লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
সরকার সমর্থিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এনসিপি
আহ্বায়ক, বর্তমান সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা জনাব নাহিদের বাড়ী থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা উদ্ধার, তার বাড়ীর পুকুরে ব্যাগ ভর্তি চার কোটি টাকা পাওয়া গেছে এমন খবর ভিডিও তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচার সয়লাব কিন্তু “মিঃ নাহিদ” গ্রেফতার হননি, যদি ভূয়া খবর হয়, নাহিদ মানহানি মামলা করতে পারেন, তা করেননি, এককালীন বিএনপি মেয়র “সাদেক হোসেন” খোকার ছেলে “জনাব এরশাক” সরকার কে তোয়াক্কা না করে তিনি মেয়র সাইনবোর্ড ঝুলায়ে অফিসে বসে গেছেন! উল্লেখ্য তিনি অনেকদিন নিজেকে বৈধ মেয়র দাবী করে আসছেন কিন্তু সরকার তাকে মেনে নিচ্ছিলেন না, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সাথে দেখা করলে, জনাব এরশাক নিজেই চেয়ার দখল করে নেন! দেশ কে চালায়, সরকার তাকে কেন মেয়র পদ দিচ্ছিলেন না তা যেমন স্পষ্ট না তেমনি তিনি দখল করে নিলেন, সরকার কেন নিরব তাও স্পষ্ট না!
লন্ডনে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ জন্মের চুয়ান্ন বছরে যত সরকার আসছেন তারা বৃটেনে লালগালিচা সহ অনেক সন্মানিত হলেও তিনি সর্বকালের সেরা অপমানিত হলেন এবং দেশকে বিশ্ব দরবারে অপমানিত করলেন, কেন তার প্রেস সেক্রেটারি ঠিকঠাকমতো প্রটোকল রক্ষন করতে পারলেন না, এইসবের কোন মিথ্যা ব্যাখ্যা ছাড়া সঠিক উত্তর নাই!
ঠিক বিদেশের হাতে “চিটাগং সমুদ্র বন্দর তুলে দেয়া, সেন্ট মার্টিন, সাজেস ভ্যালি তে কেন বাঙালি প্রবেশ অধিকার নাই, মানবিক করিডোর কেন দেয়া, এসব নিয়ে কেন মিথ্যাচার — সব, সবকিছু একটা দাবানলের ধোয়ায় যেমন আকাশ অসচ্ছ ধোঁয়াটে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে যায় তেমনি বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশ ধোঁয়াচ্ছন্ন!
জনগণ জানেনা কাল কি হতে যাচ্ছে? কেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা দশ মাসে এগারো বার বিদেশ যান এবং কি নিয়ে আসেন?
উল্লেখ্য, প্রাক্তন অপরিনামদর্শী নির্বোধ শাসক ইউরোপ গেলে গার্মেন্টস রপ্তানি কোঠা বাড়তো, সৌদি আরব গেলে জ্বালানি তেল রিফাইনারি করবে বাংলাদেশে সে প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসতো, মধ্য প্রাচ্যের অন্য দেশে গেলে সামরিক লোকগুলো রপ্তানি সুযোগ নিয়ে আসতেন কারন তিনি ভীত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে যে-কোন সময় দেড় লাখ শান্তি বাহিনীর সেনা সদস্য জাতিসংঘ যেকোন অজুহাতে ফেরত পাঠাতে পারে!
আসুন বিশ্বের ধোঁয়াচ্ছন্ন একটা বিষয় আলোচনা করি!
বিশ্বে ধর্ম এসেছিলো শান্তির বানী নিয়ে! সেই ধর্ম সারা বিশ্বকে নরকে পরিনত করেছে! সৃষ্টি কর্তা ও একটা ধর্ম না করে চার হাজার তিনশো ধর্ম করে দিয়েছেন! কেন এমন তিনি করেছেন তা ধোঁয়াচ্ছন্ন! সেই ধর্মের ভিতর খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী বেশী, তার দ্বিতীয় সংখ্যা ধর্মাবলম্বী ” “মুসলমান” কে গিনিপিগের থেকে বেশী ঘৃণা করে। মুসলমান কিন্তু তাদের বেশী ঘৃণা করে না! তারা ঘৃণা করে তৃতীয় অবস্থানের ধর্মাবলম্বী “হিন্দুদের”! মুসলমান ধর্মীয় এডুকেশন ইতিহাস ভুগোল দর্শন পড়ায় না তাই তারা এত ধর্ম বিশ্বে তা-ও জানে না! তাই তাদের বড় শত্রু হিন্দু ও প্রতিবেশী ভারত! কিছু হলেই তারা মন্দির ভাঙে, গীর্জা কিন্তু ভাঙে না! সেই গীর্জার লোকেরা বিশ্বে মুসলমান নিধনে সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করে রেখেছে, সেই রোড ম্যাপ অনুসারে একে একে সব মুসলিম দেশ দখলে নিচ্ছে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে! যে দেশগুলো তাদের বশ্যতা স্বীকার করে নাই তাদের নেতাকে সরিয়ে দিয়েছে এবং পরে ঐ দেশের গাদ্দারদের দিয়ে পুতুল সরকার তৈরি করে মার্কিন সামরিক ঘাটি করেছে!
যে সব মুসলিম নেতা সরিয়ে দিয়েছে তার মধ্যে ” মুজিব, সাদ্দাম, গাদ্দাফি, ইয়াসিন আরাফাত, হামিদ কারজাই ইত্যাদি! এখন চাষ দিতেছে “ইরানের উঠান”! কারন বিশ্বে একমাত্র ইরানকে জ্ঞানবিজ্ঞান ধর্ম জানা মুসলমান হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হিসাব করে তাই তাদের অনুগত সরকার ” রেজাশাহ পাহলভি” গন অভ্যুত্থানে বিতাড়িত হয়ে “খোমেনির আবির্ভাব” ঘটে!সেই ১৯৭৯ সাল থেকে ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহ পশ্চিমা বিশ্বর নিষেধাজ্ঞায় আছে! ইরানে খোমেনি শাসন বিলুপ্ত করতে ইসরায়েল কে লাগিয়ে রেখেছে কারন ইরান একমাত্র দেশ যে ফিলিস্তিনের পক্ষে লড়ে, আর বিশ্বের বাকী পঞ্চান্ন দেশ পশ্চিমা বিশ্বের পদলেহী!
আমাদের দেশে তো ফিলিস্তিন লাখ লাখ লোক হত্যায় মসজিদে ও মোনাজাত হয় নাই! একটা রাজনৈতিক দল তো মার্কিন রাস্ট্র দূত “পিটার হাস” কে ভগবান ডেকে বসলেন! তবে হ্যা ঐ যে “মুজিব” নামের লোকটা ইসরায়েলের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন মুসলিম শত্রু বলে, আর বিগত অপরিনামদর্শী নির্বোধ শাসক শেখ হাসিনা না কি নাম ছিলো, তিনি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন ফিলিস্তিন পক্ষে এবং জাতিসংঘে বলেছিলেন, “The middle East peace depends on the RECOGNITION of Palestinian’s Independence!”
বিশ্ব নাটক হলো, ইসরায়েল পরমাণু বোমার অধিকারী হয়ে বসে আছে! তাকে বিশ্ব Nuclear weapons Association কোন রকম তদন্ত, অনুমতির কথা বলে না, কয়টা পরমাণু ওয়ার হেড তৈরি করেছে সে হিসাব ও নাই তাদের কাছে, কিন্তু ইরান পরমাণু শক্তি অর্জন করতে পারবে না, ইরানকে তিনবার সরেজমিনে তদন্ত টীম পরীক্ষা নীরিক্ষা করে কিছু পায় নাই, তবুও তাকে নিষেধাজ্ঞা এবং গত শুক্রবার আমেরিকার ইরাক ঘাটি থেকে ড্রোন এনে ইরান সীমান্তে রেখে ইরানের অস্ত্র কারখানায় হামলা করেছে যার জন্য আজ ইরান ইসরায়েল যুদ্ধ!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।