মোঃ জুয়েল খাঁন, ব্যুরো প্রধান খুলনা বিভাগ
১১ জুন ২০২৫ তারিখ কিবরিয়া হাওলাদার তার পিতা নিখোঁজ হয়েছে মর্মে হরিণটানা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে ২২ জুন হরিণটানা থানা পুলিশ কেডিএর ময়ূর আবাসিকের ভিতরে স্টীলের ব্রীজের উত্তর পাশে ডিব্লকের প্লটে একটি লাশ পড়ে আছে মর্মে সংবাদ পায়। পুলিশ ইতোমধ্যে জিডির বাদীকে তার পরিবারের লোকজনসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিধেয় বস্ত্র দেখে লাশটি তার পিতা জাহিদুর হাওলাদারের (৪৯) পিতা-আয়ুব আলী হাওলাদার, সাং-শোভনা, থানা-ডুমুরিয়া, জেলা-খুলনা মর্মে সনাক্ত করে। এই ঘটনায় এজাহার প্রাপ্ত হয়ে হরিণটানা থানার মামলা নং-০৬, তাং-২২/০৬/২০২৫ ধারা-৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে এবং গ্রেফতারের জন্য হরিণটানা থানা এলাকা, খুলনা জেলার দাকোপ থানা এবং যশোরের বেনাপোলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১) সিরাজুল ইসলাম হৃদয় (১৯) পিতা-মোঃ সালাম মোল্লা, সাং-ভাতছালা, থানা-বাগেরহাট সদর, জেলা-বাগেরহাট, ২) বাপ্পী খান @ রায়হান @ চিতা (২০), পিতা-সায়েম খান, সাং-নলিয়ান (সুতারখালী) থানা-দাকোপ, জেলা-খুলনা, ৩) নাজমুল গাজী@লাদেন (২৫) পিতা-বাবু গাজী, সাং-নলিয়ান (সুতারখালী) থানা-দাকোপ, জেলা-খুলনা, ৪) ইকবাল গাজী (৩০) পিতা-মোঃ ইসা গাজী, সাং-গাছগাছি, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর এবং ৫) আসাদুল মোল্লা (২৮) পিতা-আসলাম মোল্লা, সাং-ভবেরবেড়, থানা-বেনাপোল পোর্ট, জেলা-যশোরদের গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের হেফাজত হতে ভিকটিম জাহিদুর হাওলাদারের ইজিবাইক এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়ছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, আসামীরা কেডিএর ময়ূর আবাসিকের ভিতরে ঘোরার কথা বলে গল্লামারী হতে ভিকটিমের ইজিবাইক রিজার্ভ ভাড়া করে। আবাসিকের ভেতরে প্রবেশ করার পর সুযোগ বুঝে জোরপূর্বক ইজিবাইক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম বাধা প্রদান করে। তখন আসামীরা ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে জাহিদুর হাওলাদারের মৃত্যু নিশ্চিত করে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
থানার রেকর্ডপত্র যাচাই করে আসামীদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।