কলমেঃ সাহেলা সার্মিন
“”””””””””””””””//////////////////
হতদরিদ্র শিশু সারাবছর গোস্ত ঘরে
দেখে লাল গোস্ত ঝুলে,
মনকে বোঝায় কোরবানির ঈদে
গোস্ত দেবে চেয়ারম্যানের ছেলে।
কোরবানির ঈদে অঢেল গোস্ত
আকাশে বাতাসে সুঘ্রাণ,
অলিতে-গলিতে কোরবানির রক্ত
হাসি-খুশির ঐকতান।
ধনীর প্রাসাদে গোস্তের বাটাবাটি
গরীব চাহিয়া রয়,
হয়তো তাহাকে দিবে বড় ভাগটি
করুণ দৃষ্টিতে হাতরায়।
একে একে সব ভাগ
ডিপ ফ্রিজ করে দখল,
গরীবের হাতে শূন্যের দাগ
গোস্তহীন দু’টো টুকরোর নকল।
বিতানগুলো সব ঝলমল করে
নতুন শাড়ী জামা কাপড়ে,
মধ্যবিত্ত দুর্মূল্যের বাজারে
হা হুতাশ করে মরে।
ধনীর শত জামা কাপড়
ঘণ্টায় ঘণ্টায় পাল্টায়,
গরীবের ছেঁড়া জামা শীর্ণ হাড়
পুরনো জুতাও মেলেনা পায়।
ঈদ তোমার কোর্মা পোলাওয়ে
বাড়ায় গরীবের তৃষ্ণা,
পেট পুরে ভাতও পায়না
মিছে ফিরনি সেমাইয়ের বাঞ্ছা।
ঈদের আনন্দ যখন ছুটে ধায়
কতো শত ছেলেমেয়ে,
রহিমার মার আনন্দ মিলায়
ইট খোলার ভাঙা ইটে।
ঈদ তুমি শুধুই ধনীদের
আসো গরীবের দুঃখী বুক চিড়ে,
ধনীরে তুমি এতো দিয়েছ
তবুও গরীবের ভাগ নাহি ছাড়ে।
গরীবের ভাগ গরীবকে দিয়ে
মধ্যবিত্তের সাথে থাকলে সৌহার্দ,
সবাই তৃপ্তিতে সুখি হয়ে
একসাথে করবে ঈদ আনন্দ।
মোল্লারা শুধু ফতোয়া দিয়ে
নিজের তহবিল ভরে,
সমাজের অসহায় মানুষগুলো
ঈদের দিনেও কেঁদে মরে!