লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
মদ্যাপি নারী ভোগী স্বৈরশাসক নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে উৎখাত করেতে একত্রিত হয়েছিলেন জগৎ শেঠ উমিচাঁদ রায় বল্লভ ইয়ার লতিফ ঘষেটি বেগম সহ অনেকে! বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত বেগম খালেদা জিয়া ও তার তনয় তারেক জিয়া শেখ হাসিনা কে হত্যার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন! সরাসরি পাকিস্তান থেকে উপমন্ত্রীর মাওলানা ভাইকে দিয়ে আর্সেনিক গ্রেনেড এনে গুলিস্তানে জনসভায় হামলা সহ মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম এর সাথে মিটিং, ভিপি নূর কে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ প্রধানের কাছে পাঠানো —-
বেগম খালেদা অবশ্য সবসময়ই পর্দার আড়ালে ছিলেন! আওয়ামী উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী রাজনৈতিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, এক্স অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সহ বেশ কিছু মেধা শূন্য করা হয়েছে নৃশংস হত্যার মাধ্যমে ! অনেকটা ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যার মত!
প্রিয় পাঠক, শেখ হাসিনা নিজ যোগ্যতায় যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন তার চেয়ে বেশী সাহায্য করেছে একটা দুর্বল বিরোধী দল বিএনপি! গ্রামে আমার যথেষ্ট যোগাযোগ আছে, তিনটা জেলার খবর বলতে পারি! প্রচুর মানুষ বিএনপি সমর্থক, শুধু শেখ হাসিনার সাংসদ ও ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যবহারে নাখোশ হয়ে! কিন্তু বিএনপি কখনও নির্বাচনে মুখোমুখি হয় নাই শতভাগ নিশ্চিত ক্ষমতা হাতে পাওয়ার সরকারি প্রতিশ্রুতি না পেয়ে! অথচ এদেশের নেতারা সামরিক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ২২ শো মাইল দূরে বসে দেশ স্বাধীন করেছে, আইয়ুব খানকে তাড়িয়েছে! আমেরিকার নির্বাচনে সরকারি রিগিং হয়, (বড় বুশ ছোট বুশ নির্বাচন), ফলাফল স্থগিত করে জিতিয়ে দেয়ার ইতিহাস আছে, বাংলাদেশে তো ফেরেশতা বাস করে না! রাজশাহী এক ছাত্র হল থেকে এক সেনানিবাসের অস্ত্র পাওয়া গেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্র নেতার কামরা থেকে, কেন হাসিনা বিরোধী নির্বাচনে সে শক্তি প্রয়োগ হলো না! হাসিনাকে ও ভয়ে পেয়ে বসলো,”ক্ষমতার বাইরে গেলেই মৃত্যু!”
পাঠক, ডঃ ইউনূস বাংলাদেশ একটা এ্যাসেট। তিনি নোবেলজয়ী! যদি-ও মানবতা মনুষ্যত্ব গুণসম্পন্ন “শান্তিতে নোবেল ” কারা দেয়, কারা পায় তা নিয়ে তিন পাতা লেখা যাবে! সে যাক —
এই নোবেল বিজয়ীর সাথে শেখ হাসিনা কেন পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়ায় লাগলেন, কি তার দোষ? ডঃ ইউনূস কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েও কোনদিন শীত বস্ত্র শীত নিপীড়িত উত্তর বঙ্গে যান নাই কম্বল বিতরনে! সেটা তার মানবতা সাড়া দেয়ার বিষয় শেখ হাসিনার কোন বিষয় না! ডঃ ইউনূসের ২০০৭/৮ সালে রাজনৈতিক দল করার খায়েশ শেখ হাসিনার গাত্র দাহ হলো কেন? কেন একজন নোবেল বিজয়ী যথাযথ মর্যাদা পেলেন না? এই মহৎ গুনটা শেখ হাসিনা, মুজিব কন্যা হয়ে ও কেন লালন করলেন না! বাকী তার গ্রামীণ ব্যাংক আন্তর্জাতিক রীতিনীতি বিরুদ্ধে অংশে সংশোধন ঠিক ছিলো আদালত মাধ্যমে!
আজ বাংলাদেশ টা বিপন্ন প্রায়! ২৯ মিলিয়ন অর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্যার বিনিয়োগ করলেন হয়তো ডঃ ইউনূসের সাথে যোগসাজশে (ট্রাম ভাষ্য)! ডঃ ইউনূসের ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচন বিরোধী বিনিয়োগ ও করেছিলেন জো বাইডেন কে জিতিয়ে আনতে! ট্রাম্প জয়লাভের পরপরই বলছেন,”where is that Microcredit Person? ”
আমেরিকা ১৯৭১ সালের প্রতিশোধে, জগৎ শেঠ উমিচাঁদ রায়দুর্লভ সাথে পেয়ে গেলেন প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ও টাকা বিনিয়োগ করতে। সম্পূর্ণ টা ভারত বিরোধী প্রচারনা! অথচ ক্ষমতায় এসে ২৬ লক্ষ ভারতীয় চাকুরে, শত খানেক “ভারত হাসিনা চুক্তি” কিছুই দেখাতে পারেন নাই! মাঝখানে বাংলাদেশ নামক “ব” দ্বীপ টা হারালো তার বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল নোবেল বিজয়ী থেকে-ও বড় খেতাব!
প্রতিশোধ নিলেন, মুজিবের মাথায় প্রসাব করানো, রবীন্দ্রনাথ, জয়নাল আবেদীন কে অপমান, ঐতিহাসিক ৩২ নাম্বার বাড়ী ধূলিসাৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা হুমকি তে ফেললেন মানবিক করিডোর দিয়ে, সেন্ট মার্টিন, সাজেসবেলী ইজারা! চিটাগং সমুদ্র বন্দর বিদেশির হাতে তুলে দেয়া! সব ই প্রতিশোধ —
আমেরিকা ধীরে চলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত থেকে কেউ বাংলা দেশ কে আগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনে দিতে পারবে না, তিনি হউন বেগম খালেদা বা শেখ হাসিনা!
কিছু লোক ভেবেছিলো, শেখ হাসিনা ট্রেন গতিতে দেশ চালিয়েছেন তিনি প্লেন গতিতে দেশ চালায় দেশকে সিঙ্গাপুরের মত গড়ে তুলবন! আসলে এ দেশের প্রতি তার কোন দায়বদ্ধতা আছে তা তিনি শুরু থেকেই দেখান নাই! যে সন্ত্রাসী বিনাশ করতে খালেদা জিয়া R A B তৈরি করেছিলেন সেই সন্ত্রাসী সব ছেড়ে দিয়ে তিনি দেশটা সন্ত্রাসী অভয় অরণ্য করার উদ্দেশ্য পরিষ্কার, তিনি চেয়েছেন পাকিস্তানের মত বাংলাদেশ কে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করতে, তিনি শতভাগ কৃতকার্য!
আবার ও শান্তি পুরস্কার হিসেবে নোবেল বিজয়ী হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই!
লেখাটা একটা হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে বসে সরাসরি কম্পোজ, ভুল ত্রুটি মার্জনীয়!