শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কবিতাঃ কসুর! নিয়ামতপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ভ্যান চালকের মৃত্যু শরিয়ত ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা চায় খেলাফত মজলিস- ড. আব্দুল কাদের লুটপাটের অভিযোগ নাকি প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর ছক – ধর্মপাশায় আলোড়ন ধর্মপাশায় জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্প ব্রাক স্বাস্থ্য সেমিনার মোরেলগঞ্জে ইট সোলিং সড়ক মরণফাঁদে পরিণত, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ মোরেলগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলে চলাচল শিক্ষার্থীসহ তিন ইউনিয়নের লাখো মানুষ দুর্ভোগে ফেসবুক ইনকামের ধোঁকা: বাস্তবতা বুঝে ফিরে আসুন নিজের জীবনে লালমনিরহাট জেলায় জন্ম আমার বটিয়াঘাটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ: তদন্ত ও শাস্তির দাবি শিক্ষক সমাজের

পবিত্র ঈদেমিলাদুন্নবী সা.উদযাপন উপলক্ষে ক্লিনটন হাওলদার পাভেলের শুভেচ্ছা বাণী

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৪ Time View

 

স্টাফ রিপোটার:

মুসলমানদের পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে বাংলাদেশ সাপোর্টারস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা রেমিট্যান্স যোদ্ধা, রাস্ট্রচিন্তক ও মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায়, সাম্য, সম্প্রীতি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল এ বাণী দিয়েছেন তিনি। আগামীকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালিত হবে।
বাণীতে ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও জীবনী বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।
সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন উল্লেখ করে এ উপলক্ষ্যে ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভে”ছা ও মোবারকবাদ জানান।
ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল বলেন, মহানবী (সা.) সকল মানুষ ও সব ধর্মের জন্য শান্তি ও সহাবস্থান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তিনি সকল ধর্মের, বর্ণের এবং গোষ্ঠীর মানুষের জন্য ছিলেন এক আদর্শ ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর জীবন ছিল মানবতা, সমতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি সর্বদাই সকল মানুষকে, তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ এবং উত্তম ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল বলেন, মহানবী সা. সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচারের অন্ধকার থেকে মানুষকে মুক্তি ও আলোর পথ দেখাতে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। স্্রষ্টার প্রতি অসীম আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য পবিত্র কুরআনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনকে বলা হয়েছে সুন্দরতম আদর্শ। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য যে অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, তা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারী হিসেবে পথ দেখাবে।
ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল আরো বলেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর প্রতিটি আচরণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরল ও প্রোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি ঐতিহাসিক এক ঘটনার উল্ল্যেখ করে বলেন এক অমুসলিম বৃদ্ধার ঘটনা ইতিহাসে আমরা জেনেছি। বৃদ্ধা প্রতিদিন মহানবী (স.)-এর চলার পথে কাঁটা দিত। একদিন রাসুল (সা.) দেখলেন, পথে কাঁটা নেই, তখন তিনি ভাবলেন হয়তো ওই বৃদ্ধা অসুস্থ হয়েছে বা কোনো বিপদে আছে, তার খোঁজ নেওয়া দরকার। এরপর মহানবী (সা.) বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে দেখেন, ঠিকই অসুস্থ। তিনি বৃদ্ধাকে বললেন, আমি আপনাকে দেখতে এসেছি। এতে বৃদ্ধা অভিভূত হয়ে গেল যে, আমি যাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য পথে কাঁটা পুঁথে রাখতাম, সেই আজ আমার বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনিই তো সত্যিকার অর্থে শান্তি ও মানবতার অগ্রদূত।
ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মহানবী (সা.) বিজিত শক্রদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার তো দূরের কথা কিঞ্চিৎ পরিমাণ ও প্রতিশোধস্পৃহা প্রকাশ করেননি, বরং শত্রুদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন। তিনি কুরাইশদের বলেছেন, ‘হে কুরাইশরা! আমি তোমাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করব বলে তোমরা মনে করো?’ তারা বলল, আপনি আমাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করবেন বলে আমাদের ধারণা। আপনি দয়ালু ভাই। দয়ালু ভাইয়ের পুত্র। অতঃপর রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে সেই কথাই বলছি, যে কথা হজরত ইউসুফ (আ.) তার ভাইদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যাও তোমরা সবাই মুক্ত।’
মহানবী সা. মদীনা সনদের মাধ্যমে শান্তির বার্তাবাহক বিশ্বনবী (সা.) ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, সাম্য-মৈত্রীর সূদৃঢ় বন্ধন রচনা করে আদর্শ-কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের অদ্বিতীয় নজির স্থাপন করেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম এতই সোচ্চার যে, রাসুল (সা.) নিজেদের ধন-প্রাণের পাশাপাশি সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়ের সবকিছু রক্ষায় সচেষ্ট থাকার জন্যও মুসলমানদের প্রতি জোর তাগিদ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়; অন্য ধর্মাবলম্বী ও তাদের উপাসনালয়ের ওপর আঘাত-সহিংসতাও ইসলামে জায়েজ নেই। সহিংসতা তো দূরের কথা অন্য ধর্মকে কটুক্তি থেকে বিরত থাকার জন্য পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তাদের মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। কেননা তারা সীমালঙ্ঘন করে অজ্ঞানবশত আল্লাহকেও গালি দেবে।’
ইসলামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অসংখ্য-অগণিত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি, শান্তি, সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সদ্ব্যবহার ইসলামের অনুপম শিক্ষা। কোনো সংকীর্ণতা, হিংসা-বিদ্বেষ নয়, বরং উদার-মহানুভবতাই হচ্ছে ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিশ্বনবী (সা.) বিশ্বে শান্তির অমোঘ বাণী নিয়েই এসেছিলেন। শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম সংঘাত, সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িকতাকে চরমভাবে ঘৃণা করে।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সবার মাঝে বয়ে আনুক অপার শান্তি ও সমৃদ্ধি এই কামনা করে ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল বলেন, মহানবী (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে সকলের জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি সুনিশ্চিত হোক– এ কামনা করি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102