এস এম রকিবুল হাসান
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নিয়ামতপুরে একই রাতে সংঘদ্ধ চোরের দল গভীর নলকূপের তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মানপুর এলাকায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গভীর নলকূপের অপারেটর দেলোয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু থানায় অভিযোগের তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। ফলে মাঠের গভীর নলকুপের ট্রান্সফরমা চুরি নিয়ে চরম আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন ওই এলাকার কৃষক ও গভীর নলকুপের অন্য অপারেটররা।
জানা যায়, প্রতি বছরই বোরোর আবাদ শেষে এমন চুরির ঘটনা ঘটে। ফলে ট্রান্সফরমা চুরি ঠেকাতে পাহারা দেন কৃষকরা। ওই এলাকার মানপুর মৌজার ২৫২ নং দাগে অবস্থিত গভীরনলকুপের কৃষকরা রাতের বেলা ট্রান্সফরমার পাহারা দিয়ে রাত আড়াইটার দিকে বাড়ি ফিরে যান। সকালবেলা গিয়ে দেখেন ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে। বৈদ্যতিক পোলের নিচে পড়ে রয়েছে চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমার খোলস। এতে কৃষকের ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড়লক্ষ টাকা।
অভিযোগকারী গভীর নলকূপের অপারেটর দেলোয়ার হোসেন বলেন, বোরোর আবাদ শেষ হওয়ার পর ট্রান্সফরমার তিনটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝোলানো ছিল। আমরা কৃষকদের নিয়ে প্রতিরাতেই পাহারা দিতাম। চুরির রাতেও পাহারা দিয়ে রাত তিনটার দিকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর ওৎ পেতে থাকা চোরেরা তিনটা ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, এ গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়। একই ইউনিয়নের অমৃতপুর গ্রামের নরজী নামের এক ইলেকট্রিশিয়ান এসব এলাকার গভীর নলক’পের ট্রান্সফরমা উঠা নামার কাজ করে থাকেন। গত এক মাস যাবত তাকে ট্রান্সফরমার নামানোর জন্য বারবার তাগাদা দিলেও তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করে ট্রান্সফরমারগুলো না নামিয়ে সময় ক্ষেপন করেন। চুরির আগের দিন আবারো তাকে তাগাদা দিলে ট্রান্সফরমার পরের দিন নামিয়ে দিতে সম্মত হন। কিন্তু রাতেই ঘটে এ চুরির ঘটনা।
চুরির ঘটনা জানতে চাইলে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নিয়ামতপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ জানান, চুরির ঘটনা তিনি অবগত নন। এ বিষয়ে তাকে জানানো হয়নি।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।