মিজানুর রহমান মিজান, বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে:
নিজ ওয়ার্ডে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আয়াজ আলীকে একাধিক মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করার প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন ওয়ার্ডের শত শত নারী-পুরুষ। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ৩টার দিকে ইউনিয়নের ‘পাঠাকইন-মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র সামনে ইউপি মেম্বার আয়াজ আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ও সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে তার (আয়াজ) উপর দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মুরব্বী রফিক আলী, পাঠাকইন গ্রামের মুরব্বী গনি শাহ, মনোহরপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মতিন, মনোহরপুর গ্রামের প্রবীন মুরব্বী কাছাই বিবি, লায়লা বেগম, আজিজনগর গ্রামের মুরব্বী মিনারা বেগম। বক্তারা বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আয়াজ আলী মেম্বার এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে আসায় ও এলাকায় সংগঠিত মাদক কর্মকান্ড’সহ সকল প্রকারের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করায় পাঠাকইন গ্রামে সংগঠিত মারামারির ঘটনায় হিংস্বাত্বকভাবে তাকে (আয়াজ) একাধিক মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। আয়াজ আলী মেম্বার এলাকার অসহায়-গরীব মানুষের কল্যাণে সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এখন তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করা হলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের ওয়ার্ড পিছিয়ে যাবে। তাছাড়া যে ঘটনায় তাকে মামলার অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেদিন ঘটনার সময় তিনি (আয়াজ) তাজপুরে একটি সালিশ বৈঠকে ছিলেন। এছাড়া আয়াজ আলী মেম্বার ভালো মানুষ না হলে মানববন্ধনে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা কি অংশ নিতেন। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবী সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে যত দ্রুত সম্ভব সেই মিথ্যা মামলাগুলো থেকে আয়াজ আলী মেম্বারকে অব্যাহতি দিয়ে আমাদের ওয়ার্ড উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সার্বিক সহযোগীতা করুন। উল্লেখ, গত ৫ জুন পাঠাকইন গ্রামে চুনু মিয়া ও গণি শাহ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ জুন চুনু মিয়া বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২ (তাং ৭.০৬.২৫ইং)। এ মামলায় আয়াজ আলী মেম্বারকে প্রধান অভিযুক্ত ও আরোও ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া গত ২৮মে দুপুরে পাঠাকইন গ্রামের জালাল মিয়ার বাড়ির সামনে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সুমন মিয়া পক্ষের সাথে জালাল মিয়া পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১লা জুন ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন জালাল মিয়া। মামলা নং ১ (তাং ১.০৬.২৫ইং)। এ মামলায় আয়াজ আলী মেম্বারকে ২নং অভিযুক্ত করা হয়।