
ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করবো না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এবং খুলনা ২ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেছেন, জাহেলি সমাজে ঘোর অন্ধকার যুগে গুনে ধরা সমাজকে পরিবর্তন করার জন্যে রহমাতাল্লিল আ’লামিন করে মুহাম্মদ (সা.) কে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন। আমাদের রাসূল (সা.) ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সারাজীবন বাতিল অপশক্তির সাথে সংগ্রাম করেছেন। তিনি ২৭টি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু কোন বাতিলের কাছে আপোষ করেননি। আমরা তাঁর উম্মত কুরআনের সমাজ বিনির্মাণে জন্যে জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করবো না। তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর আদর্শে আদর্শিত হয়ে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে সবাইকে কাজ করতে হবে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামী প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে, আর আগামী দিনে যে বিজয় হবে তার সুবাহ বার্তা ডাকসু ও জাকসুর নির্বাচন দেখেই বুঝা যাচ্ছে। খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ২৫ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বানরগাতী বাজার মোড়ে সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
২৫ নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ ত্বহিরুল আহসান ত্বোহার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাদ্দিস মাওলানা শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা মহানগরীর জামায়াতে ইসলামীর শূরা সদস্য মাওলানা মনিরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা শাহরুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহীদুল ইসলাম, তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সউদ, আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল গাফ্ফার খুলনা, সমাজ সেবক মানবাধিকার সংগঠক এস এম দেলোয়ার হোসেন , শেখ সালাহউদ্দিন, শেখ আনোয়ারুল কবির, মাওলানা দেলাওয়ার হুসাইন ফারাজী, মুর্তজা বিল্লাহ, মাওলানা ছফির উদ্দীন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনাডাঙ্গা থানা সেক্রেটারি মাওলানা জাহিদুর রহমান নাঈম, প্রিন্সিপাল আরিফ বিল্লাহ, খাইরুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম বাবুল, জসিম উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার, সেলিম খান, নাসির উদ্দিন, মাওলানা মফিজুল ইসলাম, মুস্তাফিজ মাহিম, গোলাম রাব্বি, রাইজুল ইসলাম রাজু, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, আহমেদ আলী, ইব্রাহিম খলিল,হারুনুজ্জামান গাজী হারুন, মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, সিরাতুনব্বী মাহফিলে আজ আমরা প্রকাশ্যে কথা বলতে পারছি এর জন্য আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করি। জিহাদ করতে হবে আল্লাহকে খুশি করার জন্য, কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্য নয়। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না, ক্ষুধামুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই। বর্তমানে দেশে একটি শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই শান্তির পরিবেশকে অরাজকতার পরিবেশে সৃষ্টি করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এই অরাজকতার পরিবেশ যাতে তৈরি করতে না পারে, এ জন্য আমাদের সবকর্মীকে একতাবদ্ধ থেকে এ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) এর জীবনী আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। তাই আল্লাহর রাসূল (সা.) এর পথকে অনুসরণ করা আমাদের বড় দায়িত্ব। এই দায়িত্ব জীবন দিয়ে হলেও আমাদের পালন করতে হবে। তাই আসুন রাসূল (সা.) এর জীবনের আদর্শ দিয়ে আমরা আমাদের ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করি। এই কাজগুলো করতে পারলে আমরা একটি সোনালী সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজে অগ্রসর হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।