অথই নূরুল আমিন
দেশজুড়ে আজকে সংবাদপত্রের ছড়াছড়ি। ঢাকাসহ জেলা উপজেলা পর্যন্ত আজকে দৈনিক সাপ্তাহিক পাক্ষিক মাসিক এছাড়া ২৪ ডটকম ( অনলাইন ) তো আছেই। দেশের এত সংবাদ প্রকাশনায় জাতির কি কোনরকম কল্যাণে আসছে?
সংবাদপত্র টেলিভিশন রেডিও সহ সকল প্রচার মাধ্যম সবার আগে এবং সর্বপ্রথম একটি দুঃসংবাদ দিয়ে শুরু করা হয়। সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনাম হয় একটি অসুন্দর খবর দিয়ে। এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। দুর্নীতির সকল খবর তুলে ধরা হয়।
অনেক সংবাদপত্র বা টেলিভিশনের শ্লোগান হলো “যেখানে দুর্নীতি সেখানে আমরা ” এই সমাজের দুর্নীতি প্রকাশ করার পর দেশের দুর্নীতি কি কমেছে, মোটেই না। এই দেশে সকল সরকারের আমলে দুর্নীতি হয়েছে।
তাহলে দেশের টেলিভিশন দেশের সংবাদপত্র যদি মনে করে। আমরা সবার আগে সেই খবর প্রচার করব। যেটা সমাজের জন্য ভালো। এবং তাদের জীবনী প্রচার করব যারা জনসেবা করে আসছে। যেসকল সংগঠন সমাজসেবা করছে। একটি ভালো নিউজ দেশের নব্বই ভাগ মিডিয়া টাকা ছাড়া ছাপতে চায় না।
অথচ দুর্নীতির খবর ছাপতে গিয়ে দুর্নীতিবাজদের সাথে সাংবাদিকরা ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে যায়। দেশের কোন জায়গায় দুর্নীতি হচ্ছে। সারাদিনব্যাপী কিছু সাংবাদিক হন্যে হয়ে খোঁজে বেড়ায়। একটি মন্দ সংবাদ দেশে মিনিটের মধ্যে ভাইরাল করে দেয়া হয়। অথচ কোনো দুখী মানুষের খবরটা অনেক সময় টাকা ছাড়া পত্রিকায় ছাপতে চায় না।
দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করে দেখেছি। মিডিয়া গুলো সমাজের সবচেয়ে মন্দ খবরগুলো ভাইরাল করছে। যা থেকে সমাজ আরো মন্দের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ” ছাত্র বিয়ে করেছে শিক্ষিকাকে ” “চাচী পলায়ন করেছে ভাতিজার সাথে ” মামী পলায়ন করেছে ভাগ্নের সাথে ” “দাদী বিয়ে করেছে নাতিকে ” মেয়ের স্বামীর সাথে শাশুড়ির পলায়ন ” এরকম অসংখ্য অসামাজিক ঘটনা প্রতিনিয়ত ছাপছে পত্রিকা গুলো। তখন সাংবাদিক সম্পাদক আর কারো কাছেই টাকা চাচ্ছে না। এ যেন কিছু মিডিয়ার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
অথচ সেইসব মিডিয়ার সাংবাদিকদের কে যদি বলেন। গরিবের মেয়েটার বিয়ে হচ্ছে না। একটা সাহায্যর আবেদন ছেপে দিন, বা অর্থসংকটে এই গরিব লোকটার চিকিৎসা হচ্ছে না। একটি নিউজ করে দিন। তখন দেখবেন এই সাংবাদিকের কত বাহানা চলে। পত্রিকায় বা মিডিয়ায় সবধরনের খবর ছাপা হবে বা প্রকাশ হবে। এটা ঠিক আছে। কিন্তু ভালো নিউজ গুলো, সমাজের পজেটিভ নিউজ গুলো,বড়ো বা প্রধান শিরোনাম হোক। সমাজে এতো ভালো কাজের আছে যে যদি সবগুলো খবর ছাপা হয়। তাহলে মন্দ খবর ছাপা বা পাঠ করার সময়ই পাবে না সাংবাদিকেরা।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী