মাঠ ভরা জোড়া ফসলের ক্ষেতের দিকে
অবাক বিস্ময়ে তাকায় ক্লান্ত চাষী!
আপন মনে প্রশ্ন জাগে
ভূমি এতো উর্বর কেন?
কেন এই মাটিতে ফসলের এমন ছড়াছড়ি?
অতীতের আয়না হাতড়িয়ে বোঝে
এই মাটিতে মিশে আছে–
এদেশের বীর সন্তানদের রক্তবীজ,
নদী গুলোতে আছে হাজারও মায়ের চোখের জল।
এমন মাটি-জল আর কোথায় আছে?
এদেশের মাঝি, রাখাল,বাউল
কোথায় পেলো এমন পাগল করা সুর?
কোথায় পেলো এমন সুমধুর কন্ঠ?
কোকিলের মিষ্টি মধুর কুহুতান।
ঢোল,একতারা,খন্জনী হয়েছে তার দোসর;
কৃষ্ণচূড়ার কুঁড়ি দিয়েছে শব্দ,
কার সাধ্যি আছে এমন গান বানাবার?
ভিনদেশী কোথায় পাবে এমন মধুর কন্ঠ?
এই মাটিতে,কোথা থেকে এলো এত কবি?
কে জন্মালো এতো লেখক?
বর্ষার বিলে ফোটা লাল-সাদা শাপলা,
শরতের শিউলীর গন্ধ,
দক্ষিণা বাতাস উদাসী জোছনা
কলমের তুলি নিতে বাধ্য করেছে লেখককে।
শ্রমিক,চাষা,বৃদ্ধ বা কিশোরকে
এই মাটি একদা বানিয়েছিলো অকুতোভয় যোদ্ধা।
বাংলাই হোক আমার শেষ ঠিকানা
এই মাটির উর্বরতায় মিশে ধন্য হোক দেহ।
হয়তো একদিন আমার বুকের উপরে,
দুলবে সোনালী ধানের শীষ!