মোঃ জুয়েল খাঁন, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
শুনানী সহ পুনর্বাসন ও অধিকার আইন বিধি মেনে বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। উচ্ছেদ অভিযান যথাযথ আইন ও বিধি অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। শুনানী গ্রহণসহ দখলকারীর পুনর্বাসন সংক্রান্ত যে সময়, সুবিধা ও অধিকার আইন ও বিধিতে বিধৃত আছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করবে।
মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তীর মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং অগ্রগতির লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এর আওতায় বন্দরের সকল জায়গা ও সম্পত্তির সুষ্ঠু, উন্নয়নমূখী ব্যবহার এবং দখলমুক্ত রাখতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর।
এর আগে গত ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুরাতন মোংলায় অবৈধ দখলদারদের গত ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থাপনা অপসারণের জন্য নোটিশ প্রদান করে।
সর্বশেষ গত ২০২৪ সালেে ৫ সেপ্টেম্বর নোটিশ দ্বারা পুরাতন বন্দর এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়কে গড়ে ওঠা ৭০টি অবৈধ স্থাপনা ১১ নভেম্বরের মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করে।
এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের গত রবিবার (১৮ মে) সহকারী ব্যবস্থাপক (সম্পত্তি), মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্রে কর্তৃপক্ষের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণাধীন জমিতে বসবাস, স্থাপনা নির্মাণ ও ব্যবসা পরিচালনাকারী অবৈধ দখলদারকে চলতি বছরের আগামী রবিবার (২৫ মে) তারিখের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করে বন্দর কতৃপক্ষ।
বন্দরের জায়গা একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ; উক্ত সম্পদ এবং জমি অবৈধ দখলদারমুক্ত রাখতে উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলে জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা।