লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
ইরানের কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমা চেয়েছেন? কেন? আর ধ্বংস যাতে না-হয় ইসরায়েল সেজন্য? মতলব ছাড়া তো আমেরিকা কিছু করে না! ইরান কে চল্লিশ বছর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে মিত্র ইউরোপীয়দের নিয়ে! এতোদিনে কতবার আমেরিকার “পালিত বানর ইসরায়েল” ইরান আক্রমণ করেছে? বিশ্বকে অশান্ত করেছে, তৃত্বীয় বিশ্ব যুদ্ধের ঝুকি তৈরি করেছে, কত বিলিয়ন ডলার নিয়োগ করেছে আমেরিকা বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টি করতে? কেন শুক্রবার ইরাকি মার্কিন ঘাঁটির ড্রোন ইরান সীমান্তে রেখে অতর্কিত হামলা করে ৬ জন ইরানি সেনা হাই অফিসিয়াল হত্যা করা হলো, কেন ৭ জন পরমাণু বিজ্ঞানী সহ মোট ২০ জন হত্যা করা হলো? কেন প্রেসিডেন্ট রাইসি, হামাসের হানিয়া, লেবাননে হিজবুল্লার নসররুল্লা কে ইসরায়েল হত্যা করলো? কেন ইসরায়েল পরমাণু বোমা বানাতে পারলে ইরান পারবে না? কেন জাতিসংঘ, বিশ্ব পরমাণু সংস্হা ইসরায়েলের পরে নরম মানসিকতা?
প্রিয় পাঠক, ট্রাম্পের ক্ষমার উপর আপনাদের কতটুকু বিশ্বাস আছে! একজন নেতানিয়াহু কে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ফিলিস্তিনের ৬৩ হাজার লোক হত্যা করেছে ২০২৪ থেকে ২০২৫ জুন পর্যন্ত, যার মধ্যে ১৯০০০ শিশু! গাঁজা শহরটা বিরান ভুমি! আবার কাঁচা ক্ষতে নুনের ছিটা, ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ভুমধ্য সাগর বীচে পর্যটন কেন্দ্র খুলতে চায়, এমন নির্লজ্জ কথা কেউ বলতে পারে “পাগল আর শিশু” ছাড়া যে গাজায় ১৯৫৪ সাল থেকে কয়েক লাখ মুসলমানের রক্ত মাটির গভীর পর্যন্ত এখনও ভিজা? গাঁজা থেকে মানব রক্ত স্রোত ভূমধ্য সাগর যেয়ে মিশেছে! কত মা বোনের আহাজারি সপ্ত আসমান ভেদ করেছে?
আজ সারা বিশ্বের সব দেশের পার্লামেন্টে নিন্দার ঝড়! খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে নিজ রিপাবলিকান দলের সদস্য কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে! একজন নিগ্রো সদস্য তার পূর্ব পুরুষের ভাষায় গালাগালি করেছে যা ট্রাম্প বুঝতে পারেন নাই, ট্রাম্প বলেছেন,” “American Language is English!” জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রী “রবিও” কথা বলতে গেলে তার টুটি টিপে ধরার উপক্রম! খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২০ টা শহর বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে জনগন! নিউইয়র্ক টাইমস সহ সব পত্রিকা এমন দেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য দিয়ে লালন-পালন গর্হিত বলে উল্লেখ করেছে!
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমেরিকার সাথে কোন ইউরোপীয় দেশ আর কোন ইসরায়েল সাহায্যে হাত বাড়াবে না, ১৯০০০ শিশু হত্যাকারী মানবতার অপরাধী!
কোন মানবতাবাদী মানুষের খুশি হওয়ার কারন নাই! আপনাদের মনে রাখতে হবে, মার্কিন বিপদে পড়লে পথ বদলায় কিন্তু প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়ে! বাংলাদেশে ৫৪ বছর অপেক্ষা করে প্রতিশোধ নিয়েছে! মুজিব এক ইঞ্চি বাংলার মাটি দিতে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, সেই বাংলাদেশে মার্কিন আনা হয়েছে আহ্বান করে! একটা দ্বীপ দিতে চায় নাই পান্তা ভাত খাওয়া বাঙালির সন্তান, “মুজিব”! এখন সারা দেশে তাদের রাজত্ব! চিটাগং সমুদ্র বন্দর তাদের অধীনে! দেশ শাসন করছে বিদেশের স্হায়ী হওয়া নাগরিক!
৫৪ বছর পর হলে-ও ইরানে আঘাত হানবে! গাঁজাকে পর্যটন কেন্দ্র করবে!
এখন ই সময় *
মধ্য প্রাচ্যের সব দেশের মার্কিন সামরিক ঘাটি তুলে নেয়ার দাবী তোলা!
আরবীয় সামর্থ্য ওয়ালা সব দেশের পরামানিক অস্ত্র তৈরি করা!
সংযুক্ত আরব-আমিরাতের পরমাণু অস্ত্র তৈরি সহজ হবে কারন বাংলাদেশের মত তারা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে ইউরেনিয়াম আমদানি লাইসেন্স নিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার যন্ত্রপাতি। একই মূল্যে বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্হাপন করেছে ” রাশিয়ান” এক্সপার্ট ও যন্ত্রপাতিতে। বিগত সরকারের ও ইচ্ছে ছিলো পরমাণু বোমার অধিকারী হওয়ার!
ইরানের উচিৎ অসমাপ্ত পরমাণু কাজ দ্রুত শেষ করে অন্তত ২০০ পরমাণু ওয়ার হেড প্রস্তুত রাখা।
আন্তর্জাতিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে ইরানে হামলার জন্য তেহরান ট্রাইবুনালে গঠন করে ক্ষতিপূরণ
দাবী করা ইসরায়েলের কাছে, যেমন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর “টোকিও ট্রাইব্যুনাল করে জাপান” জার্মান সহ সব অক্ষশক্তি কে জরিমানা করেছিলো আমেরিকা বিভিন্ন দেশের ট্রাইবুনালের নাম ছিলো ভিন্ন-ভিন্ন!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।