মো: রায়হান পারভেজ নয়ন, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
উজানের ঢলে নেমে আসা টানা বর্ষণে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তিস্তায় ভাঙনের কবলে পড়ে। ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, গবাদিপশু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। অবশেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে জরুরি বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সুপরিটারি গ্রাম ও ডালিয়া বাইশপুকুর এলাকা। এসব অঞ্চলের কৃষক ও সাধারণ মানুষ জানালেন— বসতভিটা। আবাদি জমি ও গবাদি পশু হারিয়ে তারা চরম দুর্দশায় পড়েছেন। তবে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ শুরু হওয়ায় সাময়িকভাবে হলেও কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
খালিশা চাপানী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন, সুরাই বেগম ও নাসিমা আক্তার বলেন
“প্রতিবারই ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে নতুন করে ঘর বাঁধতে হচ্ছে। এখন জরুরি কাজ শুরু হলেও স্থায়ী বাঁধ ছাড়া আমাদের জানমাল রক্ষা সম্ভব নয়। বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমরা ক্লান্ত।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হাশেম আলী জানান।
“উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জরুরি কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
তিস্তাপাড়ের মানুষের আশা—এই জরুরি উদ্যোগ সাময়িক স্বস্তি দিলেও খুব দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।