লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম

আদৌও ঈশ্বর ভগবান আল্লাহ বলে কেউ আছেন? আপনি আমি কেউ নিজ চোখে তা দেখি নাই! কেউ একজন আছেন তানা হলে সৌরজগত গ্রহ-নক্ষত্র গ্যালাক্সি ব্লাকহোল চন্দ্র পৃথিবীর সমন্বয় কীভাবে রক্ষা হচ্ছে। একটা দেশের ক্ষমতা নিয়ে দশমাস আমাদের সরকার আগের গতি চলয়মান রাখতে পারেন নাই অথচ প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর বয়সের পৃথিবী ( ৪৫৪ +_ ৫ কেটি বছর উল্কা রেডিওমেটিক এজ) কিভাবে এত শৃঙ্খলার সাথে চলছে কেউ কারো সাথে ধাক্কা খাচ্ছে না অথচ সবকিছুই চলয়মান!
অবশ্যই ৪৩০০ ধর্মের পুরোহিত মোল্লা মৌলভী যে ব্যবসায়িক ভাবে বলছেন এবং মৃত্যুর পর স্বর্গ বেহেশতের সনদ বিক্রি করছেন সেভাবে নয় হয়তো!

প্রিয় পাঠক, মৃত্যুর পর পুরস্কার তিরস্কার যা মিলে তা বাদ দিলো ও আপনাকে ভালো মানুষ হতে তো দোষ নাই! মানবতা মনুষ্যত্ব তাকওয়া পূর্ণ জীবন নিয়ে পরিচ্ছন্ন পথে চললে দোষ কি? কেন আপনি লোভী প্রতারক মিথ্যাবাদী ধোঁকাবাজ পরসম্পদ আত্মসাৎকারী হবেন, কেন মানুষের বিপদেআপদে ফোনটা বন্ধ রাখবেন, কেন একজন গরীব দুর্বল কে আরো আঘাত করবেন, কেন উপকারীর উপকার স্বীকার করবেন না, কেন মেকি গর্বে আত্ম অহংকারী হবেন? কেন আপনি খুনি ধর্ষক চোগলখোর হবেন? কেন আপনি মা-বাবা ভাই ব্রাদার আত্মীয়স্বজনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন, কেন আপনার অতীত ভুলে যাবেন?
নাই বা থাকলো ওপারে কোন বিচার বা শাস্তি? আপনার তো কোন ক্ষতি নাই এসব না থাকলে, সেই দুনিয়ার কুকর্ম ৭০ টা হুর, শরাবনতহুরা, সোনার খাট পালং, না চাহিতেই মুখের কাছে হাজির হোক আঙুর বেদানা কিশমিশ নাসপাতি!
ধর্মের অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা উঠে আসছে, মুসলমানদের কুরআন শরীফ থেকে হুজুর শরীফ আলাদা বয়ান, হিন্দুদের গীতা বেদ, খৃষ্টানের বাইবেল বা ইহুদিদের তানাখ যা বলেছে তার থেকে অন্য কিছু মানুষের ঘাড়ে চাপানো হয়ে আসছে দীর্ঘদিন যার কোন ভিত্তি নাই! সব ধর্মে ই নারীর প্রতি সদয় আচরণ করা হয়েছে স্ব স্ব ধর্মগ্রন্থে কিন্তু অপব্যাখ্যায় নারীকে শৃঙ্খল আবদ্ধ করা সব ধর্ম অর্ধ শিক্ষিত পুরোহিত মোল্লার অজ্ঞানতায় মানুষ ধর্মবিমুখ হচ্ছে, হয়ে যাচ্ছে নাস্তিক!

মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে নিজস্ব ফিরকা ভাগাভাগি সবচেয়ে বেশী! হিন্দুদের ভিতর কৌলন্য অকৌলন্য এখনও বিদ্যমান। মুসলমানদের ভিতর আশরাফ আতরাফ শেখ সৈয়দ মুঘল পাঠান ফালতু জিনিস নিয়ে গর্ব অনেক যে Title of Dynasty রক্ত পরীক্ষা করে নির্ধারণ হয় না! তবুও বংশীয় গর্ব অনেক পরিলক্ষিত হয়! ইসলাম একটা ব্যবসায়িক খপ্পরে পড়ে গেছে সেজন্য ইসলামি বিশেষজ্ঞ তাবলীগ জামাতের অর্ধাংশের সভাপতি “মাওলানা সাদ কান্দভী ” যিনি দিল্লি হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজারের সভাপতি। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, “ইসলাম শিক্ষা দিয়ে পয়সা নেয়া আর দেহ বেঁচে পয়সা নেয়া একই বরাবর!
চটলেন কওমি মাদ্রাসা পন্হীরা, কারন এটাই তাদের রুটিরুজি!
নবীর সুন্নত প্রায় হাজার, কোথাও কথাওবা ৭০০ থেকে হাজার বলা হয়েছে! তার মিসওয়াক ধরেছি তরবারি ধরি নাই, খেজুরের ইফতার করি না কিন্তু জুব্বা টুপি দাড়ি মাশাল্লাহ এ তিনটা না হলে সে মুসলমান ই না! বাকী ৯ শো অনেক হুজুর জানেন ই না! ৬ বছরের আয়েশা কে বিয়ে করেছিলেন নবী করীম সঃ, আমরা কেউ সে সুন্নত পালন করি না! এরকম সুবিধা মত সুন্নত পালন অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে যা বর্তমান উচ্চ শিক্ষিত ইসলামি রিসার্চ ফিলোরা মানেন না!
আমি আপনি বলতে গেলে নাস্তিক!

এমনি ধর্মীয় ভুল ব্যখ্যায় বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা, নারী শিক্ষা থেকে মুসলমান বেশ দিন দিন পিছে চলে যাচ্ছে !
পাঠক, পরোপারে কি হবে তা যার যার ধর্ম মতে বিশ্বাস
রাখুন তবে আগে মানুষ হওয়া প্রয়োজন কারন ধর্ম পরিবর্তন করতে লাগে মিনিট ঘন্টা কিন্তু মানুষ হতে লাগে সারাটা জীবন কেউ কেউ সারাজীবনে ও মানুষ হয় না!