স্টাফ রিপোর্টার:
জগতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মুহম্মদের (সা.)এর বন্দনা ও তার সাথে মিলনের জন্য ব্যাকুলভাবে অপেক্ষমাণ স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। আল্লাহই প্রেমিক, নবিজি প্রেমাস্পদ। কোরান শরিফে আছে, স্বয়ং আল্লাহ ফেরেশতাদের নিয়ে নবিজির উপর দরুদ পেশ করেন, বান্দাদের জন্য হুকুম, তারাও যেন সম্মানের সাথে তা করে।
বালা গাল উলা বিহ কামালিহি– এ কাব্য গীতিকার শেষের দিকে বলা হয়েছে, সকল কথার সার কথাই হলো নবিপ্রেম, ইশকে রাসুল। কোরান-এরই কথা এটা : ‘যে আমাকে ভালোবাসতে চাও, সে আমার হাবিবকে ভালোবাসো।
“গুরুর বাড়ি দ্যা সেইন্ট হোম“ এর আয়োজনে সিরাতুন নবী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি আমির খোঁজে ফাউন্ডেশন ও গুরুর বাড়ির চেয়ারম্যান পীর সাহেব ডা. মুহাম্মদ হারুন উর রশীদ এ কথা বলেন।
৬ সেপ্টেম্বও ২০২৫ বাদজোহর গুরুর বাড়ী দরবার শরীফে শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পবিত্র মাহফিলে অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. ঘারুন উর রশিদ আরো বলেন, অতীতে মনিষীগণ রাসূলরে প্রশংসা র্বণনার সাথে সাথে রাসূলরে সুন্নাতকে তাঁদরে জীবনে বাস্তবায়নরে আপ্রাণ চষ্টো চালয়িছেনে। হযরত আলী (রা.) যমেন ছলিনে রাসূলরে সুন্নাতরে ধারক তদ্রূপ প্রশংসায় ছলিনে পঞ্চমুখ। তনিি আরো বলনে : নবুওয়াত বৃক্ষরে মাঝে তনিি বাছাইকৃত আলোকরে আধার, সম্মানরে র্সবােচ্চ চূড়ায় অধষ্ঠিতি, মক্কা মুয়াজ্জমার মূলকন্দ্রে, অন্ধকাররে বাত,ি হকেমত ও প্রজ্ঞার উৎস ।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন – রাস্ট্রচিন্তক, নজরুল গবেষক ও দৈনিক নিরপেক্ষ এর জয়েন্ট এডিটর মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, আরো বক্তব্য রাখেন এস এম রাশিদুল আলম তর্কবাগীশ, বিশিষ্ঠ মানবাধিকার ব্যাক্তিত্ব দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া, ই্িঞ্জনিয়ার কবি খাজা সুজাউদ্দিন, আমি’র খোঁজে ফাউন্ডেশনের সিইও আব্দুল্লাহ আল মেহেদী , মোফাজ্জল হোসেন প্রমূখ।
মূখ্য আলোচক মুহাম্মদ আতা ঊল্লহ খান বলেন, বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) এ কথা অমুসলিম মনিষিরাও বলে গেছেন। তিনিই আমাদের আদর্শ। প্রতিটি মুমিনের জীবনে, ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, সর্বোপরি জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নবী করিম (সা.) এক আলোকিত, সমুজ্জ্বল, পথনির্দেশক।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শিক্ষা মানেই হচ্ছে পারস্পরিক একতা, ভ্রাতৃত্ব, সমতা, ন্যায় ও কল্যাণের মৌলিক মূল্যবোধের শিক্ষা। আইয়ামে জাহেলিয়াত তথা চরম হতাশাজনক ও ভেঙে পড়া একটি পরিবেশে আবির্ভূত হয়ে তিনি সমাজকে আবার গড়ে তুলেছেন। পৃথিবীকে দিয়েছেন একটি নতুন সমাজব্যবস্থা, নতুন চিন্তা ও উপলব্ধি এবং উপমাতুল্য একটি চেতনাকাঠামো। আর এভাবেই তিনি সমাজকে সতর্ক ও শুদ্ধ করেছেন। আর এই ব্যবস্থার নামই হচ্ছে ইসলাম।
তিনি আরো বলেন আমরা সবাই রাসূলে আকরামের উম্মত। তিনি আমাদের কাছে বার্তা পৌঁছিয়েছেন বন্ধুত্ব, সহিষ্ণুতা, মানুষের সম্মাননা, নিরাপদ সহাবস্থান, পক্ষপাতমুক্ততা এবং শান্তি ও নিরাপত্তার। নিরাপত্তা, সৌজন্য ও শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
আজ সমগ্র বিশ্বে কোটি কোটি মুসলমান রয়েছে ঠিকই কিন্তু তারা মহানবীর আদর্শচ্যুতির ও অনৈক্যের কারণে সারা বিশ্বে মার খাচ্ছে। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রবর্তিত ইসলামিক নীতি ও মূল্যবোধসমূহ আজও মুসলিমদের জীবন পরিচালনার মূল ভিত্তি। তাই বর্তমান যুগেও একটি আদর্শ সমাজের গড়া সম্ভব হবে যখন আমরা মহানবীর শিক্ষা ও সীরাতকে জীবনোপায় বা কর্মপন্থা হিসেবে গ্রহণ করে তাঁকে অনুসরণ করব। এতেই রয়েছে মানবতার মুক্তি। তাই ১২ রবিউল আউয়াল কেবল একটি উদযাপন নয়, বরং নবীর শিক্ষা অনুসরণ করে নিজেদের জীবন ও সমাজকে আলোকিত করার একটি সুযোগ।