সাহেলা সার্মিন
নক্ষত্রেরা আলো জ্বালে নীরবে
নীল পরি পাখনায় খৈ ফোঁটা তাঁরা
কখনো হারিয়ে যায় নিরুদ্দেশে,
স্বপ্নচারী সুখ স্বপ্নের মতো।
রঙ বাহারি রঙধনু কতো রঙে সাজে
গায়ের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ যেমন সবুজ মাখে,
মুক্ত বলাকার ঝাঁক উড়ছে নীড় পানে
গোধূলির ঐ সোনা রঙ জ্বলছে পালক জুড়ে।
সুখ পাখিটাও কখনো জ্বলে জ্বলজ্বল করে
কখনো ভিজে মসুলধারে
গুমরে মরে পথহারা ঐ পথিক যেমন
বাকহারা শুভার মতোন।
জ্বলছে আবার বাজার সওদা সবজি রকমারি
জ্বলছে আগুন জন সমাবেশে
মাঠ ময়দান অট্টালিকার নিচে
জনরোষে যাচ্ছে কতো তাজা প্রাণ,
দেশকে ভালো রাখার প্রতিজ্ঞার কথা যায় ভুলে
যেনো আত্মভোলা আইনস্টাইন।
চারিদিকে এমনি আগুন শূন্য প্রাণে জ্বলে দ্বিগুন
তবুও নক্ষত্রের কাছে এলে
এক গ্লাস জল ঢালে গলে,
শান্তি শান্তি লাগে দুটি চোখে
অজানা স্বপ্ন শিহরণ প্রিয়ের ছোঁয়ার মতোন।
ঝিম ধরা আহ্বানে মগ্ন ঝিঁঝিঁ কন্যা
একাদশীর রজনীকান্ত সারা নিশি জ্বালে
নিঃস্বার্থ আলোর বন্যা।
কেউ আলো জ্বালে কেউ রক্ত ঢালে
কেউ ভালোবাসে কেউ কেড়ে নেয় নিশাবসানে।
এমনি করেই ঘড়ির কাঁটা ধায়
যে যেমনই হোক অমর তো কেউ নয়
দু'দিনের দুনিয়ায় ভাবে আজীবন থাকবো এ ভবে!