সর্বদা প্রশংসা করি মহান আল্লাহর,
যিনি দান করেছেন আলো ও ধরার।
সাত আসমান গড়ে তুলেছেন নিজ হাতে,
অলঙ্ঘনীয় পরিপাটি নিয়মে বাঁধা তাতে।
জমিন করেছেন বিস্তৃত বিছানা,
সেথায় রেখেছেন নদী, পাহাড় প্রাণের ঠিকানা।
তাঁর হুকুম ছাড়া নড়ে না পাতা ও,
অদৃশ্য থেকে চালান তিনি জগতের বাতাসও।
সূর্য চন্দ্র করে গমন নির্ধারিত পথে,
দিন-রাত আসে যায় সৃষ্টির তালে তালে।
গভীর সাগরে রেখেছেন মুক্তার ঘর,
তারই কুদরতে চলে গ্রহ নক্ষত্র সব অপার ।
নিশান রেখেছেন সৃষ্টি জগত জুড়ে,
বোঝে সেই যার অন্তরে ঈমান গড়ে।
কথা বলেন না তবু সবে পাঠায় বার্তা ,
“আল্লাহ্ এক তিঁনিই সঠিক দিশা দাতা।”
চোখে না পড়লেও প্রমাণ তাঁর অসীম,
সাত আসমান জমিন তাঁরই দয়ায় শ্যামল সসীম।
প্রশংসা তাঁরই যিনি সব জানেন,
তাঁরই প্রতি সেজদা যিনি ক্ষমা দেন।
দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াও তোমরা আজ,
বহু কষ্ট বহু ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা আছে তাদের রোজ।
ভাঙা ঘরের ছায়ায় জ্বলে না আশার আলো,
তবুও তারা বাঁচে হৃদয়ে পোষে সুখের স্বপ্ন গুলো।
শীতের রাতে কাঁপে তারা উষ্ণতার বদলে হিম,
তাদের চোখে স্বপ্ন নেই আছে শুধু গোপন জ্বালার ঋণ।
একটুখানি হাসি দিলে ফুটে ওঠে মুখে চাঁদ,
মানবতা কি ভুলেছি আজ হৃদয় কি ছুঁয়েছে সেটা।
এক মুঠো খাবার একটুখানি স্নেহছায়া,
তাদের জীবন বদলে দিতে পারে অবিরাম মায়া।
তোমার পুরনো জামা হতে পারে কারও নতুন বস্ত্র,
তোমার একটু সময় দিতে পারে কারও জীবন তত্ত্ব।
এই সমাজের আমরা সবাই দায়িত্ব আছে সবার,
সহানুভূতির আলো ছড়িয়ে দাও
হোক না জীবন সুন্দর তার।
দুঃখ-দুর্দশা ভাগ করে নাও
গড়ে তোলো মানবতার বন্ধন ,
তোমার একটু ভালোবাসা
গড়তে পারে আগামীকালের স্পন্দন ।
মুসলিম কন্ঠস্বর জেগে উঠবে একদিন,
ভাঙবে নীরবতা ফিরবে আলোর ঋণ।
অন্যায়ের ছায়া ছিন্ন হবে চিরতরে,
জুলুমের শাসন গুঁড়িয়ে যাবে ধ্বংস স্তরে।
যেদিন আসমানে উঠবে মুক্তির ধ্বনি ,
মানবতার জয়গান বাজবে গগনভেদী সুরে জানি ।
সেদিন হবে বৈষম্য সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন,
ভ্রাতৃত্ব ন্যায় আর শান্তির হবে সূচনা তখন।
অহঙ্কারী ধনীর মাথা হবে নত,
অসহায় মানুষের মুখে ফুটবে নতুন তত্ত্ব।
ইসলামের আলো ছড়িয়ে যাবে দূর,
সত্য-ন্যায়ের পথে ফিরবে বিভ্রান্ত সুর।
উঠবে নব আলো পথ দেখাবে সুদূর,
শিক্ষা আর মেহনতে গড়বে ভবিষ্যৎ বহুদূর।
কন্ঠস্বর নয় শুধু হবে কর্মের বাণী,
নতুন সমাজ গড়বে মুসলিম তরুণ তরুণী।
নীরব রাতের আঁধারে বাজে,
অদৃশ্য এক কোলাহলের সুর।
না বলা কিছু গল্প জমে,
চোখের পাতায় ভাসে নূর।
পাখিরা ঘুমায় গাছেরা চুপ,
তবু বাতাসে ভেসে আসে কথা,
মনের গভীরে শব্দের ঢেউ,
নীরবতায় জাগে ব্যথা।
চাঁদের আলো নেমে আসে ধীরে,
ভেঙে দেয় নিস্তব্ধতার প্রাচীর।
একাকী হৃদয় খোঁজে আশ্রয়,
আলো-অন্ধকারে হয় সমীর।
এই কোলাহল বড়ই নিজস্ব ,
শব্দহীন এক আকুতি যেন আসে।
ভেতরের আমি বলে ওঠে চুপে তখন ,
“আমি আছি হারাইনি তো এখনো।”