অথই নূরুল আমিন
আপনি একদল চোর দিয়ে রাষ্ট্রের ভালো কাজ করাতে পারবেন না। সে যতবড় শিক্ষিত হোক না কেন। কমিশন বাণিজ্য যদি সে শিখে যায়, তাহলে সর্বনাশ। আগ্রার তাজমহল নির্মাণকাজে কোনো দুর্নীতি হয়নি বিধায় পৃথিবীর এক আর্চায্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আজও।
আমাদের দেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি বিষয় জন জীবনে চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে আছে। অথচ শুধুমাত্র সরকারে সৎ লোকের অভাব আছে বলে এই কাজগুলো আর করা সম্ভব হয়নি। তার মধ্যে এক নম্বরে আছে ঘুষ বাণিজ্য। দ্বিতীয়ত আছে কমিশন বাণিজ্য। তৃতীয়ত আছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্য। এগুলো কিন্তু সবই করছে সরকারি কর্মকর্তারা।
আমরা জাতি হিসাবে নর্মদার বসে যেন সুঘ্রাণ নিচ্ছি অনেকেই। অনেকেই পোস্ট দিচ্ছি ইউনূস সরকার ভালো। আরো পাঁচ বছর থাকুক। ইউনূস সরকার কিসের ভালো? বতর্মান সরকার কি ঘুষ বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্য নির্মূল করেছে? না করেনি। তার কারণটা হলো। বর্তমান সরকারে যারা আছে তারা সবাই কমবেশি ঘুষের সাথে কমিশন বাণিজ্যর সাথে জড়িত। এটা কিন্তু নিশ্চিত করেই বলা যায়।
এদিকে সমগ্র ঢাকা শহরটা আজকে অচল যানজটের কারণে। এই যানজট নিরসন করতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দিলাম। কোনো উত্তর পেলাম না। কিভাবে উত্তর পাবেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আরো বড়ো বড়ো দুর্নীতিবাজেরা চাকরি করছে। যার ফলে চিঠির উত্তর পাওয়া যায় না।
বতর্মান সরকার সংস্কারের নামে অহেতুক সময় নষ্ট করছে। ওরা কিসের সংস্কার করবে। সরকারি আমলাদের ঘুষ নেয়া যদি বন্ধ করতে না পারে। ঘুষ ছাড়া যদি চাকরির ব্যবস্থা করতে না পারে। ঢাকাসহ সারাদেশের যানজট যদি কমাতে না পারে। তাহলে ওরা কিসের সংস্কারের কথা বলে? আসলে কিছুই করতে পারবে না। তার কারণ হলো। বর্তমান সরকারের নতুন এবং পুরাতন সবাই নতুন করে দুর্নীতি শুরু করেছে। বাহিরে টাকা পাচার হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ হচ্ছে।
বর্তমানে যেসক রাজনৈতিক দল নির্বাচন চাচ্ছেন। তারাও কিন্তু কেউ সরকারের দুর্নীতি নিয়ে যানজট নিয়ে কিছু বলছে না। তার কারণ কি? যারা কয়েকদিন পরে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবেন। তারাও কিন্তু জনগণের সুবিধার জন্য এই সরকারকে কোনো চাপ প্রয়োগ করছেন না। ঘুষের বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না। তবে যারাই ক্ষমতায় আছেন। এবং যারা ক্ষমতায় আসবেন। মনে রাখবেন সৎ লোক ছাড়া কিন্তু সুন্দর সেবা জনগণকে দেয়া কঠিন হবে।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী