লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
বাংলাদেশ একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে তৈরি স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশ, যার স্বাধীনতা বিশ্বের সব দেশ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা! ধরুন ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে ১৯০ বছর বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন স্হানে খন্ড খন্ড বিদ্রোহ প্রায় বিলিয়ন লোকের আত্মদানের মাধ্যমে। গান্ধী নেতৃত্ব ও সুভাষ বসু নেতৃত্ব এক কিন্ত মত-পথের আলাদা দিকনির্দেশনা ছিলো। পরপরই দুটো বিশ্বযুদ্ধে কাবু বৃটিশ ভারত থেকে সরে যেতে চাচ্ছিলো এবং ভারতের জনগণের সহযোগিতা কামনায় স্বাধীনতা দিয়েছে!
পাকিস্তান পেয়েছি ভারতের বৃটিশ মুক্তির থেকে এক মুঠো কেড়ে নেয়ার মত! দ্বিজাতিতত্ত্ব ভিত্তি তে দাঙ্গা বাঁধিয়ে! যিনি জাতির জনক তিনি লন্ডন বারের আজীবন প্রাকটিসনার, ভারত স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে ভারতে ফিরে ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টির ধোয়ায় আজীবন কিছু মাথামোটা হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের লোক থাকে যারা বিশ্বে দুটো জাতি চিনে, হিন্দু আর মুসলমান! অজাত শত্রু। আরো ৪২৯৮ টা ধর্ম আছে পৃথিবীতে তা তারা চিনে না। তাই তাদের ক্ষ্যাপানো খুব সহজ। জিন্নাহর এই দাবী পরে ইংরেজ গান্ধী নেহেরু পাটেল আপদ বিদায় করে জঞ্জাল মুক্ত করতে মেনে নেয় এবং একখানা মুসলমান দেশ পেয়ে গেলাম যা আজ ও কুরআনের মুসলমান হলাম কি না গনতন্ত্র মানবতা মনুষ্যত্ব তাকওয়া পূর্ণ হলো কিনা তা হিসাবে আনা হয় নাই! অথচ তখনকার আসল মুসলমান মাওলানা আজাদ মাওলানা মওদুদী খান আব্দুলগফ্ফার খান সহ বেশ একটা মুসলিম অংশ ধর্মভিত্তিক দেশ চান নাই! পাকিস্তান একটা গোঁজামিল রাস্ট্র যে আজও জটিলতায় ভুগছে! আজ-ও অঙ্গ রাজ্যগুলো স্বাধীনতা চায়!
বাংলাদেশে জন্ম থেকে পক্ষ বিপক্ষ আছে, দেশটাকে ধ্বংস স্তুপের ভিতর থেকে তুলে এনে গনতন্ত্র সামরিক তন্ত্র স্বৈরতন্ত্র যা বলেন, হতদরিদ্র দেশটা উন্নত দেশের চৌকাঠে পা রেখেছিলো! খালেদা হাসিনারা যে-কোন দেশে গেলে সে দশে সন্মান পেয়েছেন! কিছু বললে জনগন বুঝতে পারছেন সরকার কি বলছে!
আজ এখন এমুহূর্তে কারা দেশ চালাচ্ছেন! তারা কি গনতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক, মৌলবাদী, কি তাদের ধারা, তারা কোন সত্যি বলেন না, জনগন তাদের ধোয়াশা পদক্ষেপ বুঝতে পারে না! এই সরকার আসার পর কিছু জনগন ভেবেছিলো রাজধানীর বুকে মধুর নহর দুধের ঝর্না বয়ে যাবে! ডঃ ইউনূসের কেবিনেট হবে এক ঝাক সৎ সত্য বাদী লোক নিয়ে! তাদের আমলে গ্যাস বিদ্যুৎ ইন্টারনেট নাগরিক সুবিধা পূর্বের থেকে অনেক ভালো হবে! কিন্তু বাস্তবতা হল —
বর্তমান সরকারের কেবিনেটে একজন সৎ লোক পাওয়া গেলো না, কারো বাড়ীতে ত্রানের চাল পাওয়া যায়, কারো বাড়ীতে টিউশনি করে জমানো কয়েক কোটি টাকা মিলে! স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা নিজের ট্যাক্স মৌকুফ, তার আর্থিক প্রতিষ্ঠান কে লাভবান করতে সবকিছু করেছেন। ইংল্যান্ড গেছেন, কোন রকম ইংল্যান্ড সরকার আতিথিয়েতা দেখান নাই, অথচ বলা হচ্ছে এট সরকারি সফর! তাকে পরিবেষ্টিত এক ঝাক মিথ্যা বাদী যারা ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী “কিয়ার স্টারমার লন্ডন থাকা সত্বেও বলেছেন, স্টার মার কানাডা আছেন!” এমন জোচ্চুরি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব কি ভাবে বিদেশের একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়ে করেন!” দেশের মানইজ্জত ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তর!
বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ডঃ ইউনূসের সাথে দেখা করলেন না এ সত্যি কি মিথ্যা বলে চাপা রাখা যাবে? ”
তবে এটা ভালো বুদ্ধি, “তারেক জিয়ার সাথে আলোচনা করে গলার ফাঁস খুলে আসুন”! কারন বাংলাদেশ, তার স্বাধীনতা, মুজিব, আওয়ামীলীগ, জাতীয় সঙ্গীত, রবীন্দ্রনাথ, সব প্রশ্নে আপনারা সমমনা! তারা আপনার সাহায্য কারী দল জামাত কে নিয়ে সরকার গঠন করবে, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সফলতা কামনা করবে, আপনি ক্ষমতায় এসে যত সুযোগসুবিধা নিয়েছেন তা তারা সংরক্ষন করবে! আপনাকে দেশের প্রেসিডেন্ট করবে আমি ৮০% নিশ্চিত, আপনার ছেড়ে দেয়া সন্ত্রাসী ও তারা ব্যবহার করবে আওয়ামী ঠেকাতে!
ধরে নিবেন তারা আপনি ও আপনার ২৬ লক্ষ ভারতীয় বাংলাদেশে হাসিনা চাকুরী দিয়েছে, এসব মিথ্যাবাদীদের পুরা টীম ইনডেমনিটি দিয়ে রক্ষা করবে! তারা ক্ষমতায় এলে আপনার সারজিস শফিক নজরুল প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা সবাই থাকবে দুধে ভাতে।
বাংলাদেশ তো যা নিলামে তোলার, তাতো ফেরেশতা এলে ও মুক্ত করতে পারবে না! আপনি শত বছর বেঁচে থাকুন এই দোয়া একজন ক্ষুদ্র কলাম লেখকের!
আপনি এবার ও নোবেলজয়ী হলে আশ্চর্য হবো না কারন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এত বড় সাহায্যে মার্কিন তার প্রতিদান দেয় নাই এমন বেঈমান মার্কিনীরা না। এমন কি, আপনি গুতেরেস এর পদেও অধিষ্ঠিত হতে পারেন!
আজ-ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী কিসিঞ্জার ১০৪ বছর বয়স নিয়ে বেঁচে আছেন! আপনি আমার চোখে দ্বিতীয় কিসিঞ্জার, বেঁচে থাকুন ততদিন! যারা আপনার সমালোচনা করে তারা না বালক, খন্দকার মোশতাক বলেছিলেন,” কে আমার বিচার করবে, সাকসেসফুল ক্যুর বিচার হয়না!” নবাব সিরাজুদ্দৌলার বিরুদ্ধে “মীরজাফরের ক্যুর বিচার কে করেছে,” হ্যা সৃষ্টি কর্তা তাকে কুষ্ঠ, ঘষেটি বেগম কে নৌকা ডুবি, মীর কাসেমকে পাগল করে মৃত্যু দিয়েছেন! ওসব মনে আনতে নেই! ওসব তাদের জন্য যারা দুর্বল চিত্তের লোক, আল্লাহ ঈশ্বর ভগবান মানেন তাদের জন্য!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।