স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান ও মহাসচিব আলহাজ্ব মো: আকবর হোসেন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তিনটি দল থেকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে নির্বাচনের আগেই আগামী নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়ার অপচেষ্টা করেছেন। রাষ্ট্রীয় খরচে তিনটি দলকে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপন করার এই প্রচেষ্টা আগামী নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট করবে। কারণ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মনস্তত্ত্বের ওপরে অনেকখানি নির্ভর করে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এমন স্পষ্ট বার্তা পাওয়ার পরে এই দলগুলোর প্রতি পক্ষপাত করবে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সরকারের জন্য এরচেয়ে বড় অদূরদর্শীটা আর কিছু হতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি যে রাজনীতিবিদদের সাথে নিয়েছেন তাদেরকে বিমানবন্দরে আলাদা করে দেয়া হয়েছে এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ নেতৃবৃন্দের সাথে যা হয়েছে তাতে স্পষ্ট যে, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় সফরের সহযাত্রীরা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ও নিরাপত্তায় থাকার কথা। কিন্তু নিউইয়র্কের মতো জায়গায় যে ধরণের অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে তা আমাদের শংকিত করে। এই ধরনের উচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত সফরেই যদি রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা এভাবে বিঘ্নিত হয় তাহলে এই সরকারের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় নির্বাচনে নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা কেমন হবে তা ভাবতেও আমরা শিউরে উঠছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছে। একই সাথে দাবী জানাচ্ছে যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আখতার হোসেনসহ রাজনীতিবিদদের ওপরে হামলাকারীদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এবং কেন তাদেরকে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হলো, কার অবহেলায় বা দায়িত্বহীনতায় এমন ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অবিলম্বে নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেলকে পদত্যাগ করতে হবে এবং ফ্যাসিবাদের জামানায় ফরেইন মিনিস্ট্রিতে নিয়োগকৃত আওয়ামী দোসরদের অপসারণ করতে হবে।