কাজের বেটি মায়া
পরের ঘরের কাজের বেটি
নামটি তাহার মায়া,
দিবা-রাতি কাজের চাপে
মলিন মুখের ছায়া।
গরিব বাবার শ্যামলা মেয়ে
দৌড়ের উপর থাকে,
রূপ চর্চার নাই যে সময়
দেখবে ব্যস্ত তাকে।
উনিশ থেকে বিশ যে হলে
ম্যাডাম শোনায় ঝাড়ি,
বড় সাহেবের কথা মতো
চকচকে চাই বাড়ি।
পরের মেয়ে চাকরানি তাই
সকাল বিকাল পিষে,
আঘাত করে কথা শোনায়
মনটা জ্বলে বিষে।
মায়ার মতন অনেক মেয়ে
অশ্রু জলে কাঁদে,
গরিব কেনো করলে প্রভু
কষ্টেতে বুক বাধে।
মায়া কান্নার মানুষ তোমরা
উঁচু তলায় থাক,
গরিব কেনো ভাতে মরে
দেখবে তুমি না-ক।
আর্জি প্রভু তোমার শনে
আরেকটা জনম যদি পেতাম
আমার করে তোমায়,
তোমার প্রেমে দিবা-নিশি
সতেজ হতাম ছোঁয়ায়।
হইতাম আমি তাহার পীড়িত
মনে নিতাম সাধন,
দু-চোখ ভরে দেখতাম আমি
হইতাম তাহার বাধন।
প্রেমের নেশায় পাগল হতাম
দিতাম সোহাগ যতন,
আর্জি প্রভু তোমার শনে
সাজাও তাহার মতন।
তৃষ্ণা আমার ধরার মাঝে
একটা মনের চাওয়া,
আরেক জনম পাই গো যদি
শ্রেষ্ঠ হতো পাওয়া।
দোহাই প্রভু দাও গো তুমি
বিছিয়ে প্রেমের আঁচল,
এই পরানে স্বাদ জাগে মোর
দেখবো নয়ন কাজল।