একে মিলন সুনামগঞ্জ থেকে:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিঠি গঠনকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ওই ওয়ার্ডের পাঁচ গ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিএনপির ত্যাগী নেতা মো: মস্তব আলী কাছা মিয়াকে সভাপতি ও ইদ্রিস আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠনের পর রাতের আঁধারে অদৃশ্য কারণে তা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। সকালে এ ঘটনার খবর জানা জানি হলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রামের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন।
এ ঘটনার পর মোস্তফা আলী কাসামিয়া সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কলিম উদ্দিন মিলন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল হকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,গত ২৪. ৮ ২০২৫ ইংরেজি তারিখে উল্লেখিত ওয়ার্ডের পাঁচ গ্রামের সকল বিএনপি সমর্থিত জনসাধারণ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে কমিটি ঘোষণা করেন। ওই কমিটিতে মস্তব আলী কাসামিয়াকে সভাপতি নির্বাচিত করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা হয়। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তার সভাপতি পদ বাতিল করার জন্য একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লাগে। ওয়ার্ড এমদাদুল হক তালুকদার ষড়যন্ত্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ আবুল হায়াত, যুগ্ম আহবায়ক আ: কাইয়ুম মজনু ও যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ আবুল বাশার দুই জন সদস্য ফজলু মিয়া ও বিপ্লব সরকার, ৪ নং সদর ইউনিয়ন শাখার গোলুয়া গ্রামের মোঃ কামাল হোসেন আহ্বায়কের বাড়িতে গভীর রাতে এমদাদুল হক তালুকদারকে সভাপতি এবং আমাকে সাধারণ সম্পাদক করে আরেকটি ১৫ সদস্য কমিটি গঠন করে অনুমোদন দেওয়া হয়। পরদিন এই বিষয়টি জানাজানি হলে, কামাল হোসেন আহ্বায়ক এবং মোশাররফ হোসেন যুগ্ন আহবায়ক স্বাক্ষরিত একটি তফসিল ঘোষণা করা হয়। ওই নির্বাচনী তফফিলে ১ ও ৭ নং ক্রমিকের যে ঘোষণা দেওয়া হয় তার কোনটাই বাস্তবায়িত না করে বিগত ৩ সেপ্টেম্ব তারিখের রাতের আঁধারে এমদাদুল হক তালুকদারকে সভাপতি রেখে কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিকে বাতিল করে মোঃ মস্তব আলী কাঁচা মিয়া কে সভাপতি রেখে কমিটি ঘোষণার দাবি জানান।এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির স্বাক্ষর ক্ষমতা প্রাপ্ত যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।