লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
আপনি জানেন কি? বিশ্বে অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে এবং সপ্তাশ্চর্য আছে যা আমরা কেউ জানি কেউ জানি না!
ধরুন যাদি বলি ২১ শে জুন শনিবার ৩৭ ঘন্টা উড়ে, পথে দু’বার ফুয়েল ঢেলে, ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র “ফার্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানি তে যেন বি – ২ বোমারু বিমান ভূমধ্যসাগর হয়ে ৩০ হাজার পাউন্ড বাস্টার বোমা ফেলে অক্ষত বিমান গুলো ফিরে গেলো তা ছিলো একটা ” পাতানো খেলা!” মেনে নিবেন?
এত ইউরেনিয়াম সরিয়ে ফেললো কিভাবে, এত ল্যাব এবং এত ইলেকট্রনিকস ইলেকট্রিকেল যন্ত্রপাতি, এত রিএক্টর, সব সরিয়ে ফেললো Pre information ছাড়া? ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা তার আকাশে উড়িয়ে বেড়ানো ৫২ টা বিমানের একটাও ভূপাতিত করতে পারল না বা চেষ্টা করলো না ইরান ?
আকাশে উড়ে বেড়ানো বোমারু বিমান গুলো কেন একটা বোমাও তেহরান সিটিতে বা সেনা ঘাটিতে ফেলতে পারলো না? সমস্ত মধ্য প্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে মার্কিন ঘাটিতে যুদ্ধ বিমান রয়েছে, সূদুর আমেরিকার “মিজৌরি অঙ্গরাজ্য’ ঘাটি থেকে উড্ডয়ন করে ৩৭ ঘন্টা জার্নি করে কেন বোমারু বিমান আনতে হলো? এসব ঘাটি ইরানের মিশাইল হামলার আওতায় বলে? নাকি “রাশিয়া চীনের” পরমাণু মিশাইল রেঞ্জের আওতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াইট হাউস মস্কো থেকে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার মাইল, তাদের আছে শব্দ থেকে ২৩ গুন বেশী গতির পরমাণু ওয়ার হেড সংযুক্ত দশ হাজার মাইল রেঞ্জের হাইপার সনিক মিশাইল, সে জন্য? কেন মাননীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট আক্রমণের বোমা মাটিতে পরলো কিনা, ৩০০ ফিট নিচের গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছালো কিনা নিশ্চিত না হয়েই জাতি তথা বিশ্ব কে নিশ্চিত করলেন, “We have successfully completed our attak and destroy all the Iranian Nuclear weapons assembling recherche Center !” সিকিউরিটি উপদেষ্টা তুলসী গ্যাবাল্ট কে একটু ধমকের সুরে বলেলেন, “তার কথা ঠিক না ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র শেষ!”
প্রিয় পাঠক, ইউক্রেনের কৌতুক অভিনেতা “জেলে স্কি ও ইসরায়েলের নেতানিয়াহু যতটা আহাম্মক আমি আপনি ততটা আহাম্মক তো নই !” ট্রাম্প নিশ্চয়ই আমেরিকায় রিপাবলিক দল আর কোনদিন ক্ষমতায় না যাক এমন কাজ করবেন না তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়ে! নিশ্চয় ট্রাম্প জানেন , ” ইরানের চীনের সাথে ২৫ বছরের সামরিক চুক্তি আছে, এ-ও তিনি জানেন ১৯৭১ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ২৫ বছর চুক্তি করে তার ক্ষুদ্র শক্তি নিয়ে আমেরিকা কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন! সেই প্রতিশোধ নিতে ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে আমেরিকা কে ! তিনি এ-ও জানেন এশিয়ার পাশাপাশি তিনটা বৃহৎ শক্তি রাশিয়া চীন ভারত এক হয়ে যাবে বেশি বাড়াবাড়ি করলে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার হুমকি এতদিন তিনি পেয়ে গেছেন! তিনি এ-ও জানেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশাইল গতি মাত্র শব্দ থেকে পাঁচ গুন বেশী, ইরান মিশাইল তার সমকক্ষ গতিসম্পন্ন, কিন্তু রাশিয়া চীন ওয়ার হেড সংযুক্ত মিশাইল গতি শব্দ থেকে ২৩ গুন বেশী!
আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ প্রায়, এমন সময় মিনিটে ২লক্ষ ১৪ হাজার মানুষ মেরে যে পাপ করেছিলো জাপানের হিরোশিমা নাগাসাকি তে লিটল বয় ও ফ্যাটম্যান পরমাণু বোমা ফেলে, তার থেকে ৩ হাজার আটশো গুন বেশী শক্তিসম্পন্ন পরমাণু বোমা এখন রাশিয়ার হাতে, যে বোমা ১৯৬১ সালে পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছিলো যার ফলে কেঁপে উঠেছিলো একহাজার মাইল দূরের দেশ “নরওয়ে”!
এই বোমা ৫০ মেগা টন ওজন, যা একটা মহাদেশ ধ্বংস করে দিতে পারে! ৩৫ কিলোমিটার এলাকা মিনিটে সম্পূর্ণ ধ্বংস (অঙ্গার), ২০০ কিলোমিটার দূরের বাড়ী ঘরের গ্লাস টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়বে!
সেইদিন নাই যখন একা আমেরিকার হাতে পরমাণু বোমা ছিলো! আজ এমন ও হতে পারে ” ইরান ও পরমাণু শক্তিধর দেশ!” গত তিন বছর আগে ইরান সাড়ে তিনটন ইউরেনিয়াম কিনেছিলো আফ্রিকার একটা দেশ থেকে, আমার প্রবন্ধ যদি কেউ পড়ে থাকেন তার জানা থাকবে? বিশ্বে রাশিয়া একমাত্র দেশ যে পিউরিফাইড ইউরেনিয়াম তৈরি করে, সে প্রযুক্তি ইরান হাতে পায় নাই তা কে নিশ্চিত করে বলতে পারে! ইরানের লোকেরা মুসলমান, কিন্তু বাংলাদেশের মত মাদ্রাসা নাই আর পথে ঘাটে ওয়াজ নসিহত করে মুসলমান বেহেশতে নেয় না! তারা কুরআনের ঐ আয়াত জানে, “Paradise will be given JUSTIFY the whole Life activities of a person!” সারাজীবন সুদ ঘুষ মিথ্যা কথা হিংসা-বিদ্বেষ জর্জরিত হয়ে মক্কা মদিনা যেয়ে চুরির টাকায় হাজী হয়ে নামের আগে ডক্টরেট ডিগ্রির মত “আলহাজ্ব” লিখে টুপি দাড়ি জুব্বা সৌদি জাতীয় ড্রেস কে “সমুন্নতি পোশাক” বলে ব্যবসা করা লেবাস ধারীর বেহেশতে নাই যদি “সারাজীবন কর্ম ভালো না হয়!” আল কুরআন এমন-ই কয়!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।