সাইফ উল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ও অর্থের বিনিময়ে পদ বন্টনের করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বাদশাগঞ্জ বাজারে একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।
স্বাক্ষরকারী সাবেক ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনোয়ার হোসেন টিটুর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়ার্ড কমিটির সদস্য আলী হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপির একজন ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ। বিএনপির পতাকা উঁচু রাখতে নিজেকে সব সময় নিয়োজিত রেখেছি ও নানা হয়রানি সহ্য করেছি।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, সম্প্রতি নব গঠিত পাইকুরাটি ইউনিয়ন বিএনপির ৭নং ওয়ার্ড কমিটিতে আমাদের মতো ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নানা কৌশলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা আমাদের কাছে গভীর হতাশার বিষয় এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ফেসবুক পোস্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন, তাদেরকে এই নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। ত্যাগী ও দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও নতুনদের পদ বণ্টন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের সভাপতির পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আমরা মনে করি, আমাদের স্পষ্ট দাবি- পাইকুরাটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির গঠিত কমিটি দ্রুত পুনর্গঠন করতে হবে। প্রকৃত ত্যাগী, পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিটি থেকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করবেন এবং প্রকৃত নেতাকর্মীদের ন্যায্য দাবি পূরণ করবেন। অন্যথায় তৃণমূলের ক্ষোভ আরও বিস্তার লাভ করবে।
আপনাদের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই এবং ন্যায়বিচার কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কমিটির সাবেক সদস্য আবুল কালাম, আল আমীন, নজরুল ইসলাম ও সংবাদ সম্মেলন আয়োজনকারী সাবেক ৭নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মনোয়ার হোসেন টিটু প্রমূখ। অভিযুক্ত পাইকুরাটি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হারুন ওর রশীদ সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এব্যাপারে ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্ন আহবায়ক মো: আব্দুল হক বলেন, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা দায়িত্ব ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার কমিটিতে স্থান পাবে। কোন প্রকার অনিয়ম চলবে না, কোন প্রকার দুর্নীতিতে জরিত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।