কলমেঃ দেবিকা রানী হালদার
ছায়া কখনও যায় না ছেড়ে যেমন যায় না বাবা
সুখ-দুঃখের বটবৃক্ষ যেন নিজের কায়া !
বাবা ছিলেন মাথার উপর বটবৃক্ষ ছায়া
বুক ভর্তি ছিলো তোমার আদর আর মায়া!
সত্যি মিথ্যা দু’টো পথ কোনটা আঁধার আলো
বুঝিয়ে তুমি দিতে আমায় কোনটা মন্দ ভালো?
বুক পেতে রক্ষা করতে আদরের সন্তান
আসুক যত ঝড় বাদল হাইব্রিড মাস্তান !
হাটতে তুমি শিখিয়েছিলে আঙ্গুল আমার ধরে
আমায় নিয়ে পুকুর ঘাটে যেতে খুব ভোরে!
বাড়ির ভিতর ঢুকতে তুমি দরাজ গলায় কাশি
ভয়ে সবাই ছুটে পালাতাম মায় দিতেন হাসি!
ঘুম থেকে উঠতে দেরি, মায় দিতেন বকা
মাথায় তুমি হাত বুলাতে, আদর হাতে মাখা!
জানো বাবা, আজ-ও তোমায় খুঁজি আকাশ পানে
কোন তারাটা হয়ে ফুটছো যাবো সেইখানে!
অসুস্থতায় শয্যা নিলে আর হলো না দেখা
তোমার কাছে যেতে চাইলে হায়েনার খেতাম বকা!
কত কষ্ট অবহেলা নিয়ে তুমি গেলে
মরার আগে মনে হতো আমার বাবা জেলে!
জানি তোমার যত্ন ওরা করেনি ঠিকমতো
চীৎকার করে কান্না করছি দেখতে তোমায় শত!
অনুমতি মেলে নাই আমার, দুর্বল মেয়ে বলে
ভুগে ভুগে বিনা যত্নে গেলে তুমি চলে!
আজ-ও যখন ভাবি আমি সে-সব দিনের কথা
বুকটা আমার ভেঙে আসে কলিজা করে ব্যথা ”
বাবা তুমি কোথায় আছো কোন সে অজানায়
চোখ যে আমার, খুঁজতে তোমায়, বৃষ্টি ঝরায়!
তখন হঠাৎ মনে হয় আছো তুমি পাশে
মাথায় হাত রেখে বলছো, কাদিস না, আছি ছদ্মবেশে!
আবার যদি ফিরে এসো পূনঃজন্ম নিয়ে
আমার গর্ভের সন্তান হয়ে এসো, দূঃখ কষ্ট নিবো আমি সয়ে!