স্টাফ রিপোর্টার:
প্রত্যেক শিশু এক একটি দিন গুনতে থাকে কবে তার জন্মদিন হবে আর কবে বন্ধুদের নিয়ে কেক কাটবে। শিশুরা একটু আনন্দে থাকতে পছন্দ করে।সময় চলে যায় তারই সাথে সাথে শৈশবের সব স্মৃতি পেরিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠে পড়ালেখার জীবন। সময় কারো জন্য থেমে থাকেনা। বছর ঘুরে ঘুরে ৬টি বছর পেরিয়ে ৭ম বছরের আগমনে আবারো জন্মদিন এসে গেল। শিশু শিল্পী আয়ান ২৩শে এপ্রিল কেক এবং চকলেট নিয়ে খুলনা আর্ট একাডেমিতে ছবি আঁকার ক্লাসে এসে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে জন্মদিন পালন করে। তার পর খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বাবুকে কোলে নিয়ে খাতা পেন্সিল উপহারস্বরূপ বাবুর হাতে তুলে দেয় এবং বাবুকে আশীর্বাদ করে। এসময় খুলনা আর্ট একাডেমির হ্যান্ড রাইটিং শিক্ষক বাবু ধনঞ্জয় রায় আয়ান বাবুর উদ্দেশ্যে বলেন আজ এই শুভদিনে আশীর্বাদ করি পহেলা বৈশাখে জোহরা খাতুন স্কুলে ছবি আঁকায় অংশগ্রহণ করে নার্সারি গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে যে সুনাম বয়ে এনেছে আশা করি ভবিষ্যতেও এমন করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বয়ে আনবে।জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে অনেক সফলতা আসুক।ইচ্ছাগুলো পূরনহোক।অনেক বড় হও।মা-বাবাকে গর্বিত করতে পারো এই প্রার্থনা করি স্রষ্টার কাছে।আমরা সকলে তোমার সুন্দর ভবিষ্যৎ আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন সবাই আমাদের আয়ান বাবুর জন্য আর্শীবাদ করবেন। এসময় সকলের উপস্থিতিতে আয়ানের মা অনুভুতি প্রকাশ করেন আমার ছেলে খুলনা আর্ট একাডেমিতে কেক কাটবে এমন বায়না ধরে তখন আমি নিজেই একটি নির্ভেজাল কেক তৈরি করে খুলনা আর্ট একাডেমিতে নিয়ে আসি।বাবুর জন্মদিনে খুলনা আর্ট একাডেমির শিশু শিল্পী সহ শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নিয়ে এরকম একটি সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করে দেওয়ার জন্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।আয়ান বাবু অনুভূতি জানায় তার খুব ভালো লেগেছে স্যারের সাথে কেক কেটে স্যারের কোলে উঠে ।খুলনা আর্ট একাডেমির কেক কাটার পর্ব টা একটু ভিন্ন হয় যা শিশুদের মন আকৃষ্ট করে। সর্বশেষ চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস উপস্থিত সকল অভিভাবকদের বলেন আপনারা সবাই আয়ান বাবুর জন্য আশীর্বাদ করবেন আগামী জন্মদিনে আবারো আমরা মিলিত হবো এমন প্রত্যাশায় সকলের কাছ থেকে শুভ কামনা প্রত্যাশা করে আয়ানবাবুকে আশীর্বাদ করে জন্মদিনের পর্ব পরিসমাপ্তি ঘটায়।