গতকাল ১৯ মে বাড়ি ভাড়া চাইতে গিয়ে রীতিমতো রক্তারক্তির ঘটনা ঘটল মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউসিং এ , রোডে নম্বর ১০ প্লট ৩৬ নাম্বার এর সামনে। অভিযোগ করেন বাড়িওয়ালা যখন নিয়ম অনুযায়ী মাসিক ভাড়া চাইতে যান, তখন ভাড়াটিয়া হঠাৎই উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং ভাড়াটিয়া ভাড়া করা সন্ত্রাসী চাপাটি দিয়ে বাড়িওয়ালা মোঃ সুজায়েত মোল্লার উপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় বাড়িওয়ালা মোঃ সুজায়েত মোল্লা, শুধু ভাড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এতে ভাড়াটিয়া কোরবান আলী, ইমরান, মিজান, মিরাজ, সাগর এবং জাকির ক্ষিপ্ত হয়ে কোমরে থাকা চাপাটি বের করে বাড়িওয়ালাকে কোপাতে শুরু করে। রক্তাক্ত জখম হয়ে বাড়িয়ালা পোড়ে যায় মাটিতে।
আহত বাড়িওয়ালাকে দ্রুত নিকটবর্তী শহীদ সরোয়ারদি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের-এ ভর্তি করা হয়। সুজায়েতের মাথায় ষোলটা সেলাই করা হয়েছে, তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলা এবং একাধিক মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী বাড়িওয়ালা মোঃ সুজায়েত মোল্লা বলেন আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে বহুদিন থেকে জড়িত, ১৭ বছরে মামলা হামলা শিকার হয়ে বিএনপি রাজনীতি করে আসছি। যারা আমার উপর হামলা করেছে তারা বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগ করত এবং বর্তমানেও তারা রাজত্ব করে যাচ্ছে। আগস্টের ৩ তারিখ এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা মোহাম্মদপুর আল্লাহ করিম মসজিদের সামনে অস্ত্রসহ বসে থাকতে দেখা যায় এবং পরবর্তীতে বিএনপি এবং ছাত্রদের উপর হামলা চালায় তখন অনেক ছাত্র এবং বিএনপির লোকজন আহত হন। কিছুদিন গাঢাকা দেয়ার পরে এখন আবার অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে বিএনপি লোকেদের উপরে হামলা শুরু করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে বাড়িওয়ালার অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের এর আগেও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ভাড়াটিয়ার এমন আচরণে তাঁরা আতঙ্কিত এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।