লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম

একটা দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করে সে দেশের রাজনৈতিক নেতারা! তারা যে সবসময় অনেক জ্ঞানী গুনি দেশ প্রেমিক ব্যক্তি হন তা কিন্তু নয়, তবুও জনগনের ভাগ্য তাঁরাই পরিবর্তন করেন! মালয়েশিয়ার উন্নয়নের মহাপুরুষ রাজনৈতিক নেতা “মাহাথির মোহাম্মদ “! অখণ্ড ভারত ভাগ হয়ে ছিলো রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা, ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান তৈরি হয়েছিলো রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা! লাখ লাখ নারী ধর্ষণের শিকার, মিসিং, বাপ-দাদার ভিটে মাটি ফেলে অন্য দেশে রিফুজি হওয়ার জন্য দায়ী রাজনৈতিক নেতারা! আসলে মানুষ ধর্ম পালন করে তা সাহারা মরুভূমিতে ও সম্ভব কিন্তু ভূখন্ড কে ধর্ম বহন করতে হবে এটা আহম্মক চিন্তা মাত্র! ২২ শো মাইল দূরের পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের পূর্ব খন্ড কে জুড়ে দেয়া মুস্টিমেয় মানুষের সিদ্ধান্ত, আজ ও সে বৈরীতা চলমায়। ভারতে কত মুসলমান রেখেই আমাদের নেতারা তার থেকে কম মুসলমান নিয়ে একখান পবিত্র স্হান করে ফেললেন!
পৃথিবীর ভূস্বর্গ কাশ্মীর আজীবনের তরে চীন ভারত পাকিস্তানের অধীনে চলে গেলো। যার ৪০% এলাকায় ৯০% মুসলমান!
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার যতখানি কৃতিত্ব ” মুজিবের” তার থেকে বেশী সাহায্য করে পাকিস্তান রাজনৈতিক নেতা ও সামরিক শাসকের আহম্মকি ” এজন্য পাকিস্তানের জনগন মোটেই দায়ী নয়!

মিয়ানমার (বার্মা) নামক দেশটা জন্ম থেকে আজ-ও অশান্তি তে জ্বলছে! অথচ সুজলা সুফলা দেশটা পূর্বের দশটা বাংলাদেশের সমান!
কি হতে যাচ্ছে বিশ্বে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সূক্ষ্ম মস্তিষ্ক সঞ্চালন করে (একটা কার্টিজ খরচ না করে ও) মোটামুটি দখলে নিয়ে ফেলেছেন, ইউক্রেন, গাজা, সিরিয়া, বাংলাদেশ, মিয়ানমার —–
তিনি এ মুহূর্তে আমার দৃষ্টিতে আলেকজান্ডার দি গ্রেট, বিশ্ব বিজয় তিনি করবেন!

সিরিয়ার ” আরওয়াদ” হচ্ছে সব চেয়ে বড় দ্বীপ যা ইসরায়েল দখলে নিয়ে ফেলেছে, ইসরায়েল মানে আমেরিকা, গাজা টুরিস্ট স্পট হবে, বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন সামরিক ঘাটি হবে হয়তো, করিডোর মানে অবাধ মার্কিন যাতায়াত হতে পারে অস্ত্র সেনা, হয়তো আভাস বলে রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রামে বান্দরবন মিলে আরকান রাজ্য, আরকান সহযোগিতায় মিয়ানমার জান্তার পতন ও মিয়ানমারে মার্কিন আধিপত্য —

প্রিয় পাঠক, এ এক অদ্ভুত পৃথিবী যার নিয়তি অনেক অদ্ভুত, মানুষ নামের জীবগুলো ও অনেক বড় আহম্মক! যে সিরিয়ার শাসক “হাফিজ আল আসাদ” ইরানের মত আমেরিকার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারতেন,” বে অফ বেলিতে” তিনটা মার্কিন যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করেও হজম করতে পেরেছিলেন, সেই থেকে সিরিয়া টার্গেট এবং তার ছেলে বাশার আল-আসাদের দেশের এত উন্নয়ন করেও বিরোধী গ্রুপ তৈরি হলো অর্থ অস্ত্র পেয়ে ২০১৬ সাল থেকে বাশারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাকে স্বৈরাচার তৈরি করে বদনাম নিয়ে পালাতে হলো রাশিয়ায়! ইনি সেই বাশার যিনি আকাশ প্রতিরক্ষা কিনলেন দেশের জন্য তুরস্ক ভারতের সাথে সাথে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে! যাক সে কথা,
আজ ক্ষমতায় মার্কিন ইসরায়েল পন্হী সরকার, নাচে গানে ভরপুর, স্বৈরাচার তাড়িয়েছি, “এখন টনক নড়েছে মহামান্য ট্রাম্প আলোচনায় বসতে চাচ্ছেন তার সাথে, এমন হবে হয়তো ” আমার ভাগ কই?” মাঝ খানে আরবীয় ২২ দেশের মাথা নত, যারা গতকাল ও বুক ফুলিয়ে “বাইডেন স্যার কে অপমান করেছেন, ফোন রিসিভ করেন নাই”! আজ হুজুর হুজুর করে শত চুক্তির খাতা ভরছে।

বাংলাদেশের স্বৈরশাসক পতন, এমন তো হবে, কিন্তু সামান্য একটা ক্ষুদ্র দেশের একজন সরকার পতনে ” সারা এশিয়ার দেশগুলোর নতুন করে অংক মিলাতে হচ্ছে! ” এ কথা বোঝার মত মানুষ হয়তো সবাই শুধু আমার মত কিছু আহম্মক সাংবাদিক লেখক কবি হিসাব মিলাতে পারছেন না আগামী সমগ্র এশিয়ার অবস্থা টা? বাংলাদেশ টা যেন ভাগবাটোয়ারা শুরু হয়েেছে, কেউ চিটাগং সমুদ্র বন্দর তো কেউ সেন্ট মার্টিন, কেউ করিডোর তো কেউ আরাকান রাজ্যের ম্যাপ তৈরিতে ব্যস্হ, বাংলাদেশ থেকে কতোখানি যোগ হবে? একজন স্বৈরশাসক তাড়িয়ে বোগল বাজানো ওয়ালাদের জানাই নাই কাল কি হতে যাচ্ছে, কারো কারো ধারনা এদেশ তো আমরা চাই ই নাই!

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন।