নজরুলের স্মৃতি ছবি
গরীব ঘরে জন্ম নিয়ে
হলে জাতীয় কবি।
জগৎ জুড়ে থাকবে বেঁচে,
তোমার স্মৃতি ছবি।
তুমি নজরুল জাতীয় কবি,
লিখলে বুলবুল।
তোমার কথা কাব্য লেখা,
হয় না কোনো তুল।
অগ্নিবীণা লিখলে কবি,
লিখলে বিষের বাঁশি।
বিদ্রোহী কবিতা লিখলে কবি,
তাই বড্ড ভালোবাসি।
সাম্যের গান গেয়েছো তুমি,
নাহি তাতে ভেদাভেদ।
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান,
নয় তো হিংসা বিদ্বেষ।
তাপের দাহ
তাপের দাহ ছুটছে আজ,
ছুটছে জোরে সোরে।
তাপের দাহ স্বয়ং মাটিও,
উঠেছে ফোরে ফোরে।
তাপের দাহ ছুটছে আজ
ছুটছে গাঁয়ে গাঁয়ে।
তাপের দাহ ফুটছে আজ,
পথিকের পায়ে পায়ে।
ঘরে ঘরে তাদের দাহ,
ছুটছে জোরে সোরে।
গাছ গাছালি পাখ পাখালি
হাহাকার তাঁরা করে।
তাপের দাহ ছুটছে আজ
বন জঙ্গল নদ নদী।
ক্ষেত খামারে ফল ফলাদি,
স্বস্তি ফিরে পায় যদি।
লেখা পড়া শিখবো আমি
খোকা মায়ের গলা ধরে,
বলছে আদর করি।
একটা বই কিনে দেবে মা
পাঠশালাতে আমি পড়ি।
তোমার যত দুঃখ আছে,
দেবো আমি ঘুচে।
তোমার চোখে জল কেন মা?
ফেল এখনি মুছে।
তোমার খোকন থাকতে মাগো,
চিন্তা কেন করো।
লেখা পড়া শিখে আমি মাগো,
হবো অনেক বড়ো।
লেখা পড়া শিখবো আমি,
সবার আশিবাদে।
মানুষ নিজে হবো আমি,
স্বপ্ন জাগার স্বাদে।
মানুষ হব দাও না মাগো,
হাতটা মাথায় বুলে।
তোমার মনের কষ্ট গুলো,
হৃদয় থেকে ভুলে।
নেতা
এই সমাজে নেতা হওয়া,
বড়ো কঠিন ব্যাপার।
নেতার মতন নেতা হওয়া,
আসে না কারোর অফার।
নেতা হতে চাইলে যাও,
মানুষের দ্বারে দ্বারে।
অনেক মানুষ আছে সেথায়,
নিরান্ন আর অনাহারে।
বস্ত্রহীন মানুষ আছে সেথায়,
জরাজীর্ণ পুষ্টিহীন ভাবে।
অসুস্থতায় ভুগিতেছে কতো,
চিকিৎসার অভাবে।
নিজ স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে,
মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
প্রকৃত অর্থে আসল নেতা,
হয় যেন আজ তারায়।