অথই নূরুল আমিন
১. বাংলাদেশের সকল অরক্ষিত হাট - বাজার, বিশেষ করে ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ের সুরক্ষিত করন। নিরাপত্তা বেষ্টিত করন। টিনসেট বাজার গুলো দ্বিতীয় তলা থেকে স্থান বুঝে তৃতীয় এবং চতুর্থ তলা পর্যন্ত করন। সিসি ক্যামেরাসহ অত্যাধুনিক করন। উক্ত পদক্ষেপ সঠিকভাবে নিলে দেশের দুই কোটি বেকারত্ব দুর হবে।
২. শিক্ষা খাতে পাঠ্য পুস্তক সরকারি ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয় বন্ধ করা জরুরি। সমগ্র দেশের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি, পর্যাক্রমে মাষ্টার্স পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা কারিগরি শিক্ষাসহ করা জরুরি। এতে যেমন বাড়বে শিক্ষার মান, তেমনি বাড়বে কর্ম। এস এস সি পরীক্ষায় পাশের হার থাকবে ৪০%। উল্লেখিত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে নতুন নিয়মে হবে শিক্ষক নিয়োগ। তাহলে কমে আসবে শিক্ষা খাতের দুর্নীতি। এবং দেশে পাওয়া যাবে শতভাগ শিক্ষিত জাতি। সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বাড়বে মান। বাড়বে প্রশংসা।
৩. দেশের শিক্ষা খাতকে বিশ্ব রোল মডেল এ নিয়ে আসা, প্রতিটা ছাত্র বা ছাত্রীর জন্য মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক শিক্ষা প্রদানসহ ছেলে মেয়ে সবার উন্নত জীবন উন্নত করা এবং উন্নত চিন্তাধারায় পৌঁছে দেয়া এবং প্রতিটা ছাত্র ছাত্রীর জন্য থাকবে লাইফ ইন্সুরেন্স।
৪. দেশের যেকোন রাস্তা চার লেন, ছয় লেন না করে। কৃষকের জমি নষ্ট না করে বা বিভিন্ন রাস্তা বা সড়ক করতে গিয়ে একোয়ার বা অধিগ্রহণ ছাড়াই প্রায় ছয় হাজার কিলো : রাস্তা করন। এবং আরো সহজে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণকারীরা ভ্রমণ করতে পারবেন। এরকম শত শত মহা পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টার দপ্তরে ( প্রস্তাবিত )
৫. দেশের প্রায় ৮০ লাখ গৃহহীন ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসন এবং তাদেরকে কর্মসহ সুযোগ করে দিতে হবে। দেশের উন্নয়ন এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করতে হলে। অর্থাভাবে চুরি করতে গেলে পুলিশ ধরে জেলে পাঠানোর পরে সরকার যদি তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে। তারচেয়ে ভালো হয়। দরিদ্র লোকদের জন্য বাজেট বের করে পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া।
৬. দেশের প্রায় তিন কোটি বয়স্ক এবং যুবকের জন্য শ্রেণি ভেদে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া। এ বেপারে আমি পরামর্শ প্রদান এবং সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
৭. দেশ উন্নয়ন করতে হলে, দেশের বেকারত্ব কমাতে হলে সরকারকে বিদেশি ঋণ নেয়া কমিয়ে আনতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের লাভবান ক্ষেত্রে বিদেশি ঋণ নেয়া প্রযোজ্য হতে পারে।
৮. দেশের বিশেষ প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অহেতুক পণ্য আমদানি কমিয়ে রফতানি খাত বাড়াতে হবে ব্যাপক হারে।
৯. দেশের সকল উপজেলা বা পৌরসভা " মডেল আবাসিক এলাকা" ঘোষণা করে এবং " থ্রি' ল ' মেইন "
২৪ ঘন্টা সুপার শপ চালু এবং ঘোষণা করে প্রতিটি উপজেলা বা পৌরসভার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করন।
১০ . রাষ্ট্র সংস্কার বিধানে, স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিয়ে যাদেরকে নির্বাচিত করবেন। সেই সকল জন প্রতিনিধিরা হবেন। জাতীয় নির্বাচনের ভোটার। এবং জাতীয় নির্বাচনে যারা এমপি হবেন। সেই সকল এমপি গণ হবেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের দলীয় মার্কার নির্বাচনে সম্মানিত ভোটার।
অথবা জাতীয় নির্বাচন থেকে তিনশ আসন কর্তন করে ২৪ জনের প্যানেল দিয়েও একটি জাতীয় নির্বাচন দেয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেখানে ভোটাভোটি হবে সব অনলাইন পদ্ধতিতে। এখানে একজন রাষ্ট্রপতি একজন প্রধানমন্ত্রী আট বিভাগীয় আটজন উপদেষ্টা এবং বাকী সবাই ১৪ জন হবেন মন্ত্রী পরিষদ সদস্য। তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশ খুব সহজেই এগিয়ে যাবে। এখানে কথা থাকে যে, তিনশ এমপির সাথে সবকিছু মিলে মাসিক যে ব্যয় এমপিদের হয়। তার সবটুকু রাষ্ট্রের বহন করতে হয়। সরকারের সেই পরিমাণ নিজস্ব কোন আয় নেই। যার ফলে নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হয়। এবং দেশের গরিব জনগণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষের খুব কষ্ট করে জীবনযাপন করতে হয়।
১১. টিসিবি এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক বড় দুর্নীতিবাজ। তাই টিসিবির পণ্য ক্রয় বিক্রয় আপাতত বন্ধ রাখাই ভালো। এছাড়া দেশের অসংখ্য ভাতা বন্ধ করে ভাতা পাবার যোগ্য যারা তাদেরকে পুনর্বাসন করে দেয়া হোক।
১২. জন শুমারি ব্যালেন্স ব্যাংক লি. নামে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ব্যালেন্স কার্ড করা হোক। যা এটিএম পদ্ধতি। একদিনের শিশু থেকে সর্বোচ্চ বয়স পর্যন্ত। উক্ত কার্ডের মাধ্যমে যখন তখন পাঁচ হাজার থেকে পাচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা সুদে বা লাভে তুলতে সক্ষম হবে। এখানে প্রমাণ হবে। দেশের নাগরিকদের সরকারের কাছে কদর রয়েছে।
১৩. ফসল রক্ষা টিকসই বাঁধ প্রকল্প নির্মাণ করন এবং বিশেষ প্রয়োজনীয় মৃত নদী বা খাল গুলো খনন করন। যার পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্বাসন প্রকল্প যেন হয়। সেই মতে উক্ত খননের দুই পাশে ঘর বাড়ি নির্মাণ করাসহ।
১৪. দেশের বন্যা কবলিত এলাকা সমূহে সড়ক বা রাস্তার পরিবর্তে নীচু বা উচু উড়াল সেতু করন প্রকল্প করা প্রয়োজন।
১৫. ঢাকা শহরের জনগণের চাপ কমাতে চার বছর মেয়াদী বহুতল ভবন নির্মাণ নিষিদ্ধ করন এবং বতর্মান অটোরিকশা বন্ধ না করে বিকল্প ব্যবস্থায় বতর্মান যানজট কমিয়ে আনার পরামর্শ এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
১৬. দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সচ্ছল ও বেকারত্ব কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে, পরামর্শ হলো। দেশের পণ্য রফতানি করন প্রকল্প আরো জোরদার আরো সক্রিয় করা প্রয়োজন।
১৭. দেশের সরকারি খাস খায়গা গুলো বিশেষ করে যেগুলো এখনো পতিত আছে। তা চাষাবাদ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া। নিম্ন আয়ের জনগণকে লিজ দেয়া। এবং বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানা খালি বা পতিত জায়গা গুলোতে কিছু করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাগাদা দেয়া।
১৮. সরকারি উদ্যোগে সমগ্র দেশে একযোগে ২৫ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করন।
১৯. সরকারি উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় সমবায় ভিত্তিক দেশের এক ইঞ্চি মাটিও যেন খালি বা পতিত না থাকে। সেই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করন।
২০. সুন্দরবন থেকে খুলনা পর্যন্ত সাগর বা নদী পাড়ে সরকারি অর্থায়নে জন বসতি গড়ে তোলা হোক। এখানে বসতি গড়ে তুললে দেশের যেমন কমবে বেকারত্ব। তেমনি হবে কৃষি উৎপাদন।
২১. বর্তমানে দেশের প্রায় ছয় কোটি জনগণ বেকার। তাদেরকে কর্ম দেবার ব্যবস্থা করন অতিব জরুরি।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী