কলমেঃ দেবিকা রানী হালদার
একদিন ছিলো এই বর্ষায় ফুঁসে উঠতো নদী
খরস্রোতে ডুবতো নৌকা, হতো বেসামাল মাঝি যদি!
মাছরাঙা শালিক গাংচিল বক, উড়তো চরে চরে
ফাঁদ পেতে শিকারী কত পাখি, আনতো বাজারে ধরে !
ছইয়ের নায়ে কত বধূ যেতো এই নদী পথ দিয়ে
হয়তো-বা হবে সপ্তাহ মাস কেবল, হয়েছে তাদের বিয়ে!
হাতে চুড়ি শাখা, সাথে পতি সখা, নাকে পরেছে নথ
ছই ঘেরা নাও মাঝি গোনে বাও, বধূ উতলা কখন ফুরাবে পথ ?
ছলাৎ ছলাৎ বৈঠা ফেলে মাঝি গান মুখে তার ধরে
“মুজিব” বাইয়া যা-ও রে জনগণের নাও, ‘আমরা আছি তব তরে!’
বালিহাঁস আর গাঙ চিল, ডুব দিয়ে মাছ তুলতো
বড় বোয়াল-মৃগেল জালে ধরা পড়লে জেলে, বৃষ্টি ভেজা কষ্ট ভুলতো!
তিন টাকা আটা পাঁচ টাকা চাল, প্রতি কেজি বাজারে মিলতো
ছিলো না এমন নিঠুর শাসক গরীবের সম্পদ গিলতো!
কে-চেয়ারম্যান কে মেম্বার, গরীবের ছিলো না মাথা ব্যথা
হয়রানি আর জমি টুকু দখল করতোনা কেউ অযথা !
ছিলো না তখন ভাড়াটিয়া শাসক রক্তে কেনা বাংলায়
ঝিঙে চিচিঙ্গা লাউ বাড়ে না যদি, গাছ না দেয় জাংলায়!
ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা থাকে যদি শাসকের মাথায়
কি হবে লিখে কবিতা প্রবন্ধ কবি লেখকের খাতায়!
একদিন ছিলো জাতিতে বাঙালি, বাংলা ছিলো সবার প্রাণ
বর্ষা কালে কদম কেয়া নির্ভয়ে, বিলাতো মধুর ঘ্রাণ !
সব নদী ছিলো খরস্রোতা, বয়ে আনতো পলি মাটি
দেশপ্রেম আর মানুষে মানুষের ভালোবাসা, পুরাটাই ছিলো খাঁটি!