লেখকঃ নাসরিন ইসলাম
শৈশব কৈশোরের স্মৃতি বলতে কিছু নেই!
কিচ্ছুটি নেই আমার,
ফিরে পেতে চাই সেই জনম!
নিবে আমায়?
পাহাড়ের ওপার হতে প্রতিধ্বনি ভেসে আসতেই——-
তমশাঘন সন্ধ্যায় আৎকে উঠে পথিক,
আড়মোড়া ভেঙে
ধকধক শব্দে তোলপাড় অলিন্দ্য-নিলয়।
আহা! কি বললো?
ঘুর্ণন চললো নিমেষেই বারমুডা বলয়—
ঝড়ো হাওয়া বেগে আফসোস
হা-হুতাশের দীর্ঘশ্বাস কর্ণকুহরে যে ক্ষণে প্রবেশ,
ছলছল করে ওঠে দু’নয়ন।
ফিরে চাওয়া,
সেই ৫০ বছরের ফেলে আসা দিনগুলোর রেশ।
মনে সহস্র প্রশ্নের ওলট-পালট
এ কেমন কথা? এমন হয় বুঝি!
বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে থাকা,
দিনরাত ভর লক্ষ কোটি প্রহর—-?
কখন কিভাবে যে গেলো চলে হায়
সেইদিন গুলো ধায়,
পিছু ফিরে ইতিউতি চায়——
পড়লে মনে——-
কুঁকড়ে যায় মন,
বিধ্বস্ত ধ্বংসের বোহেমিয়ান ধরে পথ
অস্থির এলোমেলো বিষম বেদন।
অতঃপর ; পাথুরে মূর্তির এলো হুঁশ
নড়েচড়ে বসলো
আগলে রাখার প্রত্যয়ে ,
টুপ করে ডুবে গেলো নক্ষত্র’র দিগন্তে।
আকাশ-বাতাস দূর্গমগিরি পথ,
পইপই করে আজন্মকাল খুঁজছে যাকে
নির্ভীক চিত্তে চোখে চোখ—-
হাতে দুটো হাত রেখে নীরবে ঠাঁয় দাঁড়ায়ে–
করলো পথ রোধ —-?
আহ্ বড্ড মায়াময় “স্বপ্নীল পৃথিবী’
বিষাদ ভরা গোগ্রাসী আঁখি!
সেই মাহেন্দ্রক্ষণ হতেই তো—-
মায়া-মমত্বের চাদরে করোটির কোটরে
তৃষ্ণার্ত আত্মায়-পরমাত্মা কে পুষে রাখি!