লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
আমেরিকা সত্যি ই ইরানের তিনটা পরমাণু স্হাপনায় হামলা চালালো! অনেকগুলো বোমারু বিমান পাঠিয়ে ইরানের আকাশে প্রতিরক্ষা ব্যস্হ রেখে শুধু পরমাণু স্হাপনায় মিশাইল হামলা করেছে প্রায় ১৪/১৫ টন ওজনের বোমার দ্বারা যা ২০০ ফিট মাটির নিচ বাংকারের সবকিছু গুড়িয়ে দিতে পারে! ৬টা বাঙ্কার বাস্টার বোমা মারা হয়েছে কোন ঘাটি থেকে যা এখনও নিশ্চিত নয়, ততক্ষণ তেহরানের আকাশে ছিলো এক ঝাক মার্কিন বোমারু বিমান!
প্রিয় পাঠক, ৫৭ টা মুসলমান রাষ্ট্র ১ টা মাত্র ইহুদি রাষ্ট্র, বিশ্বে ২০০ কোটি মুসলমান ১কোটি, ৪৭ লক্ষ ইহুদি, ২৩% মুসলমান বিশ্ব জনসংখ্যার এবং ০.২৫% ইহুদি ! প্রায় সবগুলো (২২ টা) আরবীয় মুসলিম দেশ জ্বালানি তেল সমৃদ্ধ! তারা সব চার বিবি নিয়ে শুয়ে শুয়ে আঙুল চুষছেন যখন তার মুসলিম ভাই ইরানকে ইসরায়েল দুনিয়া থেকে মুছে দেয়ার চেষ্টা করছে। নেতানিয়াহু বলেছে,”ফিলিস্তিন নামক দেশ থাকবে না ইরানকে পরমাণু শক্তিধর হতে দেয়া হবে না!”
মুসলিম বিশ্বকে যুদ্ধ করা লাগে না শুধু “তেল নিষেধাজ্ঞা দিলেই যথেষ্ট!” শুনে আশ্চর্য হবেন, ইসরায়েল কে তেল রপ্তানি করে দুটো মুসলিম দেশ, “আজারবাইজান ও কাজাখস্তান! তারা প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল তেল সরবরাহ করে! বাকী তেল সরবরাহ করে আফ্রিকার দেশ ” গ্যাবন”! মুসলিম দেশ তেল না সরবরাহ করলে অলটারনেটিভ হচ্ছে “গ্যাবন, ব্রাজিল ও আমেরিকা!”
উল্লেখ্য, মুসলিম দেশের সাথে আড়ি দিয়ে অন্যদেশ থেকে তেল আনতে “হরমুজ প্রনালী ব্যবহার করতে হবে যা ইরান নিয়ন্ত্রণে! দ্বিতীয়ত, তেল খালাস করতে হবে
” আশকেলন” বন্দরে যা গাঁজার নিকটে এবং হামাসের নিকটতম রেঞ্জের ভিতর!
মোট কথা মুসলিম দেশগুলো নিজে যুদ্ধ না-ও যদি করে শুধু জ্বালানি ও আকাশপথ ব্যবহার বন্ধ করলে আমেরিকা এত বড় দুঃসাহসিক হতে পারতো না!
এশিয়ার ব্যাটা মানুষ যারা জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন তাদের আমেরিকা শেষ করে দিয়ে সে সব দেশ নিজ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে যেমন ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, বাংলাদেশ! সাদ্দাম, গাদ্দাফি, হাফিজ আল আসাদ, মুজিব ইত্যাদি! হাফিজ আল আসাদ কে পারে নাই, কিন্তু তার ছেলে বাশার কে তাড়িয়েছে এবং ২০১৪ সাল থেকে যারা বাংলাদেশের মত জুলাই বিপ্লবের হোতা তারা এখন বুঝতে পারছে তারা মার্কিন ফাঁদে পড়ে গেছে, সিরিয়ার ৪০% জনবসতি দ্বীপ ইসরায়েল দখল করে নিয়েছে! আম বস্তা দুই ই গেছে। বাকী মুসলিম দেশগুলো এক-এক করে গ্রাস করবে এযুগের নাদির শাহ, চেঙ্গিস খান, আলেকজান্ডার, তৈমুর আগ্রাসী আদর্শের মার্কিন শাসক কখনও ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জর্জ বুশ নামে!
আজ তুরস্কের আঙ্কারায় ৫৭ মুসলিম দেশ বসেছে আলোচনায়। এত পতাকা দেখলাম, বাংলাদেশের পতাকা দেখলাম না, বাংলাদেশকে তো “মুজিব” নামের এক ব্যক্তি O I C সদস্য করেছিলেন, করেছিলেন
U N O সদস্য, ইসলামি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, তবলীগে ১৬০ একর জমি তুরাগ তীরে ! যদি-ও এদেশের আহম্মকদের চোখে তাকে মুসলমান মনে হয় না! তার মেয়ে ৫৫৬ টা মডেল মসজিদ তৈরি করেও মুসলমান হতে পারেন নাই! তার সরকারি বাসভবন অর্থাৎ “গনভবন” লুট হওয়ার সময় টেলিভিশনে দেখেছি অনেকে ফ্রিজের মুরগী খাচ্ছেন, অন্তর্বাস ওড়াচ্ছেন কিন্তু ফ্রিজ থেকে ভ্যাট ৬৯, বা রাশিয়ান ভোদকা বা ভারতের তৈরি মদ হুইস্কি কাউকে পান করতে দেখলাম না! কোন লুটেরা বলতে শুনলাম না, পেয়েছিরে পেয়েছি ফ্রিজে ভারতীয় মদ পেয়েছি! যাক সে কথা —
আমাদের দেশ, যদি আস্কারা “৫৭ দেশ O I C সম্মেলনে” যোগ দিয়ে থাকে, আমি লেখক মহা খুশি, কারন এখনকার সরকার আগের সব সরকার থেকে বেশী ইসলামি রাজনৈতিক দল কতৃক সমর্থিত! এবং আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টা আমেরিকান জরিপে বিশ্বের সেরা ৫০০ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভিতর ক্রমিক নাম্বরে ৫০, এত বড় ধর্মীয় বিজয় আগে কোনদিন কেউ করতে পারে নাই! কেউ সংবিধানে “বিসমিল্লাহ” সংযোজিত করে গর্বিত কেউ “ইসলাম কে রাস্ট্র ধর্ম করে গর্বিত ” কিন্তু আন্তর্জাতিক
ধর্মপ্রাণ গণনায় এত কাছাকাছি ক্রমিক নাম্বারে কেউ উঠে আসতে পারেন নাই! সোজা কথা PARADISE প্রবেশের সিরিয়ালে তিনি সবার থেকে অগ্রগামী! আল্লাহ যদি বলেন, “আমেরিকান সিরিয়াল অনুসারে PARADISE এ প্রবেশ করো তাহলে Our Leader is after 49 persons only !
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।