রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

নারীর জীবনের কিছু গল্প

Coder Boss
  • Update Time : বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৯ Time View

 

উম্মে কুলসুম খন্দকার

গল্পের শুরুতেই নিজের জীবনের কিছু সত্য ঘটনা দিয়ে শরু করলাম, জীবন এমন একটা অদ্ভুত রহস্যময় কার জীবনে কখন কি ঘটে বলা যায় না। এই বয়সটাতে এসে বুঝতেছি বাস্তবতা খুবই কঠিন। ২০২৪ সাল, দেখতে দেখতে কেটে গেলো সালটা আমার জন্য সেরা না হলেও অনেক স্মরণীয় ছিলো। বছরটা তে আমি অনেক হোঁচট খেয়েছি। আপন পর চিনেছি। যাদেরকে মনের গহিনে রেখেছিলাম তারাই সময় বুঝে সেই স্থানটাতে ছুড়ি মেরেছে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মনে হচ্ছে দুঃখে কষ্টে চৌচির হয়ে গেছে। জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে মানুষকে হাসি-খুশি রাখতে যেয়ে দিনশেষে নিজের নামেই বদনাম লেপ্টে নিয়েছি। সত্যি বলতে যে মানুষ সবসময় হাসে তার অতিতটা ঘেঁটে দেখো নিজেই কেঁদে ফেলবে। এই পৃথিবীতে সেই সব থেকে ধোঁকা খায়, যে নিঃসন্দেহে মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে যায়। যাকে নিজের জীবনের সবটুকু দিয়ে বিশ্বাস করেছি, অনেক কিছু সেক্রিফাইস করেছি তার ভালো কিছুর জন্য নিজে আপ্যায়ন চেষ্টা করেছি। সেই পিছন থেকে ছুড়ি মেরে বুঝিয়ে দিয়েছে আসলে পৃথিবীতে সত্য বলতে কিছু নেই। মিশুক প্রকৃতির মানুষকে মানুষ সস্তা মনে করে। আপনি মানুষকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করবেন, তারপ্রতি প্রচুর আশা রাখবেন, সে মানুষটাই এমনভাবে ঠকাবে জীবনে ভুলতে পারবেন না। প্রতিটি মানুষেরই উপর দিয়ে কিছু না কিছু ঝড় বয়ে গেছে। কেবল মাত্র সেই, সে ঝড়ের তীব্রতার মাত্রা অনুভব করতে পারবে, যে সম্মুখীন হয়েছে এই ঝড়ের। একটা মানুষকে দেখতে যতটা সুখি মনে হয়, খোঁজ নিয়ে দেখবেন তার ভিতর থেকে সে ততটা সুখী নয়। আর সমাজে চলতে গেলে ব্যর্থতা আসবেই, তার জন্য কখনো হার মেনে নেয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, প্রতিটা অন্ধকার রাতের পরেই কিন্তু একটা সুন্দর সকাল আসে। সবশেষে নিজেকে যদি বাঁচার মতো সুন্দর করে গড়ে নিতে চান, নিজের পায়ে নিজেকে দাঁড়াতে হবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। এরই মাঝে নানান মানুষ নানানধরনের মন্তব্য করবে তা এড়িয়ে চলতে হবে। আমাদের কিছু কিছু মানুষের জীবন কাহিনীতে এমন কিছু রহস্যময় ঘটনা জড়িয়ে আছে, যেখানে বুকফাঁটা কষ্টের আহাজারি। মানুষ যতদিন সমাজের সামনে বোকা হয়ে থাকবে, ততদিন সম্মান ঠিক। যখন থেকে সেই বোকা লোকটা ধীরে ধীরে চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং তার নিজের সাথে ঘটে চলা অত্যাচারের দিকটি তুলে ধরবে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। ভুল জিনিসগুলো সমাজের লোকদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে ঠিক তখন থেকে শুরু হবে তার নামে বিভিন্ন ধরনের অপবাদ এবং তার চরিত্রে কলঙ্ক লাগিয়ে দিবে। আর ঠিক তখন থেকেই দু’দিকে থাকা দুজনের মাঝে ফাটল ধরা শুরু হবে এবং সম্পর্ক শেষ হওয়ার হুমকি চলে আসবে। আসলে কিছু কিছু মানুষ মনে করে ভালোবাসা রূপ আর টাকা

পয়সা দিয়েই টিকে থাকে, একটা সংসার টিকে থাকার জন্য রুপ আর টাকার প্রয়োজন নেই। একটুখানি বিশ্বাসের প্রয়োজন, আর ভালোবাসার জন্য রূপ নয় একটা ভালো মনের প্রয়োজন। একটা ছেলে বা মেয়ে তখনই জীবন সুন্দরভাবে কাটাতে পারে, যখন কোনো একজন ব্যক্তির চেহারার চেয়ে মনটা অনেক সুন্দর।

মেয়েদের বিয়ের পর সমাজের আর শ্বশুড় বাড়ির মানুষকে ভালোভাবে মানিয়ে চলার জন্য মুখ বুঝে সব সহ্য করে নিবে। কিছু কিছু সময় যদি মুখ ফসকে কিছু প্রতিবাদ করে ফেলি তাহলে দিনশেষে বদনাম আমাদের মেয়েদের ঘাড়ে এসে পড়ে। পৃথিবীতে মানুষ কাঁদতে কাঁদতে জন্মায়, অভিযোগ করতে করতে করতে বাঁচে এবং আফসোস করতে করতে এই পৃথিবী থেকে চলে যায়। আমাদের মেয়েদের জীবনটা আসলেই অনেক অদ্ভুত আমাদের নিজের বলতে কিছু নেই, নিজের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। একটা মেয়ে তখনই সব থেকে বেশি সুখী হয়, যখন তার বিয়ের পর তার স্বামী হাতে হাত রেখে বলে প্রিয় বউ যেদিন তোমার চুল সাদা হয়ে যাবে মুখে কালো দাগ পড়ে যাবে, তুমি কথা বলার সময় তোমার কণ্ঠস্বর কাপতে থাকবে মনে রেখো সেদিনও তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা একটুও কমবে না। একটা মেয়ের জীবন কাহিনি খুব কষ্টদায়ক, আর সে কষ্টের পরিমাপ সব স্বামীরা বুঝতো তাহলে আর কোনো সংসারে অশান্তি হতো না। একটা মেয়ে তার শখের স্বামীকে বাবা ডাক শুনানোর জন্য মৃত্যুর মতো ভয়ংকর কষ্ট সহ্য করে নেয় মুখ বুঝে, যে মেয়েটা ইনজেকশন নামক সূচকে অনেক ভয় পায়, সেই মেয়েই সিজার নামক মৃত্যু ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে স্বামীকে বাবা ডাক শোনায়। জীবন হলো জলের নৌকা কখনো সুখের পাল তুলে, কখনো কষ্টের স্রোতে ভাসে, কখনো ছুটে যায় ভালোবাসার টানে, কখনো থেমে যায় অজানা অভিমানে। মানুষ তুমিও চিনবে যখন খারাপ সময় আসবে। একটা মেয়ে সব সময় অসহায় কখনো তার পরিবারের কাছে, কখনো তার ইচ্ছের কাছে, কখনো তার স্বপ্নের কাছে। একটা মেয়ে তার জীবনের প্রত্যেকটা সময় বেঁচে থাকে অন্যের জন্য। জন্মের পর বাবা মায়ের জন্য, বিয়ের পর স্বামীর জন্য, সন্তান হবার পর সন্তানের জন্য আসলে মেয়েদের জীবনে নিজের জন্য কি চাওয়া থাকে না। কাউকে খুব বেশি আপন করতে নেই কারণ সেই আপন লোকগুলোই জানে ঠিক কোথায় আঘাত করতে হয়। আমরা কিছু মানুষের জন্য নিজের মূল্যবান সময়টুকু ব্যয় করে ফেলি দিনশেষে যেয়ে দেখি আমাদের সফলতার পথ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। দুঃখ একটাই মানুষ চিনতে ভুল করেছি। একটু ভালো আচরণ করলেই বিশ্বাস করে ঠকেছি। জীবনের এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি না ভালো আছি না খারাপ নিজেও জানিনা। জীবনের কিছু গল্প শুরু হওয়ার মাঝের পথেই শেষ হয়ে গেছে। হয়তো সাজাতে পারবো না আর আগের মতো করে, সময়ের স্রোতে সব আপন মানুষগুলো পর হয়ে যায় শুধু রয়ে যায় স্মৃতি যা নিরবে কাঁদায়। যারা খুব কাছের মানুষ খুব পরিচিত হয়েও দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়েছে, আমি চাই তাদের সাথে আমার আর দেখা না হোক কথা না হোক। পিছনে বদনাম করে সামনে এসে আন্তরিকতা দেখানো লোকগুলোর থেকে দূরে থাকাই উত্তম। কারণ এরা প্রকাশ্য শুক্রর চেয়েও ভয়ংকর। যে মানুষটা সবসময় সবাইকে ভালো থাকার পরামর্শ দেয় সেই মানুষটাই কখনো কখনো নিজেকে ভালো রাখার পথ খুঁজে পায় না। সবসময় হাসি-খুশি থাকা মানুষটা দিন শেষে নিজের চোখের জল লুকিয়ে রাখতে পারে না। জীবন থেকে এতো তাড়াতাড়ি আনন্দগুলো হারিয়ে যাবে কখনো ভাবতে পারিনি। সবশেষে নিজেকে অনেকটা পরিবর্তন করে নিয়েছি। একাকিত্বকে সঙ্গী বানিয়ে পথচলা শুরু করেছি, প্রত্যশা করছি, এই বছরটা আমার জীবনটাতে নতুন কিছু ঘটবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102