নেত্রকোনা সংবাদদাতা
২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার মৎস খাতে টেকসই উন্নয়নে তরুণদের ভাবনা, শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। যেটি পরিচালিত হয় নেত্রকোণা মৎস্য কৃষি অফিসার দেবাশীষ রায়ের উপস্হাপনায়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক এবং নেত্রকোণা সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কালেক্টরেট স্কুলের শিক্ষার্থী সহ আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সমর্থক এবং জাতীয় কমিটির নেত্রকোণা জেলার সিনিওর প্রতিনিধি সোহরাব উদ্দিন আকন্দ যিনি বক্তব্য রাখেন এই বলে যে আমরা ছোটবেলা মাছ পালন করে বড় হয়েছি এবং তোমরা জেনে খুশি হবে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় এখনো তাদের আয়ের উৎস মৎস্য চাষ সবার জন্য শুভকামনা এই বলে উনার বক্তব্য শেষ করেন। আরও ছিলেন প্রতিনিধি মাহবুব আলম, প্রতিনিধি সাদিয়া ইসলাম, আব্দুল্লাহ আমিনী, লিওন এবং আরও উপস্থিত ছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা এবং এনসিপির আশার আলোর দিশারি সাবেক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব জনাব নাফিউর রহমান খান পাঠান তিনি অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহত ভাইবোনদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য তাদের ত্যাগ এবং মহিমার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সেই সাথে বলেছেন তাদের অবদান কখনো ভুলার মতো নয় এবং তিনি বক্তব্যে আরও উল্যেখ করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য জনাব ফাহিম রহমান খান পাঠান সকলের প্রতি শুভকামনা এবং ভালোবাসা জ্ঞাপন করেছেন। এক পর্যায়ে নাফিউ পাঠান শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে নিম্ন লিখিত বক্তব্য রাখেন যাতে করে শিক্ষার্থীদের জন্য মেধা বিকাশ সচেতনতা এবং বিবেকবান হওয়ার নির্দেশ থাকে। এই বলে তিনি তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শুরু করেন :
মৎস খাত বাংলাদেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তায় একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। তরুন প্রজন্মকে এই খাতে আগ্রহী করে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।, যা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তিনির্ভর চাষাবাদের মাধ্যমে মৎস খাতের টেকসই উন্নয়নের সহায়ক হবে।
তরুনদের মৎস খাতে আকৃষ্ট করতে এবং তাদের ভাবনা কাজে লাগাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন:
প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা:
১. মৎস চাষ প্রক্রিয়া করণ এবং বিপণন এবং প্রযুক্তি ব্যাবহারের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া।
২. স্কুল কলেজে মৎস্য চাষ বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম পরিচালনা করা। যেখানে মাছের গুরুত্ব এবং চাষ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
২. অর্থনৈতিক সহায়তা :
১. নতুন মৎস্য উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও আর্থিক অনুদান দেওয়া।
২. তরুণদের স্টার্টআপ প্রকল্পগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া।
৩. প্রযুক্তিগত সহায়তা :
১. আধুনিক প্রযুক্তি যেমন বায়োফ্লক, এও কুইক কালচার, ইনডোর ফিস ফার্মিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং এগুলোর ব্যাবহারে উৎসাহিত করা
২. ইন্টারনেট এবং অনলাইন এপ্লিকেশনের মাধ্যমে মাছের রোগ নির্ণয়, খাদ্য ব্যাবস্হাপনা এবং বাজারজাত করণের সহায়তা করা।
৪. বাজারজাত করণে সহায়তা :
১. অনলাইন মার্কেটপ্লেস তৈরি করা, যপখানে তরুণরা তাদের উৎপাদিত মাছ বিক্রি করতে পারবে।
২. মছের প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিংয়ের জন্য আধুনিক সুবিধা তৈরি করা।
৫. গবেষণা ও উদ্ভাবন :
১. তরুণ মৎস্য খাতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উৎসাহিত করা।
৬. আইন ও নীতি সহায়তা :
১. মৎস্য আইনের আধুনিকায়ন ও সহজবোধ্য করা।
২. তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু করা, যেখানে তারা প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সহায়তা পাবে।
তরুণদের উদ্ভাবনী ক্ষনতা এবং প্রজুক্তি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মৎস্য খাতকে একটি লাভজনক এবং পরিবেশ বান্ধব শিল্পে রুপান্তর করা সম্ভব। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হবে তেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।
আমরা অনেক সময় দেখি তরুণ উদ্যোক্তাদের চাষ করা মাছের পুকুরে বিষ দিয়ে মেরে ফেলে অনেক দুষ্কৃতকারী যা কখনোই কাম্য নয় এবং তরুণ উদ্যোক্তাকে ব্যাহত করার পরিকল্পনা এতে করে তরুণ উদ্যোক্তা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
আমার সামনে যারা উপস্থিত আছেন সকলেই ৯ম-১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত আছেন। আপনারা যদি এখন থেকেই বিবেকবোধ এবং মানবিকতার দিকটি নিজের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে পারেন সেই সাথে মৎস্য চাষ বিষয়ক সচেতনতামূলক বাক্য এবং বক্তব্য আপনাদের প্রতিটি এলাকায় এলাকায় এবং ঘরে ঘরে পৌঁঋে দিতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ প্রত্যেকটি তরুণ উদ্যোক্তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। তাহলে অতিশীঘ্রই বাংলদেশ একদিন সুস্থ এবং সুন্দর পরিবেশের আবির্ভাব ঘটবে ইনশাআল্লাহ।