লেখক: ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
বাংলাদেশের মাননীয় “প্রধান উপদেষ্টা” ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি “জনাব তারেক জিয়ার” লন্ডনে ডরচেষ্টার হোটেলে রুদ্ধ দ্বার বৈঠক চলছে যা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ২ টার থেকে!
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা this is the right Track for you ! আপনি আপনার সমমনা পেয়েছেন! এই কাজটা আপনি অনেক আগে ও করতে পারতেন! তাতে আপনার মুজিবের মাথায় প্রসাব করানো, মুজিব রবীন্দ্রনাথের স্টাচু ভাঙা, ৩২ নাম্বার বাড়ী ভাঙা, জুলাই বিপ্লব কে Genocide, Revolution, Independence বানাতে কোন বেগ পেতে হতো না বরং শক্ত হাতে তা করতে পারতেন! আপনার ব্যক্তিগত সুযোগসুবিধা যেমন ৬৬৬ কোটি টাকার ট্যাক্স মাফ, গ্রামীন ব্যাঙ্কের জনগনের শেয়ার অংশ ফ্যাসিষ্ট হাসিনা কতৃক আরোপিত ২৫% কে ১০% বা ০% করতে কোন বেগ পেতে হতো না! আপনার ১৭ জন বিদেশি নাগরিক কে বাংলাদেশের মসনদে বসানো বা মানবিক করিডোর দেয়া, বা সেন্ট মার্টিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে দেয়া বা চিটাগং সমুদ্র বন্দরের ভার বিদেশি হাতে তুলে দেয়া বা পাকিস্তানের সাথে সখ্যতা গড়ে ভারতকে কিক মারা, মোট কথা SWITCH OVER TO, BEFORE 1971 আপনার জন্য সহজ হতো!
গুতেরেস কে ডেকে একলক্ষ আশি হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নাটক করে এক লক্ষ তিরিশ হাজার রোহিঙ্গা গ্রহন করতে হতো না, একাজ সোজাসাপটা করতে পারতেন! জাতিসংঘের অনুরোধে মানবিক করিডোর দিয়েছি ঘোষণার পর আবার আলোচনা চলছে বা জাতিসংঘের স্হায়ী প্রতিনিধি কে বলাতে হতো না সত্যি টা ধোয়াশা সৃষ্টি করতে , কোন আলোচনা হয় নাই বলা নাটকের মোহড়া জনগণের সামনে আনার প্রয়োজন! বরং আপনি বিএনপি কে সাথে নিলে বলতে পারতেন বুক ফুলিয়ে , “All these Agenda I have committed to be excuted before leave America ! সহজে পারতেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট কে তাড়াতে, নির্বাচন দিয়ে একটা সংসদ পেতেন, আপনি প্রেসিডেন্ট, জনাব তারেক জিয়া প্রধানমন্ত্রী যা হয়তো আগামী তে হতে যাচ্ছে ! আপনার সব অরাজনৈতিক অপরিপক্ক বিদেশি নাগরিক উপদেষ্টাদের সব সংস্কার নামক বাংলাদেশের খোলনলচে পাল্টানো কর্ম গুলো এতদিন “সাংসদের” মেজরিটি ভোটে, “সংসদে” পাশ করে নিতে পারতেন! গর্বভরে আজ ইংল্যান্ড যেতে পারতেন, যে দেশের প্রাইমিনিস্টার “ঋষি সুনাক” স্বৈরাচারী “শেখ হাসিনার” পেতে বসা চেয়ারের পাশে ফ্লোরে বসে তার দেশের উন্নয়ন করার ফর্মুলা খয়রাত মাঙ্গে সেই দেশের
প্রধানমন্ত্রী ” কেয়ার স্টারমারের” ঘাড়ে কয়টা মাথা আপনাকে রিসিভ করতে একজন সাংসদ পর্যন্ত পাঠায় না !! এমন অপমান হতে হতো না সেই বিশ্বযুদ্ধ পরিচালক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল থাকলেও!
সে যাক —-
প্রিয় পাঠক, আগামী প্রজন্ম নতুন বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে যেখানে গনতন্ত্র চর্চা হবে, নাই-বা থাকলো সীমান্তে দখল নাই-বা থাকলো দেশের সার্বভৌমত্ব, বাকী তিনটা থাকলে ই হলো! সেই কবে বলেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী “গার্নার’ রাষ্ট্রের চারটা পিলার থাকতে হবে, সার্বভৌমত্ব – নির্দিষ্ট ভূখন্ড – জনগন ও সরকার! তিনটা থাকলে দোষ কি?
তিন কোটি কুর্দি মুসলমান কুর্দিস্তানে বাস করছে না, নাই-বা থাকুক সার্বভৌমত্ব, নাইবা থাকুক জাতিসংঘের স্বীকৃতি, বেঁচে তো আছে প্রায় তিনটা বাংলাদেশ সমান নির্দিষ্ট ভূখন্ড নিয়ে, হ্যা বর্তমান আমাদের মত সীমান্তে দখল নাই, ঢুকে পড়ে কখনও আইএস তো কখনও অন্য কোন শত্রু! যুদ্ধ করে যাচ্ছে, তাদের আছে বেলুচিস্তানের মত বা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মত সশস্ত্র জনগোষ্ঠী!
প্রিয় পাঠক, আমরা মোটামুটি ভেবে নিতে পারি আওয়ামী নির্বোধদের মাইনাস করার মত বিএনপিকে ” মাইনাস” করার সেই মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিন থট আমাদের বিজ্ঞ প্রধান উপদেষ্টা নিজ মস্তিষ্ক থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন! তিনি নির্বাচন দিতে পারবেন যখন ইচ্ছে! তার সমমনা জামাত জাতীয়তাবাদী ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নিয়ে একটা মুড়িঘণ্ট পার্লামেন্ট ও মন্ত্রী পরিষদ তৈরি করতে পারবেন! ইচ্ছে হলে নির্বোধ অপরিনামদর্শী শাসক তাড়াতে যাদের বড় ভুমিকা ছিলো যেমন ভিপি নূর, পিনাকী দাদা, ইলিয়াস রহমান ইত্যাদি। হোক না সত্তর আশি মন্ত্রী পরিষদ! লাগে টাকা দেবে গৌরীসেন। ট্যাক্স তো একবার বাড়িয়েছেন, আরও কয়েকবারে বাড়ালে প্রতিবাদী কই? বোঝার লোক কই, কেউ বুঝতে গেলে আপনার তো “বৈষম্য বিরোধীরা আছে, ধুয়া তুলে দিলেন ” স্বৈরাচারের দোসর” ব্যাস ধরে পুরে দিবেন জেলে! আগে স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট লাগতো জলে পুরে একশো বিশ দিন রাখা যেতো, আপনার আমলে তো এসব এ্যাক্ট ফ্যাক্ট লাগে না! একেই বলে আইনের শাসন যা বিগত ১৯৯০ থেকে ২০২৪ আগষ্ট পর্যন্ত ছিলো না, কি বলেন?
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন তাকিয়ে থাকেন ভবিষ্যতের দিকে, শত ভাগ মিলে যাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা থাকতে পারে!