এম.ক জাকির হোসাইন বিপ্লবী
গত ৩০/১২/২০২৪ ইং তারিখে শশারকান্দা গ্রামে চাচা সুরুজ মিয়া এবং ভাতিজা সিরাজ মিয়ার মাঝে জায়গা জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে তর্ক বিতর্ক হয়। উক্ত তর্ক বিতর্কের সূত্র ধরে এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। শশারকান্দা গ্রামের জাহান ফকিরের ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর (১৮) ঘটনা সম্পর্কে জানার পরে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এবং উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বাদি পক্ষের সিরাজ মিয়ার স্ত্রী জাহাঙ্গীরকে বটি দিয়ে আঘাত করে।সেই সময় জাহাঙ্গীরের বড় ভাই সূর্য আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যসূত্রে জানা যায়, দুই ভাই মিলে চেষ্টা করছিলেন সমস্যার সমাধান করা। কিন্তু এক পর্যায়ে এক ভাই আহত হয়। পরবর্তীতে সেটা দাঙ্গায় পরিণত হয়। উভয় পক্ষেই আহত হয়েছে কয়েকজন।
পরবর্তীতে বিষয়টিকে নিয়ে এলাকার আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ডাঃ রফিক মিয়া ও ওয়ার্ড মেম্বার গোলাম কিবরিয়া প্রতিহিংসা মূলক মামলা দায়ের করে। যে মামলার সূত্র বিশেষ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত তিনজন, অথচ মামলার আসামি করা হয়েছে ১১ জন। মিথ্যা যুক্তি উপস্থাপন করে মামলার আসামি করা হয়, আজকের শিরোনামের বাছির আহমেদ কে। মামলা দায়েরের পরে থানা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মামলার চার্জশিট করা। আজকের নির্দোষ বাছির আহমেদ গ্রেফতার হওয়ার কারণ প্রশাসনের ব্যর্থতা। সঠিক তদন্ত করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সঠিক তদন্ত করলে তারা অবশ্যই জানতে পারত, বিগত দুই বছর যাবত বাছির আহমেদের (২৫) নিজ এলাকার সাথে সম্পর্ক নাই বললেই চলে। কারণ সে একজন শ্রমজীবী মানুষ। পরিবার পরিচালনার তাগিদে, তার নিজ পরিবার দুই সন্তান ও তার স্ত্রীকে নিয়ে সে জামালগঞ্জে বসবাস করে। সেখানে ওয়ার্কশপ ইঞ্জিনিয়ারিং কাজে সে ব্যস্ত। আমার প্রশ্ন একজন ব্যক্তি জামালগঞ্জ উপস্থিত থাকার পরেও,কিভাবে নিজের গ্রামের গুপ্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকে? একই ব্যক্তি একসাথে কিভাবে দুই জায়গায় উপস্থিত থাকে? প্রশাসন হয়তো এই বিষয়টি তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাছির আহমদ ব্যতীত নির্দোষ আর স্বামীদের নাম
১। শাহজাহান ২। নাছির আহমেদ ৩। হোসেন মিয়া সহ প্রমুখ। যারা উক্ত ঘটনার সাথে কোন রকম জড়িত নেই। প্রশাসনের উচিত এই পত্রিকার রিপোর্টের উপর দৃষ্টিপাত করে, আবার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে চার্জশিট দায়ের করা।