শিক্ষার্থীর সাফল্যেই একজন শিক্ষকের সাধনা পূর্ণতা পায় এমনই অভিব্যক্তি জানালেন খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।২০১০ সাল থেকে খুলনা আর্ট একাডেমি পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি অসংখ্য শিক্ষার্থীর শিল্পযাত্রায় পথপ্রদর্শক হয়েছেন। ইতিমধ্যে ২২৩ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ লাভ করেছে। তাদের সবার নাম হয়তো মনে রাখা সম্ভব নয়, তবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্মৃতি শিল্পীর হৃদয়ে অমলিন।
২০১৫ সালের কথা মনে পড়ে। প্রিয় শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার মন্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর একাগ্র পরিশ্রমে চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করে। দীর্ঘ সাধনার পর, ২০২৫ সালে শিক্ষা ক্যাডারের ১৮তম নিবন্ধনের মাধ্যমে তিনি খুলনার শিপইয়ার্ড স্কুল এন্ড কলেজে চারু ও কারুকলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলাফল প্রকাশের পর ১৯ আগস্ট রাতে শিক্ষাগুরু মিলন বিশ্বাসকে ফোন করে প্রথমেই এই আনন্দ সংবাদ জানান সুব্রত।খুলনা আর্ট একাডেমির মোট ৯ জন শিক্ষার্থী এবার এই সফলতা অর্জন করেছে। এ প্রসঙ্গে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন“আমি অত্যন্ত গর্বিত। তাদের পথচলা আলোকিত হোক, তারা যেন জাতির সম্পদে রূপান্তরিত হয় এটাই আমার বিশ্বাস।”
২০শে আগস্ট সকালে একাডেমির ১৬তম ব্যাচের ভর্তি কোচিং চলাকালীন সুব্রত মিষ্টি নিয়ে এসে শিল্পগুরুকে আপ্লুত করেন। যদিও একাডেমির আরও অনেক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারুকলা শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন, তবে চাকরিতে যোগদানের পূর্বে শিক্ষাগুরুকে মিষ্টি খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন সর্বপ্রথম সুব্রত কুমার মন্ডল।নিজের আবেগ প্রকাশ করে মিলন বিশ্বাস বলেন“আমি তো শিল্পী হতে এসে শিল্পী হতে পারিনি। তবে নবীন শিল্পীদের পথপ্রদর্শক হতে পেরেছি এটাই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। শিক্ষার্থীর সাফল্যই আমার সাধনার সফলতা।”
শেষে তিনি সফল সকল শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং তাদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।