত্রতা নষ্ট করে পুরো মাজার এলাকা গাঁজার আখড়ায় পরিনত করে। এমন সংবাদ পেয়েই গতকাল রবিবার দুপুর ২টায় সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযানে যান, ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন। তারা অভিযান শুরু করতে গেলে সেখানে বাধা দেন মাজারে উপস্থিত মাদক কারবারী এবং লাল পোশাক পড়া বিশেষ একটি গোষ্টি। এসময় তারা ১ম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন ও অভিযানে থাকা টিমের সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন। পরে তোপের মুখে পড়ে নিজেকে রক্ষা করেই ফিরে আসেন কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন এসিল্যান্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও মাজারে গাঁজার আখড়া উচ্ছেদ বা গাঁজা খাওয়া বন্ধ করলে মাদক কারবারী, মাদক সেবন কারীরা রাজপথে মিছিল বের করে ভেড়ামারা থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেছিল।