বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
আওয়ামী আর্শিবাদপুষ্ট ‘আটাবে’ চরম অস্থিরতা টিকেট সিন্ডিকেটের হোতা খোদ সভাপতি-সম্পাদক কাউনিয়ায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ “আমি অচলকে সচল রাখতে চাই” জগন্নাথপুরে “জুলাই বিপ্লবী”দের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গোয়াইনঘাট উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে চলছে বিশেষ সেবা প্রদান উনিশে মে তুহিনের জনসভা মাঠ পরিদর্শন করেন জলঢাকা উপজেলা ও পৌর বিএনপি তারুণ্য শক্তিতেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে কবিতাঃ ঝিলের জলে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের ৬ নেতাকে কারাগারে প্রেরণ সিলেটের দক্ষিণ বিশ্বনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি ও ছাতা বিতরণ

“আমি অচলকে সচল রাখতে চাই”

Coder Boss
  • Update Time : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
  • ৫ Time View

 

চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস

আমি শিল্পচর্চা করতে এসে বারবার শৈশবকে খুঁজি কারণ শৈশবে যে সকল ইতিহাস রয়েছে সে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো কখনো ভুলতে পারিনা। তাই সব সময় ঐতিহ্য ধারণ করে আমি শিল্প চর্চা করি আজও মনে পড়ে রাতে ঘুমালে বালিশের পাশে রেডিও রাখা একটু বড় হয়ে উঠলে আমার ছিল ওয়াকম্যান ক্যাসেট এভাবে কত স্মৃতি বিজড়িত ।আমি লালন করি ইতিহাসকে ধারণ করে পথ চলি।একজন শিল্পীর শিল্পকর্মের ইতিহাস তার সাধনাকে সফল করতে পারে ।প্রাচীন যুগে শিল্পীরা কিভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতেন আমরা শৈশবে আশির দশকে যা দেখেছি সেসব দিনগুলো আজ যান্ত্রিক হয়েছে। আমি শিল্পচর্চার মাধ্যমে শুধুমাত্র মানুষের গবেষণাটা যখনই করি কেন এত অল্প বয়সে পরপারে চলে যায় সে ক্ষেত্রে আমি যতটুকু ধারণা করেছি আগেকার মানুষ শ্রম দিত শ্রমে ঘাম ঝরাতো, শরীরের লোমকূপ থেকে ঘামের সাথে বিষাক্ত জীবাণু বের হয়ে যেতো মানুষ সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করত। এখন মানুষ যন্ত্রের উপরে নির্ভরশীল হয়ে চলছেন তার জন্যই নানান রকম ব্যাধি বাসা বাঁধছে মানুষের হৃদয়ে। একজন কাঠমিস্ত্রি কতটা পরিশ্রম করে একটি কাঠকে সুন্দর করে যে কোন বিষয় তৈরি করতেন। এখন তো বিষয়টি সব মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করার উপযোগী করে তোলেন। তার শ্রম প্রয়োজন হচ্ছে না তেমনি প্রত্যেকটা মানুষ সৌখিনতার মাধ্যমে জীবন যাপন করছে ।তারি সাথে খাদ্যে ভেজাল দ্রব্য যুক্ত হয়ে মানুষ দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মোবাইল নামক যন্ত্র এসে মানুষের চিন্তা ভাবনা অনেক যান্ত্রিক বিষয়ক বিলুপ্তির পথে তাই সেই ধরনের বিষয়গুলি আমি সংরক্ষণ করে নবীন প্রজন্মদের দেখার সুযোগ করে দেই ।ইতোমধ্যে প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণে আশির দশক ৯০ দশকের ব্যবহৃত অনেক বিষয় সংরক্ষণ হয়েছে। তাই দেখে ইতোমধ্যে আমার অনেক শুভাকাঙ্খী তার সংরক্ষণে যা আছে তাই আমার সংরক্ষণশালায় দেওয়ার জন্য আগ্রহ পোষণ করছেন ।
“মানুষের ব্যবহারিত ঐতিহ্য সংরক্ষণ”
খুলনা আর্ট একাডেমি একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন সবাই সংস্কৃত মনা ভালো মনের অধিকারী। তারা সমাজকে সুন্দর রাখতে নিজেকে সদা ব্যস্ত রাখেন। খুলনা আর্ট একাডেমির একজন শুভাকাঙ্ক্ষী তিনি তার পরিবারের ঐতিহ্য তুলে দিয়ে তার অনুভূতি লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করলেন। আসুন আমরা তার লেখার মধ্য থেকে বিস্তারিত জানি। কবি নাসির আহমেদ
পিতার নামঃএ কে মকবুল আহমেদ। মাতাঃবেগম সাহারা আহমেদ। এই জাদুঘরে প্রদান করা বস্তুটি মূলত বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের উপস্থিত জনসাধারণকে সুগন্ধিময় করে তুলতে সুঘ্রাণ তরলীকৃত পানি এর’ মধ্যে রেখে ছিটানো হয়। কাজেই, অন্যভাবে আমরা একে গোলাপজল ছিটানো দানী বলতে পারি। এই গোলাপ জল ছিটানো দানী আমার বাসায় থাকলে আমার পরিবারের সদস্যরা শুধুমাত্র দেখত তাই আমার বোনের স্মৃতিটি খুলনা আর্ট একাডেমির সংরক্ষণশালায় যদি আমি দেই এখানে অসংখ্য মানুষরা দেখবেন এবং অতি যত্নে থাকবে। আমার বোনের স্মৃতি বিজড়িত এই বস্তুটি সবাই দেখতে পারলে আমার অনেক ভালো লাগবে। তাই পারিবারিক ঐতিহ্য তুলে দিলাম চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের হাতে।
আনুমানিক বয়স ( বস্তুটার) ষাটোর্ধ।
আমার বড়বোন, রহিমা আক্তার বেবি’র জন্মের সময় কেনা হয়েছিল। তিনি বেঁচে ছিলেন, বাষট্টি বছর।মৃত্যুবরণ করেছেন, আজ থেকে দুই বছর আগে। আমি যখন, লক্ষ্য করলাম। চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তিনি, শুধুমাত্র একজন চিত্রশিল্পীই নন।তিনি পাশাপাশি খুলনা আর্ট একাডেমি এবং চারুকলা ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ২০১০ সাল থেকে। তিনি শুধু পেশাগত জীবনে জীবিকার জন্য নয় শিশুর মনোজগতে বিচরণে আচরণ
ব্যবহার, দেখা এবং বোঝার দর্শনে শিশুদের মাঝে আদর্শ কারিগরের মতন মিলেমিশে একাকার, একজন আদর্শিক মানুষ। অবসরে সাহিত্য চর্চা করেন। সমাজ সংসারের মানবিকতা,অসঙ্গতি তুলে ধরছেন তার লেখনির মাধ্যমে।
সুন্দর পরিবেশ ও সমাজের পরিসর বেড়ে বেড়ে সমগ্র দেশটা একসময় কাংখিত স্বপ্নপূরণের দেশে পরিনত হতে পারে।
তিনি সাদা মাটির গন্ধ হতে গ্রামীণ অন্তরঙ্গ পরিমন্ডলে জীবনযাপনে অভ্যস্তগত সন্তান।চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস সম্প্রতি একটা জাদুঘর গড়ে তুলেছেন, বসবাসরত ইনস্টিটিউটে।আমাদের প্রাণশক্তির উৎস মেহনতী কৃষকের রোদ পড়ো সূর্যতেজ হতে ক্ষাণিক স্বস্তি পেতে ব্যবহৃত টুপরি,
ঘরামি কাজে ব্যবহৃত রানদা,কাঠ ছিদ্রকরণে কূণ,ঘরে আলো জ্বালাতে সন্ধ্যায় গ্রাম্য কুঠরিতে ব্যবহার করা ল্যাম্প বা প্রদ্বীপ রাখার দেউরী সহ নানান হারানো ঐতিহ্যকে তুলে আনতে তার অক্লান্ত পরিশ্রমে জাদুঘরে রূপান্তরের রূপকার। তার প্রচেষ্টা সাফল্য পাক,এটাই প্রত্যাশা।
আমার অন্তর তাগিদে তার পাশে থেকে একটু প্রশান্তি নিতেই আমি উক্ত বস্তুটাকে জাদুঘরে উহার স্বরূপ প্রদান করেছি। খুলনার গর্ব সকল কবিদের ভালোবাসার মানুষ লেখক নাসির আহমেদ তিনি খুলনা, সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা বাই লেন, ১২৫/১১ আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস সড়ক এর
দৃষ্টিদ্বীপ বাড়িতে বসবাস করেন। সবাই এই গুণী লেখকের জন্য শুভকামনা করবেন তিনি যেন লেখার মাঝে চির অমরত্ব পান। এমন প্রত্যাশা করেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।
নাসির আহমেদ সহ যারা এই সংরক্ষণশালায় ঐতিহ্য উপহার দিয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।
বিঃদ্রঃমানুষের ব্যবহারিত ঐতিহ্য সংরক্ষণ থাকলে
এ ধরনের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য দিতে আগ্রহী আমাকে জানাবেন আমি আপনার বাসায় গিয়ে নিয়ে আসবো।
আমাদের নবীন প্রজন্মরা এ ধরনের বিষয় দেখে তারা আনন্দ উপভোগ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102