শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ নামক “ব” দ্বীপ টা! পর্ব – ৪

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
  • ১০৪ Time View

লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম

এ লজ্জা কোথায় রাখি ?
বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী দেশ “চীনের বিদেশ মন্ত্রী” বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে সেখান থেকে উড়ে যান! বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বিগত কথিত স্বৈরশাসকের চেয়ারের পাশে হাটু গেড়ে বসে তাকে উন্নয়নের শিক্ষক সম্বোধন করেন! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্যার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে স্ব পরিবারে “সেলফি” তোলেন!

সেই দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা বৃটেনে রাস্ট্রীয় সফরে গেলে একজন বৃটিশ সাংসদ ও বিমান বন্দরে তাকে রিসিভ করতে আসেন নাই, ফুলের মালা, লালগালিচা নাই-বা পেলাম! এমন কি বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী “স্টার মার” আমাদের প্রিয় নেতা জনদরদি ডঃ ইউনূসের সাথে দেখা করতে অস্বীকার করেছেন! তা হলে এই সফর সরকারি সফর হলো কিভাবে?
আমরা যারা বর্তমান জুলাই বিপ্লব কে Independence, Genocide, Revolution বলে গলা ফাটাই মানে আমরা তারা এদেশের শিক্ষিত অশিক্ষিত আহম্মক যারা, ডঃ ইউনূসের অন্ধ সমর্থক তারা কি গনহারে গলায় রশি নেবো! এত রশি পাবো কই?
জুটমিল গুলো তো সব বন্ধ করে গেছেন সেই ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সরকার এই সরকারের সমমনারা!

প্রিয় পাঠক, উন্নত দেশের দরজায় পা দেয়া দেশটা হতদরিদ্র সীমায় নেমে গেলো মাত্র দশ মাসে (বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য) ! একলক্ষ কোটি টাকা বিদেশ পাচার হয়ে গেলো “শেয়ার মার্কেট” থেকে (গোলাম মওলা রণি সাংবাদিক টকশোতে)!
আমাদের প্রিয় নেতা ডঃ ইউনূসের প্রিয় দল জামাতের
সভাপতি ডাঃ শফিকের ছেলে “ডাঃ রেফাত” পাহাড়ের “কুকিচীন নামক সন্ত্রাসী সংগঠনের” সভাপতি ও কমান্ডার প্রশিক্ষক এখন পুলিশ রিমান্ডে! হায় ভবিতব্য এ দেশের মানুষ তো ডাঃ শফিকের পানি পড়া তেল পড়া সর্ব রোগের মহা ঔষধ হবে ভাবতে শুরু করেছিলো কারন তিনি ইসলাম ধর্মের ধ্বজাধারী ও আমার প্রিয় প্রধান উপদেষ্টার “হাসিনা বিরোধী RIGOROUS” ঘটনার গোপন ষড়যন্ত্রের সহযোগী! যার জন্য তিনি গত দশ মাস বিএনপি কে চাঁদাবাজি দখল বাজি সুযোগ দিলে ও
১/১১ এর মত “মাইনাস করার” দুরাভিসন্ধি তে ছিলেন! তা না হলে মাস তিনেকের ভিতর নির্বাচন দিলে বিএনপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসে যেতো!
আওয়ামী নিষিদ্ধ ধরনের নাটক করতে হতো না! অবশ্য তিনি লন্ডনে তারেক জিয়ার আশ্রয় প্রার্থনায় তার সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে বিভিন্ন মহল নিশ্চিত করছে!

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি সফিক সাহেব মিথ্যা বলে আরো লেজেগোবরে অবস্হা করে ফেলেছেন! স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “কোটি কোটি বাংলাদেশের পাচার অর্থ ফেরত নিতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সহয়তা চাই, তাই দেখা চাই ( ইত্তেফাক) ! মিথ্যার আশ্রয়ে থাকা সরকার সূক্ষ্ম কথার মার প্যাচে “স্টার মার” কে বাংলাদেশের স্বৈরাচারের দোষর বুঝাতে চান!
বাংলাদেশের টাকা বিভিন্ন সময় পাচার হয়েছে আমেরিকা কানাডা দুবাই। গত ১০ মাসের পাচার উদ্ধারের উদ্যোগ কই? বৃটিশ সরকার কে কি রাস্ট্র দূত মারফত চিঠি দিয়েছেন, “আমাকে সহযোগিতা করুন গত স্বৈরাচার যত টাকা পাচার করেছে তা উদ্ধার করতে? তা হলে বিশ্বের সেরা গনতান্ত্রিক দেশের সরকার কে দায়ী করছেন কেন নিজের অপমান ঢাকতে! কিছু লোক একটা দেশের বোকা বানানো সহজ কিন্তু সব লোক আহম্মক নয় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা!

বিএনপি কে ক্ষমতায় তখন আনলে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারতেন আর বাংলাদেশ কে মিনি বা ম্যাক্সি পাকিস্তান করতে ও গ্রাস রুট পর্যায়ে সহযোগী পেতেন!
দেশের সর্বনাশ তিনি যে প্রতিশোধ স্পৃহা নিয়ে করেছেন তাতে বিএনপি বাঁধা দিতো না! তারা ও তা চায়! অতএব একক দায় পড়তো না করিডোর দেয়া, সেন্ট মার্টিন দেয়া, চিটাগং সমুদ্র বন্দরের দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে দেয়া। আপনার এসব প্রতিশ্রুতি এজেন্ডা তারাও বাস্তবায়ন করতে সহযোগিতা করতো এবং একটা পার্লামেন্ট পেতেন আপনার যত অবৈধ কর্মের সাংসদীয় ভাবে পাশ করে নিতে! আপনার উপদেষ্টাদের যে-সব আদায় পত্র পাচার পত্রিকায় আসছে এবং পুলিশ হত্যা, সন্ত্রাসী ছাড়া, পুলিশের গুলিতে হত্যার নামে 7.62 বুলেটের সহস্র হত্যার বিচার কোনদিন হবে না সে জন্য ইনডেমনিটি আইন পার্লামেন্টে পাশ করায় নিতে পারতেন, আপনি নিশ্চয় জানেন এমন অমানবিক আইন পাশ করায় তারা সিদ্ধ হস্ত, সে-ই যে মুজিব নামের ব্যক্তিটা ৩২ নাম্বার ধানমন্ডি তে পরিবারের ২২ সদস্য সহ হত্যা হলেন, তার বিচার করা যাবেনা বলে যে “Indemnity ” দেয়া হয়েছিলো তা এই দল টা করেছিলো! নবাব সিরাজুদ্দৌলা মৃত্যুর সময় বলেছিলেন,”আমি শুধু বাংলার নবাব ছিলাম না, একজন পিতা একজন স্বামী ও ছিলাম, আমি আমার মৃত্যুর সময় আমার সন্তান সহধর্মিণীকে দেখতে পেলাম না! “মুজিব” শুধু “জাতির জনক” ছিলেন না একজন পিতা ভ্রাতা স্বামী ও ছিলেন!
একজন সন্তান কেন তার পিতার হত্যার বিচার চাইতে আদালতের দরজা খটখটাতে পারবেন না সে মানবিক দিক টা ১৯৭৫ পরবর্তী সরকার তা নিষ্ঠুরতার সাথে ওভার লুক করেছিলেন যেমন ৪হাজার ৫০০ সেনাবাহিনীর সদস্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে যা তাদের অনেকের রিবার জানতেন কারন স্বামী অফিসে গেছেন, আর ফিরে যান নাই অর্থাৎ ফাসিতে ঝুলে লাশ হয়ে কভার্ড ভ্যানে চড়ে স্হান পেয়েছে আজমপুর গ্রভ ইয়ার্ডে! কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নাই যিনি নিজেকে নিষ্কণ্টক করতে চেয়েছিলেন ! আপনি আমি তিনি সে কেউ ঈশ্বর ভগবান আল্লাহর দৃষ্টির বাইরে নই বা সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস না করলে প্রকৃতি প্রতিশোধ নেয় যেমন নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ উদাহরণে ভিতর একটা, চীনের মা-ও সেতুং তার ফসল খাওয়ার অপরাধে এক কোটি চড়াই হত্যা করায় ছিলেন প্রতি ঘরে ঘরে নির্দেশ দিয়ে! পরবর্তী বছর মহামারি তে চীনের তিন কোটি মানুষ মারা যায় অতিরোধ্য ভাবে —

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102