মমত্বে ভরা
মমত্বে ভরা জগত গড়িয়াছে সে
স্বকীয়তা তিলে তিলে ভস্ম করে,
বহু যতনে রাখিয়াছে সেই অধ্যায়
পরাণে পরাণ যুগযুগ শতাব্দী ধরে।
নির্মল মমত্ব
প্রকৃত প্রণয়ে নির্মল মমত্ব
আত্মা-পরমাত্মা ঘিরে বয়,
আসমান-জমিন কম্পিত
হলেও লাগে না বিন্দুকনা ভয়।
থাকে না থেমে
সময়ের স্রোত থাকে নাতো
কারো জন্য বিন্দু কণা থেমে,
মনুষ্য জনম পার হয়ে যায় ক্ষণে
গেমে গেমে নতুবা মমত্ব প্রেমে!
নির্মল পরশে কেউ করেন হা-হুতাশ
আলেয়ার পিছু ছুটে ধেঁয়ে আসে বাঁশ,
ঘূর্ণিঝড় তুফানে কারো পার হয় দিন
শান্তি-সুখে কেউ বাজায় যে বীণ।
থেমে
কতবার দিয়েছো ভেঙে
যাইনি তো ঘেমে থেমে,
খুশী-ক্লেশ তার-ই দান
যে দিয়েছে মমত্বে প্রাণ!
অস্থিরতা ভর
এই ভাসো, এই হাসো
হা-হুতাশে ক্ষণে কাঁদো
আদ্যপান্ত মানো যে হার!
এভাবে আসে না শান্তি-সুখ
আবীরে নয় জনম বাহার!
ক্লেশ কে ভেবো না
দুঃখ বেদনা যাতনার রেশ
আলো-ছায়া লুকোচুরী
খেলা তেই মেতে ওঠে জনম
আহামরি সুখকর বেশ!
আমি তোমাদের
আমি তোমাদের লোক
আমার লেখাগুলো
আজ নয় কাল
তোমাদের হৃদয়ের কথা হোক
গর্জে উঠুক বিবেক
বিবেকের দংশনে সোচ্চার হোক
জেগে থাকুক প্রতিবাদী কলম,
ক্ষূরধার লেখনী তে গর্জে উঠুক
বিবেক-বুদ্ধি ন্যায়-পরায়ন’র বল্লম।
চঞ্চল চিত্ত
আজও কি ডানা মেলে ঈগল
অস্থির চিত্তে নিচ্ছিদ্র তুলবে সুর?
চায় না তাকে নীলআসমান-জমিন
সীমাহীন দিগন্ত সুবিশাল সমুদ্দুর!
অভিশাপ
আহা! কোথায়
কোথায় লুকালো সত্যের দল?
মিছে বেসাতি’র দল কলকল
ধ্বনিতে ছুঁটছে, করছে খলবল!
সত্য চিরঅম্লান সূর্যের প্রতীক
হয় না কো বিধ্বস্ত আঁধারে লীন,
ঈর্ষা অহম কর্মকাণ্ডের অভিশাপে
হয়োনা বংশ পরম্পরা ধ্বংস বিলীন।
উৎসর্গঃ শহীদ আবু সাঈদ কে
চেয়ে দেখি
আত্মা প্রেতাত্মা করিলো ভর
আমার মিছিলের উপর,
বুক সটান করে দিয়েছি পেতে
পৈশাচিক উল্লাস উঠিলো মেতে!
চর্তুদিকে শ্লোগানে উত্তাল জনপদ
ছুঁটছে উল্কা ধুমকেতু শুভ্র ধোঁয়া,
অবিশ্বাস্য ভাবে চেয়ে! চেয়ে দেখি,
আহ্ আমার প্রাণ! প্রাণ গেলো তো খোয়া।
ক্ষম মোরে
পিপিলিকার পাখা গজায়
নাকি মরিবার তরে—–,
প্রতিহিংসা পরায়ন জংলী নির্বোধ
সীমা’র কর্ম হৃদয় ব্যথিত করে!
নারকীয় হত্যায় রক্তের হোলি খেলার
বীভৎসতায় কিভাবে মেতে ওঠে!
অতপরঃ তা দর্শনে সৃষ্টির সেরা জীব
অতি সভ্যযুগেও জাহেলিয়া যুগের
ন্যায় পৈশাচিক উল্লাসে ফেটে পড়ে?
দিতে পারিনি মানবতা- কল্যান বোধ
তাই লজ্জা ঘৃণায় নিচ্ছিদ্র ঝরছি-মরছি
‘হে মহান প্রভু ‘ ক্ষম, ক্ষমা করো মোরে!
অস্তাচল
কোন ক্ষণে হারিয়ে যাবো
জানবে নাতো কেউ,
মনের মাঝে গোগ্রাসী বানের
উথাল-পাথাল ঢেউ!
বিন্দু বিন্দু জলের কণা
জমবে চোখের কোনে,
সকল আর্তি আহাজারী
তোলপাড় দৃষ্টি ভ্রমে!
দেখা হবে না কথা হবে না
বিষাদ সিন্ধুর ঘোর,
নিঁকষ কালো লেপটে রবে
দুপুর রাত্রি ভোর।
আকাশ-বাতাস, জমিন-পাতাল
পইপই করে খুঁজে,
বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে ছুঁটবে শেষে
বোহেমিয়ান চক্ষূ বুঝে।
অনুকাব্য- তুষের অনল
হৃদয় হয়ে গেলো ধূধূ ধূসর মরু
তবু তুমি বুঝো না কেনো যে তরু!
গগন-জমিন দিবানিশি অঝোরে ঝরে
তুষের অনলে প্রাণ যায় তো পুড়ে!