লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
নিরাপত্তা করিডোর নিয়ে বোদ্ধা লোকেরা বেশ শোরগোল করছেন! যারা জানেন সিরিয়া ইরাক দঃ সুদান কঙ্গো নিরাপত্তা করিডোরের ভোগান্তি! অবশ্য আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল গুলো তেমন মাথাব্যথা নাই কারন সবাই পাকিস্তান আদলে দেশ চেয়েছেন তা পেয়েছেন! শুনেছি বাংলাদেশের কোন কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে আলসার অপারেশনের নামে “কিডনি চুরি করে নিতো”! বাংলাদেশের কিডনি চুরি হয়ে গেছে তা বোঝার মত রাজনীতিবিদ বোধহয় এখন আর এ দেশে নাই! বাংলাদেশে ৫ ই আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর একজন আন্তর্জাতিক সন্মানিত অরাজনৈতিক ব্যক্তি ক্ষমতায় এলে অনেকে মনে করেছিলেন, দেশ নতুন ভাবে চুরি চামারি পাচার সুদ ঘুষ মুক্ত একটা দেশ হবে! আমাদের মত কিছু বোকা অনেক আগেই শেখ হাসিনার বেশ কিছু উন্নয়ন টেকসই হচ্ছে না, আইনের শাসন সহ দলের দাপটের বিরুদ্ধে বার-বার লিখেছি, ব্যাংকগুলোর লিকুইড মানির থেকে অতিরিক্ত লোন দেয়ার বিরুদ্ধে লিখেছি, ইউপি চেয়ারম্যান সহ সাংসদ মন্ত্রী উপদেষ্টা কেউ জবাবদিহিতায় নাই তুলে ধরেছি! বার-বার শাস্তি ও পেয়েছি, আইডি সাসপেন্ড সহ মাসাধিক বন্ধ করেছে!
সমস্ত লেখা ডিলিট করেছে ” ভারতের মোদির বিরুদ্ধে লেখার জন্য”! নতুন আইডি খুলতে হয়েছে! তবে টুইটার ব্লগ পত্রিকা বন্ধ হয় নাই!
প্রিয় পাঠক, ৫ ই আগষ্টের পর দেশের অবস্থা দ্রুত পাল্টে যেয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা যখন ক্ষমতা পেলেন তখন আমরা বুঝতে শুরু করলাম ক্লিনটন ফাউন্ডেশন, বাইডেন স্যার কিসব মন্ত্রে দীক্ষিত করে গেছেন! যখন সংখ্যা লঘূ নিরাপত্তা, নাগরিক জানমাল রক্ষা, ঐতিহাসিক স্হাপনা ধ্বংসের দিকে ভ্রুক্ষেপহীন সরকার, সেন্ট মার্টিন পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ করলেন সন্মানিত উপদেষ্টা, পাকিস্তান শীপ এসে ভিড়লো, জলবৎ তরলং হয়ে গেলো আমাদের মত বোকাদের কাছে, ট্রাম স্যার এসে “মোদিকে” গলে লাগালেন, বাংলাদেশের ২৯ মিলিয়ন ডলার শ্লেষ স্বরে বর্ননা করলেন কিন্তু বাংলাদেশ সংখ্যা লঘূ নির্যাতন প্রথমে বললেও পরে চুপ মেরে গেলেন তখন বুঝলাম বাইডেন স্যারের মন্ত্র গুলো উনার কানে এসে গেছে, বাংলাদেশে মার্কিন স্বার্থ বুঝে ফেলেছেন!
বুঝলাম, বৃটিশদের মত আর-একবার কারো নাগপাশে জড়িয়ে গেলো বাংলাদেশ নামক “ব” দ্বীপটা!
প্রিয় পাঠক, সব কাজ শেষ হয়তো! আমরা এখন বিরাট শক্তিশালী। পাকিস্তান ভারত যুদ্ধ হলে সেভেন সিস্টার্স দখলে নেবো আমদের ক্ষমতাশীনরা যখন বলেন তখন বুঝি আমরা পূর্ব পাকিস্তানে বাস করছি! পাক ভারত যুদ্ধে এগিয়ে গায়ে হলুদ বাংলাদেশ লাগাবে না! আরকান আর্মির জন্য বাংলাদেশ কোনদিন করিডোর দেবে না!
ভারত এখন একা, আমরা শক্তিশালী, আমাদের পিছে আছে পাকিস্তান আমেরিকা, পরোক্ষভাবে চীন আর-ও কতজন! সব কাজ শেষ —-
১৯৮৪ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী কে তার দুই শিখ বডিগার্ড সৎবন্ত সিংহ ও বিয়ন্ত সিং মাত্র ৩০ টা গুলিতে ইন্দ্রার বুক ঝাঁঝরা করে দেন! ঢলে পড়লেন ইন্দ্রা মাটিতে! সৎবন্ত পালিয়ে যান নাই, দু-হাত উঁচু করে অন্য নিরাপত্তা রক্ষিরদের তিনি বলেছিলেন,
“আমার কাজ আমি শেষ করেছি তোমাদের কাজ তোমরা করতে পারো! ” বাংলাদেশের কাজ শেষ যা ইচ্ছে আপনারা করতে পারেন! স্মর্তব্য, সৎবন্ত ও বিয়ন্ত মাসাধিক ছুটি কাটিয়ে এসে কয়দিন আগে জয়েন করেছিলেন এবং পুরো ছুটি তারা আমেরিকা ভ্রমনে ছিলেন, যতদূর মনে পড়ে তখন এমন একটা নিউজ পড়েছিলাম!
আগামী কাল অপরিনামদর্শী নির্বোধ শেখ হাসিনা কে এবং গনতন্ত্র নয় সন্ত্রাসী খোঁজা “তারেক রহমান” কে এক সাথে ক্ষমতায় বসায় দিলে-ও সেই বাংলাদেশ আর উদ্ধার হবে না যে বাংলাদেশ ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত খালেদা হাসিনা শাসন করেছিলেন! কাল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা যদি সৎবন্ত সিংহের মত বলেন এবং আপনাদের বাংলাদেশের সিংহাসনে বসায় দেন তাতে অবাক হবার কিছু নাই, ইনশাআল্লাহ তিনি জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হবেন! এদেশের ক্ষমতা তার দরকার নাই!
আগামীতে জাতিসংঘের বা মার্কিন এইডের নামে হেলিকপ্টার বা ড্রোন বা সেনা বা অস্ত্র বহনকারী লরি ঢুকবে, সিরিয়া ইরাক লিবিয়া গাঁজা আফগানিস্তানের মত, বাড়ীতে বসে দেখতে পাবেন! এটা কে একসময় Safe jone ঘোষনা করে পরোক্ষ দখল, NATO presence, WFP WHO UNHCR MSF এমন ভাবে ব্লু হেলমেট দখলদার, হয়তেো হবে U N managed muslim think park. ৫০ হাজার মাদ্রাসা ছাত্র খুশি, সাড়ে চার লাখ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন মিলে ৯ লাখ নায়েবে রাসুল খুশি, মাঝে মাঝে বোম ফুটলে দোষের কিছু না, NGO তাঁবু বসলো, C I A, N S I, MOSSAD ঘোরাঘুরি — আর আমাদের দেশের শিক্ষিত অশিক্ষিতরা তো বাক-বাকুম হাসিনা তাড়িয়েছি, খালেদা কে বনবাসে দিয়েছি ! হাসিনার শক্তিশালী ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামীলীগ অঢেল কামিয়ে পালিয়েছে, খালেদার বাহিনী কামাচ্ছে আওয়ামী পুনর্বাসন নামে!
“নিরাপত্তা করিডোর” অনেকটা মেহমান কে জায়গা দিতে বাড়ি বিক্রি করে দেয়া শামিল !
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজেকে ভালোবাসেন!