আয়শা সিদ্দিকা সাথী, খুলনা থেকে:
খুলনা নগরীর ইকবাল নগর গার্লস স্কুলের পূর্ব পাশে খুলনা আর্ট একাডেমি অবস্থিত। দীর্ঘবছর ধরে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস খুলনায় সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চা করার একটি নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচালনা করে আসছেন। চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন এই একাডেমি পিতা মাতা ও গুণীজনদের অনুপ্রেরণা ও আশীর্বাদ নিয়ে শিল্প সাধনা করি এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্যকেও ধারণ করার চেষ্টা করি। ২০০৩ সাল থেকে খুলনা আর্ট একাডেমি পরিচালনা শুরু হয় ২০২৩ সালে এসে তিনি নতুনভাবে একাডেমির রুমেই ঐতিহ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেন এবং ইতিমধ্যে ১৫০টিরও বেশি সংগ্রহশালায় ঐতিহ্য একত্র করেছেন।
এর মধ্যে কিছু ক্রয় করা হয় এবং অনেক গুণীজন ভালোবেসে তাদের ব্যবহৃত স্মৃতিবিজড়িত সামগ্রী উপহার দিয়েছেন।
ইকবাল নগর বর্ণমালা স্কুলের সম্মুখে অবস্থিত “এইতো সেলুন”-এর প্রোপাইটর দীপক চন্দ্র শিকদার সংরক্ষণ শালা পরিদর্শনের পর তিনি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের কাছে এই সংরক্ষণশালা প্রতিষ্ঠার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন “আজ যা ঘটে, আগামীতে তাই ইতিহাস হয়ে থাকে। একজন শিল্পীর কাছে ইতিহাস ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। আমি ইতিহাস ধারণ করেই শিল্পচর্চা করি।”তিনি আরও জানান, নিজের শৈশব স্মৃতি যেমন পিতার ব্যবহারিত হুক্কা, কাঁসার ঘটি, পিতলের বদনা, হারিকেন, হ্যাজাক ইত্যাদি বর্তমান প্রজন্মের কাছে উপকথার মতো মনে হয়। তাই শিশু থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের ছবি আঁকার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কেও প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা দিয়ে থাকি। মিলন বিশ্বাসের কথা শুনে দীপকচন্দ্র শিকদার আবেগাপ্লুত হয়ে পাকিস্তান পিরিয়ডের স্মৃতিময় Seiko 2220-0180 মডেলের একটি হাতঘড়ি উপহার স্বরূপ তুলে দিলেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের হাতে।উপহার গ্রহণের পর খুলনা আর্ট একাডেমির পক্ষ থেকে দীপক চন্দ্র শিকদারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয় এবং তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস। আপনাদের সকলের শুভকামনা নিয়ে খুলনা আর্ট একাডেমির ঐতিহ্য সংরক্ষণশালা আরও সুন্দরভাবে তৈরি করতে চাই।আসুন আমরা সবাই মিলে নতুন প্রজন্মকে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য দেখার সুযোগ করে দেই।